বিপত্তিটা বাঁধছে এই মন খারাপের আবহাওয়াতে বাইরে বাইর হইয়া। শীত পড়তে শুরু করছে। এর মধ্যে আবার আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব, জোরসে বাতাস। ছুটির দিন, দেরি করে ঘুম থেকে উইঠা ভাবি নাই যে বাইরে যাইতে হবে। ভাবছিলাম যাবো আর আসবো। আর গিয়াই ঝামেলাটা হয়েছে।
তাড়াহুড়া করতে গিয়া প্রায় ধাক্কা লাইগা যাইতেছিল। ঘুইরা সরি বইলাই থ হইয়া গেছি–আরে এইতো আমাদের সেই জিনাত! কিন্তু নাহ… মেয়েটা গ্রিক–কিন্তু অবিকল আমাদের জিনাতের মতো দেখতে।
যারা জিনাতকে চিনেন না, তারা হয়তো আর চিনবেনও না। রুবেলের সাথে বেশি কিছু হিট মুভি ছিল। তবে আমি প্রথম দেখেছি ‘রঙিন রাখাল বন্ধু’ সিনেমায়। ‘বট বৃক্ষের ছায়া যেমন রে/ মোর বন্ধুর মায়া তেমন রে…’ আহা! বুকের ভেতরটা হু হু কইরা উঠলো…
সন্ধ্যার পর-পর বাসায় আইসাই ভাবলাম সিনেমাটা আরেকবার দেখি। ইউটিউবে আছে। কিন্তু কাহিনী দেখার বয়স তো আর নাই, টাইনা টাইনা গানগুলা শুনি। গানগুলা প্রায় সব মুখস্ত। আসলে দল বাইন্ধা নাইট শো দেইখা জমির আইল ধইরা কয়েক মাইল হাঁইটা বাড়ি ফেরার পথেই চিল্লাইতে চিল্লাইতে গানগুলা মুখস্ত কইরা ফেলতাম। একজন কোথাও থমকে গেলে অন্য কেউ না কেউ ঠিকই মনে করাইয়া দিত। তারপর রেডিওতে এতোবার বাজাইত যে চাইলেও ভুইলা যাওন যাইত না এগুলা।
তো গান শেষ হইতেই আরো কিছু ভাওয়াইয়া গানের লিঙ্ক আসছে। গাড়িয়াল ভাই, মৈষাল বন্ধু, মাহুত বন্ধু, চেংড়া বন্ধুয়া হইয়া পরে একটায় ক্লিক কইরা দেখি প্রথমে কিছুই বুঝি না। বুড়া বয়সে যা হয় আরকি–কানের ১২টা বাইজা গেছে… ভালো কইরা শুইনা দেখি এইটাও তো অনেক আগের শোনা। কিন্তু কথা উদ্ধার করতে পারতেছি না!
নাও নষ্ট কালা নদীর ঘাটে
নারী নষ্ট কালা রান্নার ঘরে
পুরুষ নষ্ট কালা শহরে-বন্দরে…
রান্না ঘরে? কেন? নাকি আমারি শোনার ভুল… তারপর–
অন্তরার দ্বিতীয় লাইন বুঝলাম না একেবারেই। শেষের দুই লাইন–
নারীর মধ্যে কালা বরণ কালো
পুরুষ মধ্যে কালা রসিক ভালো
কেন জানি মনে হইলো এই গানের মধ্যে অনেক কিছুর ইঙ্গিত আছে। গানটা ভালো করে বুঝতে হবে। সেই সন্ধ্যা থিকা গুগল কইরা কিছুই পাই না। কতগুলা ফোক গানের বইয়ের পিডিএফ নামাইলাম। এই যে রাইত দুইটা পর্যন্ত ঘাটাঘাটি। পাইলাম না। আবার আরো অনেক কিছুই পাইলাম…
কয়দিন ধইরা আকবর আলি খানের আত্মজীবনী ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ পড়তেছিলাম। ওই যে আগের পোস্টে ‘নদীর জল ঘোলা ভালো, জাতের মেয়ে কালো ভালো’ বিষয়টা মাথায় আসছিল–সেইটা এই বই পড়তে পড়তেই। প্রথম দিকে মজা পাইলেও পরের দিকের কাহিনী আমার জন্য না। কিন্তু সব মিলায়া মনটা ‘সাদা-কালা’র দিকে চইলা গেলো। আরেকদিন লেখার ইচ্ছা রইলো। ততক্ষণে এই পোস্টে যে দুই-চার লাইন গানের কথা উল্লেখ করলাম, কারো ভালো জানা থাকলে জানাইয়েন–(অগ্রীম কৃতজ্ঞতা)। আর যাদের জানা নাই, এই গান বা কাহিনীর সাথে ‘রিলেট’ করতে পারছেন না, তাদেরকে লিঙ্ক দিলেও বুঝবেন না, তাই লিঙ্ক দিলাম না–(সরি)।
Leave a Reply