লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২ > পর্ব ৮৩ > পর্ব ৮৪ > পর্ব ৮৫ > পর্ব ৮৬ > পর্ব ৮৭ > পর্ব ৮৮
শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবৎবংশ-বংশানুক্রমে বসবাসরত মদিনায় তখনও অবস্থিত তৃতীয় ও শেষ সম্পদশালী ইহুদি বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর সশস্ত্র অনুসারীদের দ্বারা চারদিক থেকে অবরুদ্ধ, ভীত-সন্ত্রস্ত ও দুঃসহ অবস্থায় কী কারণে মুহাম্মদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি যেন তাঁদের মিত্র আল আউস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বনি আমর বিন আউফ গোত্রের আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনধির–কে তাঁদের কাছে পাঠান, আবু লুবাবা তাঁদের করুণ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে তাঁদেরকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন, কীভাবে তিনি তাঁদেরকে মুহাম্মদের অভিপ্রায় জানিয়ে দিয়েছিলেন ও ও তার পরেই তিনি তা “মিথ্যা আখ্যা” দিয়ে কীভাবে তাঁর সেই কর্মের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করে নিজেকে কষ্ট দেয়া শুরু করেছিলেন, কীভাবে তিনি সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন – ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
প্রশ্ন ছিল, “আবু লুবাবা কি সত্যিই ‘নবীর অভিপ্রায়’ না জেনেই বনি কুরাইজা গোত্রের লোকদের এমনটি জানিয়েছিলেন? নাকি বনি কুরাইজার অসহায় বিপর্যস্ত অবস্থা প্রত্যক্ষ করে আবেগের বশে “মুহাম্মদের প্রকৃত অভিপ্রায়” প্রকাশ করার পর মুহাম্মদের ভয়ে তিনি ছিলেন ভীত-সন্ত্রস্ত?”
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1] [2]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ৮৮) পর:
‘যে রাতে বনি কুরাইজা গোত্রের লোকরা আল্লাহর নবীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন, সেই রাতে থালাবা বিন সায়ায়া (Tha’laba b. Sa’ya) ও তার ভাই উসায়েদ (Usayd) বিন সায়ায়া এবং আসাদ বিন উবায়েদ (Asad b. ‘Ubayd) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন; এই লোকগুলি ছিল বনি হাদল গোত্রের অন্তর্ভুক্ত, যার সঙ্গে বনি কুরাইজা বা বনি আল-নাদির গোত্রের সংশ্লিষ্টতা ছিল না (তাদের বংশতালিকা ছিল আরও অনেক ওপরে)।
আমর বিন সু’দা আল-কুরাজি’ (Amr b. Su’da al-Qurazi) সেই রাতে বাইরে বের হয়ে আসেন ও আল্লাহর নবীর রক্ষীবাহিনীর কবলে পড়েন, তারা মুহাম্মদ বিন মাসলামার নেতৃত্ব পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। তারা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে।
ঘটনা হলো, আমর আল্লাহর নবীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করে বনি কুরাইজার লোকদের সাথে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন এই বলে, “আমি আল্লাহর নবীর বিরুদ্ধে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করবো না।”
মুহাম্মদ বিন মাসলামা তাকে চিনতে পারেন ও বলেন, “হে আল্লাহ, আদর্শবান লোকের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ (সম্মান) থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না’, ও তাকে তিনি তার পথে যেতে দেন। তিনি সেই রাতে মদিনায় আল্লাহর নবীর মসজিদের দুয়ার পর্যন্ত গমন করেন; তারপর তিনি উধাও হয়ে যান। তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
যখন আল্লাহর নবীকে এই খবরটি জানানো হয়, তিনি বলেন, “আল্লাহ ঐ লোকটিকে তার বিশ্বস্ততার কারণে উদ্ধার করেছেন।”
কিছু লোকের অভিযোগ এই যে,যখন বনি কুরাইজার লোকেরা আল্লাহর নবীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন, তখন তিনি বনি কুরাইজার বন্দীদের সঙ্গে এক নষ্ট দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিলেন; তারপর তার সেই পুরানো দড়ি সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়, কেউই জানে না যে,সে কোথায় গিয়েছে ও সে কারণেই আল্লাহর নবী ঐ উক্তিগুলো করেন। সত্যিই যে কী ঘটেছিল, তা আল্লাহই জানে।
সেইদিন সকালে তাঁরা যখন আল্লাহর নবীর সিদ্ধান্তের কাছে আত্মসমর্পণ করেন, আল-আউস গোত্রের লোকেরা সেখানে দৌড়ে হাজির হয় (leapt up) ও বলে,
“হে আল্লাহর নবী, তারা আমাদের মিত্র, খাযরাজদের নয়। সম্প্রতি আপনি আমাদের এই সহকর্মীর মিত্রদের সঙ্গে কীরূপ ব্যবহার করেছেন, তা আপনি জানেন।“
ঘটনা হলো, আল্লাহর নবী আল-খাযরাজ গোত্রের মিত্র বনি কেইনুকা গোত্রের লোকদের ঘেরাও করেছিলেন। যখন তারা তাঁর সিদ্ধান্তের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, আবদুল্লাহ বিন উবাই বিন সালুল তাদের জন্য তাঁর কাছে আবেদন করেছিলেন ও তিনি তাকে তা দিয়েছিলেন। [পর্ব: ৫১]।
সে কারণে যখন আল-আউস গোত্রের লোকেরা এমনটি আবেদন করে, আল্লাহর নবী বলেন, “হে আল-আউস, যদি তোমাদেরই কোনো এক লোক তাদের বিষয়ে রায় প্রদান করে, তবে কি তোমরা সন্তুষ্ট হবে?”
যখন তারা তাতে রাজি হয়, তখন তিনি বলেন যে, সাদ বিন মুয়াদ হলো সেই লোক।’ [3]
(‘ —– In the morning they submitted to the apostle’s judgement and al-Aus leapt up and said, ‘O Apostle, they are our allies, not allies of Khazraj, and you know how you recently treated the allies of our brethren.’ Now the apostle had besieged B. Qaynuqa who were allies of al-Khazraj and when they submitted to his judgment ‘Abdullah b. Ubayy b. Salul had asked him for them and he gave them to him; so when al-Aus spoke thus the apostle said: ‘Will you be satisfied, O Al-Aus, if one of your own number pronounces judgement on them?’ When they agreed he said that Sa’d b. Mu’adh was the man.’)
(অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ – লেখক।)
>>> ওপরে বর্ণিত আদি উৎসের বর্ণনার প্রথম অংশটিতে বলা হচ্ছে যে,বনি কুরাইজা গোত্রের অন্তর্ভুক্ত আমর বিন সু’দা আল-কুরাজি নামের এক লোক মুহাম্মদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, যে–কারণে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা তাঁকে খুন করেননি, তিনি উধাও হয়ে গিয়েছেন; মুহাম্মদের ভাষায়, “আল্লাহ তাকে উদ্ধার করেছে–।“
কিন্তুখন্দক যুদ্ধের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, খন্দক যুদ্ধ উপাখ্যানের আদি উৎসের বর্ণনার (পর্ব: ৭৭-৮৬) কোথাও বনি কুরাইজা গোত্রের কোনোলোক মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের “কখনো কোনোরূপ” আক্রমণ বা হত্যা চেষ্টা করেছেন, কিংবা তাঁরা মিত্রবাহিনীকে কোনোরূপ সাহায্য-চেষ্টা করেছেন, কিংবা তাঁরা মিত্রবাহিনীর সাথে কোনোরূপ সক্রিয় স্বতঃস্ফূর্ত যোগাযোগ চেষ্টা করেছেন – এমন সুনির্দিষ্ট একটিও তথ্য বা প্রমাণ (Evidence) কোথাও নেই!
সুতরাং, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা জানতে পাই যে, “বনি কুরাইজা গোত্রের ওপর চুক্তিভঙ্গ ও মিত্রবাহিনীকে সাহায্য করার অজুহাত” ইসলামের হাজারও মিথ্যাচারের একটি”।
ওপরে বর্ণিত উপাখ্যানের শেষ অংশটিতে বলা হচ্ছে, বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা মুহাম্মদের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর তাঁদের মিত্র আল-আউস গোত্রের লোকেরা দৌড়ে মুহাম্মদের কাছে এসে হাজির হন।
তারা মুহাম্মদকে স্মরণ করিয়ে দেন যে,খাযরাজ গোত্রের দলপতি আবদুল্লাহ বিন উবাইয়ের আবেদন/হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে খাযরাজ গোত্রের মিত্র বনি কেইনুকাগোত্রের (ও বনি নাদির গোত্রের)লোকদের প্রতি মুহাম্মদ যেমন আচরণ করেছিলেন, তাঁদের সবাইকে হত্যা না করে প্রায় এক-বস্ত্রে বিতাড়িত করেছিলেন (পর্ব: ৫১, ৫২ ও ৭৫); সেই একইরূপ আচরণ মুহাম্মদ যেন তাদের মিত্র বনি কুরাইজা গোত্রের লোকদের প্রতি করেন, বনি কুরাইজা গোত্রের লোকদের হত্যা না করেন!
অর্থাৎ
“বনি কুরাইজার কাছে পাঠানো মুহাম্মদের প্রতিনিধি আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনধির যেমন নিশ্চিতরূপে জানতেন যে,মুহাম্মদের প্রকৃত অভিপ্রায় হলো “বনি কুরাইজা গণহত্যা”,একইভাবে আদি মদিনাবাসী আল-আউস গোত্রের লোকেরা ও নিশ্চিত জানতেন যে, মুহাম্মদের প্রকৃত অভিপ্রায় হলো বনি কুরাইজা গোত্রের লোকদের গণহত্যা। তাই বনি কুরাইজার আত্মসমর্পণের পর, তারা উদ্বিগ্নচিত্তে দৌড়ে এসে মুহাম্মদের কাছে “বনি কুরাইজার মানুষদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন” করেন।”
তীক্ষ্ণ বুদ্ধির মুহাম্মদ তাদের সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎক্ষণাৎই ঘোষণা দেন যে, যদি তাদেরই কোনোলোক “রায় প্রকাশ করে”, তবে তারা তাতে রাজিআছে কি না।
সেই মুহূর্তে আল-আউস গোত্রের লোকেরা স্বাভাবিকভাবেই অনুমানও করতে পারেননি যে, মুহাম্মদ কার নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন! ধারণা করা কঠিন নয় যে,তারা ভেবেছিলেন, যদি তাদের গোত্রের মধ্য থেকে কাউকে এই দায়িত্ব দেয়া হয় “তবে বনি কুরাইজার লোকদের প্রাণ রক্ষা হবে।“ তারা মুহাম্মদের এই প্রস্তাবে যখন সানন্দে রাজি হন, তখন মুহাম্মদ ঘোষণা দেন, সেই ব্যক্তিটি হলো “সাদ বিন মুয়াদ!”
কে এই সাদ বিন মুয়াদ?
এই সেই সা’দ বিন মুয়াদ, যিনি ছিলেন মদিনার আল-আউস গোত্র প্রধান!মুহাম্মদ নিযুক্ত এই বিচারকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল, বনি কুরাইজার লোকদের সাথে তার সম্পর্ক কেমন ছিল ও তাঁদের সম্পর্কে তিনি কী রূপ মনোভাব পোষণ করতেন – তা আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকরা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তাঁদের সেই বর্ণনায় আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি:
১) মুহাম্মদের এই অনুসারী ছিলেন অত্যন্ত হিংস্র, নৃশংস ও প্রতি-হিংসাপরায়ণ!এই সেই সা’দ বিন মুয়াদ, বদর যুদ্ধ উপাখ্যানের বর্ণনায় আমরা জেনেছি যে এই ব্যক্তির প্রশংসায় মুহাম্মদ ঘোষণা দিয়েছিলেন:
“যদি আল্লাহর আরশ থেকে গজব অবতীর্ণ হতো তবে একমাত্র সা’দ বিন মুয়াদ ছাড়া কেহই রক্ষা পেত না, কারণ সেই শুধু বলেছিল, ‘হে আল্লাহর নবী, লোকদের জীবিত ছেড়ে দেয়ার চেয়ে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডই আমার বেশি প্রিয়’।” (পর্ব: ৩৬)।
২) এই সেই সা’দ বিন মুয়াদ, যিনি ছিলেন হঠকারী মেজাজের লোক, খন্দক যুদ্ধের প্রাক্কালে চুক্তি ভঙ্গের অজুহাতে যিনি বনি কুরাইজার লোকদের গালাগালি ও অপমান করেন! (পর্ব: ৮০)।
৩) এই সেই সা’দ বিন মুয়াদ, যিনি খন্দক যুদ্ধে গুরুতর আহত হন!তিনি আহত হন হিববান বিন কায়েস নামক এক কুরাইশের নিক্ষিপ্ত তীরের আঘাতে, বনি কুরাইজা গোত্রের লোকেরা কোনোভাবেই তাঁর এই ঘটনার জন্য দায়ী ছিলেন না। তা সত্ত্বেও, মুহাম্মদ নিযুক্ত মৃত্যুপথযাত্রী এই বিচারক, “বনি কুরাইজার উপর তার আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ” করার পূর্ব পর্যন্ত তাকে মৃত্যুবরণ করতে না দেয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে আবেদন করেন! (পর্ব: ৮৩)।
“সাদ বিন মুয়াদের এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও বনি কুরাইজার প্রতি সা’দের প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার অভিপ্রায়ের বিষয়ে সম্যক অবহিত থাকা সত্ত্বেও আল-আউস গোত্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন একজন হঠকারী মেজাজের, প্রতিহিংসাপরায়ণ, তীরবিদ্ধ যুদ্ধাহত মৃত্যুপথযাত্রী “বনি কুরাইজার উপর তার আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে দৃঢ় সংকল্প” ব্যক্তিকে মুহাম্মদ কী উদ্দেশ্যে বনি কুরাইজার শাস্তিনির্ধারক রূপে নিযুক্ত করেছিলেন, তা উপলব্ধি করার জন্য কিমহাজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন আছে?”
ইসলামকে নিখুঁতভাবে জানার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো মুহাম্মদকে জানা! যে মুহাম্মদকে জানে, সে ইসলাম জানে। যে মুহাম্মদকে জানে না, সে ইসলাম জানে না!
(চলবে)
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৬৩
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮,ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪৯০-১৪৯২
[3] আবদুল্লাহ বিন উবাই বিন সালুল ছিলেন খাযরাজ গোত্র-প্রধান ও মদিনার বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের একজন। তিনি ছিলেন মুসলমান, কিন্তু মুহাম্মদের কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে তাঁকে সাধারণত: “মুনাফিক (Hypocrite)” নামে আখ্যায়িত করা হয়।
Leave a Reply