লিখেছেন আগন্তুক
স্থান: স্বর্গ ওরফে হেভেন ওরফে বেহেস্ত। সুন্দর নীল আলোয় চতুর্দিক উদ্ভাসিত, শকুন ও পায়রা একসাথে উঠোনে চরছে। সোনার তৈরি পাথরবাটিতে রাখা ধান-যব-সরষে খুঁটে খাচ্ছে কবুতরগুলি। গরম তেলে ভাজা কিছু প্রাক্তন পাপী নরমাংস, গরু-পোস্ত আর সামান্য একটু শুয়োরের ডালনা নিয়ে অপেক্ষা করছেন যমদূত। শকুন ও পায়রা উভয়ের জন্যই এই আয়োজন। সবাই জানে স্বর্গে কোন ভেদাভেদ নেই। উঠোনের শেষপ্রান্তে বেদীর ওপর ‘তিনি’ বিরাজমান। তাঁর চেহারা খুব স্পষ্ট করে দেখা যাচ্ছে না। আদৌ আছেন নাকি নিরাকার, তাও অস্পষ্ট। আশেপাশে উড়তে থাকা বস্তুগুলি তাঁর আলখাল্লার অংশ নাকি অতিরিক্ত হাত-পা, সেটাও গবেষণাসাপেক্ষ। সম্মুখে উপস্থিত জনাকয়েক ভক্ত এসব নিয়ে চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে না। অর্ধনিমিলিত নেত্রে ভক্তিতে গদগদ হয়ে তাঁরা তদগত-প্রাণ…
দেবদূত:
প্রভু আমার, ওঠো জাগো, হস্তে লও দণ্ড (শাসনদণ্ডের কথা বলা হচ্ছে, অন্য কিছু নয়)
সম্মুখে রহিয়াছে যারা, নয় তারা ভণ্ড;
পরম ভক্ত তব আনিয়াছে ভেট…
নিবেদন করিবারে মাথা করে হেঁট।
প্রভু:
ওরে পাজী, পুরোহিত হাজী,
একটি বেলার তরে ঘুমাইছি আজি;
তারই মাঝে জ্বালাতন কেন করো, বাপ?
দেব নাকি ফ্যাঁচ করে ক্ষুরধার শাপ?
দেবদূত:
ওগো মোর প্রভু,
কিছুই কি ভেবে বল কভু?
মর্ত্যবাসীর থেকে এলো উপহার –
কাটা মাথা, ‘ভাঙা’ নারী Tasty খাবার;
তুমি শুধু ঘুম দাও অকাতর – এমন চলিলে
ভক্তির মায়াটুকু ডুবিবে সলিলে।
প্রভু:
ঠিক, ঠিক…
হালার পো’য়েরা, জানি, ভয় নাহি পেলে
হালার পো’য়েরা, জানি, ভয় নাহি পেলে
শিগ্গিরি অবহেলে যাবে মোরে ভুলে;
ওদের ভয়ের মাঝে বাসাখানি মোর,
কোথা যাব ভেঙে গেলে পুরাতন ঘর?
এতক্ষণে বুঝেছেন, যাক তবু ভালো;
লোডশেডিং-এর চেয়ে টিমটিমে আলো
এবার একেক করে মাথাটি মুড়ান
বাবা-বাছা বলে-কয়ে পরান জুড়ান
(উষ্ণীষ/মুকুট (সোনার বা কাঁটার) ঠিক করে নিয়ে এগিয়ে এলেন প্রভু। মুখে স্মিত হাস্য, চুলে পাঁচ হাজার বছর আগে করা কলপ। দেখলে জোয়ান নাকি বুড়ো, কিছুই বোঝা যায় না। এমনকি মরদ নাকি জেনানা, তাও বোঝার উপায় নেই – স্পষ্ট দেখাই যায় না যে!)
প্রথম ভক্ত:
প্রভু মোর, এতদিনে দয়া হল তব?
বয়স তো পার হল- নব্বই হব!
কতদিন ছিঁড়েছি, কত’করে ডেকেছি তোমায়
ফুল-ফল, অন্য কিছু নয়
কত হোম করেছি সুমুখে, জপতপে কেটেছে সময়।
প্রভু:
সে আর বলিতে বাছা, বেশ মনে আছে।
যত দূরে ঠেলিয়াছি, তত তুমি আসিয়াছ কাছে
ঘণ্টার চিৎকারে কানে আর শুনি নাকো ভালো
যজ্ঞের ধোঁওয়া লেগে আঁখি মোর অকালেই গেল।
(প্রভুকে বাধা দিয়ে ধেয়ে এল দেবদূত।)
দেবদূত:
কর কী, কর কী প্রভু? মাথাটা কি একেবারে গেলো?
কতবার বলিয়াছি বাতাসার অত লোভ, মোটে নয় ভালো
ঘি ও তেল খেয়ে খেয়ে বুদ্ধিটা মোটা হল- লেগে গেল তালা
ভক্তরা বোকা সব, অত কথা কেন কও শালা!
প্রভু: (সরোষে)
চোপ রও বেয়াদব, যতবড় মুখ নয় তত বড় কথা!
নিজেকে নবী বলিস – তা’বলে কি কিনে নিলি মাথা?
বড় যে সেজেছ গুরু – হাঁড়িখানা ভেঙে দেব নাকি?
এদেরকে বলে দেব – তুই শালা কতবড় ফাঁকি।
দেবদূত:
বলেই দেখো না কেন, ভয়ানক জীব বটে এরা
শুধু তো আমারই নয়, তোমারও তো ভেঙে দেবে দন্তের গোড়া;
তার চেয়ে মিলেমিশে এই বেলা লুটে নিই চল
যেমনটা শিখিয়েছি, সোজাসুজি সেইসবই বল।
প্রভু: (সহাস্যে)
সে কথা মন্দ নয়, ভালোই বরং
ভক্তজনের তরে কতকাল করিতেছি ঢং
দেখাই যাক না কেন কী এনেছে ভোগ মোর তরে
বোকাগুলো পূজা উপচারে
বল বাছা, কিবা তব নিবেদন চাঁদু
খিচুড়ী-পোলাও নাকি ফুলমালা বেলপাতা শুধু?
প্রথম ভক্ত:
ঈশ্বর, তুমি মোর জগতের ত্রাতা,
করিতেছ দিবানিশি Maintain আমাদের খাতা,
পাপের ছত্রগুলি ঘ্যাঁচ করে কলম আচঁড়ে
কেটে দাও প্রভু মোর প্রার্থনা করি করজোড়ে;
আমিও কৃপণ নই প্রভু, দেব তব ভাতা
তিনখানা কচি পাঁঠা বলি দিয়া আনিয়াছি মাথা।
প্রভু: (সক্রোধে)
আর ধড়গুলি? সিনার মাংসটুকু কোথা?
পেটে পুরেছিস বুঝি? দেখে নিস হবে পেটে ব্যথা।
গুটিকত ফুলপাতা, বাসী ফল, ছাগমাথা – এন্তার ফাঁকি!
এভাবে ভোলাবি মোরে, আমি শালা কচি খোকা নাকি?
প্রথম ভক্ত:
অপরাধ নিয়ো না, হে স্বামী,
অনেক কিছুই আরো তোমা লাগি করিয়াছি আমি
কাটিয়াছি ভ্রূণ ম্লেচ্ছের, গরুকে তোমার রূপে করিয়াছি স্নেহ
সতীকে দগ্ধ করি, গম্বুজ ভেঙে – পেতেছি তোমারই বিগ্রহ
দিই নাই কান কভু অনাহারী শিশুর ক্ষুধায়,
বরং ঢেলেছি দুধ তোমার পাষাণ মাথায়
লাঠিসোঁটা মারধোরে রেখেছি তোমার মান, দেখিয়েছি কত বাহাদুরী
মুছেছি সমাজ থেকে চৌদ্দই ফেব্রুয়ারি
ভগবান, ঘোষণাটা করে ফেল, তাই
ফার্স্টক্লাস ভক্তের প্রাইজটা চাই।
দ্বিতীয় ভক্ত: (ব্যগ্র হয়ে)
হুজুর, মালিক মোর, ওর কথা সবটাই মিছে
কাফেরের ব্যাটা ওটা শুধু গুল দিছে
তোমাকে পুতুল করে খেলা করে ওরা,
জানোয়ার বড়, জেনো, হালার ওই পো’রা
বলে, নাকি বাংলা অনেক ভালো উর্দুর থেকে – বলে-কয়ে অনেক আরাম
বলে নাকি গরু মারা বন্ধ, শুয়োরের ভোজও নাকি নয়কো হারাম!
প্রভু:
সত্যই, বড় অনাচার, এরা কিছু রীতিনীতি মানে?
রাত্তিরে ঘুম পেলে পা’দুখানা রাখে না তো মম গৃহপানে?
যতনে খতনা করে? নিকা করে অন্তত চারখানা করে?
তালাক বজায় আছে? কুরবানি কই হয় অতীতের হারে?
দ্বিতীয় ভক্ত:
কী বা আর লুকাব গো, সবই তো তোমার জানা, আল্লাহ্
কত করে বলিতেছি – প্যান্ট নয় পর আলখাল্লা।
একবুক দাড়ি রাখ, জেনানারে মুড়ে ফেল কালো পর্দায়
রাত্তিরে খুলে নিবি বাধা দেবে কেউ কোন স্পর্ধায়?
কাফের কৃপণগুলা বকরীর মাথা দিয়ে সারতেসে কাম
হারামীর জাত বটে, ঈমানের নাই কোনো দাম।
প্রভু: (ভ্রুকুটিসহ)
সে না’হয় বুঝলুম – কাফেরের নিন্দে বহুত
তুইই বা এমন কোন ধম্মের সদাচারী দূত?
মাইকে আজান আর পাঁচবার নামাজের ছলে
তুইও তো লেখালি নাম ফাঁকিবাজদের ওই দলে।
দ্বিতীয় ভক্ত:
এইডা কী বলছ গা? তুমি আল্লাপাক
একমাস রোজা দিনু, খাইনু যে একবেলা একটি খোরাক!
আনিয়াছি বড় নজরানা – পাঁচখানা নিন্দুকে জবাই করেছি নিজ হাতে
ছাগ না গো, নরমুণ্ড – তোমা লাগি আনিয়াছি সাথে।
শান্তির ধর্মের পথে – ভক্তির দিয়াছি প্রমাণ
গ্রহণ কর, হে প্রভু, ভক্তের রাখ সম্মান।
তৃতীয় ভক্ত: (তাচ্ছিল্যভরে)
হে পরমপিতা,
এই দুই অর্বাচীন বকিতেছে বৃথা
তোমার সেবার এরা কতটুকু জানে? নিরক্ষর বোকা
তোমার মহিমা শুধু আমিই তো বুঝিয়াছি একা
মরণের পার থেকে ফিরে আসা যায়
Science মানে না বটে, ক্ষতি কী বা তায়?
কুরুশ ছাড়িয়ে তুমি তিনদিন পরে
ফিরেছিলে – এ কথাটি জানে ঘরে ঘরে।
প্রভু: (সন্দিহানভাবে)
ব্যস্, তবে এটুকুই ছেদ্দার ছিরি
ভক্তির নামে তোর নেই কানাকড়ি!
সেবার ছলনা করে, পথ্যের ছলে
চট করে ফেলে দিবি ধম্মের জালে
দরকারে বন্দুক – এমনকি কথা?
গরীবের প্রাণ নিয়ে কেন মাথাব্যথা?
দয়ার ধম্ম মোর গোল্লায় গেল
তবু নাকে তেল দিয়ে ঘুম বড় হল?
তৃতীয় ভক্ত:
সে কী, প্রভু? কৃপা কর, গোঁসা নাহি কর
গীর্জায় জমায়েছি সম্পদ বড়;
সোনাদানা কত কিছু তোমার শ্রীনামে
এনেছি তো লুঠ করে শহর ও গ্রামে।
সমকাম রুখবই – করিয়াছি পণ
কিছুটা হেরেছি বটে, মানেনি তো মন।
এছাড়াও ইতিউতি সেবা-দয়া বলে
চট করে কাজ হয় মুদ্রা ছড়ালে
বিশেষত বন্যা বা দুর্যোগকালে
ধর্মের Dose দিই ত্রাণের আড়ালে।
এছাড়াও নানাবিধ বিধানের ফলে
শেষ কথাখানি আজও বিশপেই বলে;
আর কী বা চাও, প্রভু, তোমার চরণে
কত আর দিব আনি মানবজীবনে?
প্রভু:
আরও তো অনেক পথ চলা তোর বাকি
ছলে-বলে-কৌশলে দিতে হবে ফাঁকি।
মাগনায় বাইবেল ছড়া আরও বেশি
সভ্য-ইতরজনে এ দেশী-বিদেশী
দরকারে টাকা ছড়া – কিনে ফেল যত
ধম্মের সৈনিক – ক্রুসেডের মত।
ঘণ্টায় শান দে, জোরে জোরে বাজা
সোজা পথে ঘি না পেলে দিতে হবে সাজা।
তৃতীয় ভক্ত:
আদেশ মাথায়, প্রভু,
ভুল হবে নাকো কভু;
নরনারী বটেই তো আসবে সবাই
শিশুরাও যোগ দেবে তোমার সেবায়।
শিশুকাম বলে বটে নাস্তিকদল
জানি, ওরা একদিন পাবে ঠিকই ফল।
আপাতত এটুকুই আমার সম্বল
নাও, প্রভু, দেখ মোর প্রাণ চঞ্চল।
প্রভু: (দেবদূতের দিকে সক্রোধে)
নচ্ছাড়, হতভাগা ওরে বাস্তুঘুঘু
নিজের আখেরটুকু গুছাইলি শুধু!
বোকাগুলো নিজেদের মাঝে
হানাহানি করে মরে সকাল ও সাঁঝে,
পুরোহিত, নবী, আর পাদ্রীর নামে
পাঠালাম তোকে আমি ঐ মর্ত্যধামে
সে কি শুধু আরামের তরে?
খাটুনিটা শুধু মোর একার এই ঘাড়ে?
দেবদূত:
প্রভু মোর, তুমিই তো চেয়েছিলে সদা;
খেয়োখেয়ি করে যাক এরা বোকাগাধা।
নিজেদের মাঝে যত হইবে লড়াই
ততই তোমার নামে একজোট তাই;
মারে-মরে বারবার চোখে পড়ে ঠুলি
আমিও চালাতে থাকি বড় বড় বুলি।
করে যায় অবিরত ঝগড়া-ঝামেলা,
মাঝখানে ভরে ওঠে প্রণামীর থালা।
প্রভু:
সেকথা সত্যি বটে, সেই তো ভরসা
এদের অশান্তিই আমাদের আশা
রাজা থেকে সরকার,
সকলেরই দরকার
ভক্তির কুয়াশায় আবরণ,
প্রশ্নের ঝঞ্ঝাট,
ওপরেতে তোলা থাক,
চলুক না ধর্মাচরণ।
চলছিল ঠিক তাই,
ভক্তরা পশুপ্রায়
ল্যাজ নেড়ে যেত শুধু আমরণ।
মাঝে মাঝে নিজেরাই নিজেদেরই কামড়ায়
অ্যাদ্দুর ঠিক ছিল, আপদ নতুন এক কোথা থেকে মাঝে মাঝে হামলায়?
অদ্ভুত জীব তারা, বদমাশ ঠোঁটকাটা, বলে নাকি – আমি শুধু মিথ্যে!
ছাইপাঁশ পড়ে সব, দিনরাত তর্ক, বিজ্ঞান নামে কোন বিদ্যে
সবকিছু জানে বেদ,
তবুও মিথ্যে জেদ,
বলে নাকি প্রমাণের দরকার;
নবীর কথাই শেষ –
বলে দিয়েছি তো বেশ
তবু করে জিজ্ঞাসা বারবার।
ব্লগবকানির চোটে কান পাতা হল দায় ভ্যাটিকানও হল শেষে কুপোকাত!
আর চুপ থাকা নয়, কিছু তো করতে হয়, এবারে তো তুলতেই হবে হাত –
তাই তো বলছি ওরে সময় নষ্ট করে, থামা যত কাটাকাটি চুপ কর –
ওসব করবি পরে, আগে এই বিপদেরে প্রবল ঠ্যাঙানি দিয়ে শেষ কর।
তিন ভক্ত সমস্বরে:
নিশ্চয় তাই হবে,
প্রভু যা চাইবে যবে,
কী করিতে হবে বল অদ্য
অস্ত্র ধরিয়া হাতে
মুণ্ড কাটিব তাতে
শ্রীচরণে দেব নৈবেদ্য।
তোমা ’পরে সংশয়
শেষ হবে নিশ্চয়,
পাপীরা হবেই সব ধ্বংস
প্রশ্নের দেবে দাম
ভুলিবে বাপের নাম
যত আছে নাস্তিকবংশ।
প্রভু: (তাচ্ছিল্যভরে)
ওরে তোরা মাঝে মাঝে
মগজটা লাগা কাজে;
কী হবে রে একটাকে মেরে?
রক্তবীজের ঝাড়,
যদি মরে একবার
এসে যাবে হাজারে হাজারে।
তার চেয়ে বলি শোন
ভালো করে দিয়ে মন
আসলেতে ঝামেলাটা অন্য,
মন্ত্রের দীক্ষা
মুছে দেয় শিক্ষা
হয়ে যায় লোকগুলো বন্য।
গলদটা সেখানেই –
একবার বেরোলেই
ঠিকঠাক পাঠশালা থেকে,
যুক্তির নাম করে
শয়তান ভর করে
সবেতেই বসে যায় বেঁকে।
তাই বলি শোন বাছা,
এইবার বাঁধ কাছা,
লেগে পড় লাঠিসোঁটা নিয়ে,
শত্রু ব্লগার নয়,
আসলে বিদ্যালয়,
ভেঙে ফেল শিগ্গিরি গিয়ে।
(আমি) যদিও বা শ্রেষ্ঠ,
সবচে’ গরিষ্ঠ,
এছাড়া জানিস, আমি নির্ভীক –
পদ্ম আসন পাতা
তোদের ওই ফাঁকা মাথা,
কলম না জানি কেন দেয় ধিক!
তাই বলি, ভক্ত,
হও দেখি শক্ত,
শত্রু মরুক তাড়াতাড়ি
যাহা চাও তাই হবে,
অপুত্রের পুত্র হবে,
গরীবেরা পাবে টাকাকড়ি
অন্যরকমও পাবে,
পটল তুলিবে যবে,
ঘিরে রবে বাহাত্তর হুরী।
অতএব বৎসেরা
ও আমার ভক্তেরা,
বিলম্বে নাহি কোনো প্রয়োজন;
ব্লগার বধের সাথে
ছেনি ও হাতুড়ি হাতে
শেষ কর শিক্ষার অঙ্গন।
তিন ভক্তের জয়জয়কার ধ্বনিতে চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে। ঢাক, আজান আর ঘণ্টার শব্দ ছাপিয়ে ভেসে আসতে থাকে তরোয়ালে শান দেওয়ার শব্দ।
Leave a Reply