• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

ইমানুলের ধর্মকথা – ৫

You are here: Home / ধর্মকারী / ইমানুলের ধর্মকথা – ৫
April 13, 2017
লিখেছেন ইমানুল হক

৭.
শুক্রবার গটেছে গটনাডা। জুম্মার নামাজে গেছি সহাল সহাল। নতুন বিবি (৩ নম্বর বিবি) মজ্জিনাই ফাঞ্জাবি-টাঞ্জাবি ফড়াই, খাওয়াই নামাজে পাডাইছে। অযু কইরা মজ্জিদে বইছি, হুজুরে দেহি খুতবা পাট কইত্তাছে। হুজুর কইতাছে:

– বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল্লাতালার বড়ই মেহেরবানি যে, তিনি আমাগের উফর কুরআন অবতীর্ণ করেচেন। আমাগের মুচলিম ইসেবে ফেরন করেচেন। আমাগের ফ্রিয় নবি অযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত ইসেবে দুনিয়াত পাঠিয়েচেন। চুব্যানআল্লাহ। আজ আমরা জানমু, আল্লাহ জান্নাতে মুমিনগো লাইগ্যা কি কি নিয়ামত রেখেচেন, তা নিয়ে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেচেন, “জান্নাতবাসীরা জান্নাতের মধ্যে পানাহার কইরবে; কিন্তু পেশাব-পায়খানা কইরবে না, তারা নাক ঝরাবে না।” বলুন চুবানাল্লা।

সবাই সমশ্বরে বইল্লাম, “চুবানাল্লা। হুজুর কতা চালাই গেলেন:
– এছাড়াও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন, “মহান আল্লাহ বলেচেন, ‘আমি আমার ফুণ্যবান বান্দাদের জইন্য এমন জিনিস ফ্রস্তুত রেখেচি, যা কুন চক্ষু দর্শন করেনি, কুন কর্ন ছ্রবন করেনি এবং যার সম্পর্কে কুন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। (সূরা সাজদাহ ১৭) (সহীহুল বুখারী ৩২৪৪, ৪৭৭৯,৪৭৮০)। সিষ্টির সেরা মাক্লুকাতকে আল্লাহ এমন জিনিস বেস্তে দিবেন, যা কেউ দেকেনি, ছোঁয় ও নি। আলামদুলিল্লা। তাচাড়া বুখারী-মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আচে যে, “জান্নাতে) তাগের পা হবে স্বর্ণের, তাগের গায়ের ঘাম হবে কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধময়। তাগের ফ্রত্যেকের জইন্য এমন দুইজন স্ত্রী তাইকবে, যাগের সৌন্দর্যের দরুন মাংস ভেদ কইরা ফায়ের নলার আড়ের মজ্জা দেহা যাইবে। তাগের মইধ্যে কোন মতভেদ তাইকবে না। ফারস্ফরিক বিদ্বেষ তাইকবে না। তাগের সহলের অন্তর একডা অন্তরের মত হবে। তারা সহাল-সন্ধ্যায় তাসবীহ পাঠে রত তাইকবে।” আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবাহানঅতায়ালা এই চকল নিয়ামত রেকেচেন শুধু উম্মতে মুহাম্মাদীর জইন্য। বলেন চুবানাল্লা।

আমি সবাইর সাত সাত কই উটলাম, “চুবানাল্লা”। হুজুর এইটা কইয়া, যে যে সুন্নত ফরে নাই, তাগের সুন্নত ফড়ার জন্য বইল্ল্যেন। নামায ফইত্তে দারাইলাম। আর মনে অই গেল হেই হুরির কতা, যেইডা মাত্রই হুগুুর বইন্যনা কইল্ল্যেন। তাগের ফায়ের মাংস নাকি বের হইয়া নলার মজ্জা দেহা যাইব। আরে কত চুন্দর!! যদি এই দুইন্যায় ফাইতাম, তালি দিন রাইত তারি লই আদর ছোহাক কইত্তাম।

এই কতা ভাইবতে ভাইবতে নিজেরে আটাকাইতে পাইরলাম না, চুরা পরার আগেই কাম অইয়া গেল। আমি নামাচ থুই বাড়ির দিকে জোরে আটা দিলাম, ওদিকে জইল্লার বাফে ফিছন থিকি ডাইক পাইত্তাছে… ও ইমানুইল্লা কই যাও, এদিকে আমি তার কতায় কান না দিয়া তারাতারি বারি ফিরি আমার ছোড বোউ মজ্জিনারে কুইজতে লাইগলাম। দেহি, আমার বউ পাশের বারির মাইয়াডার লগে ফুতুল খেইলতেছে। আমি যাই লাথি মাইরা ফুতুল কেলা ভেঙ্গে দিলাম আর তারে ফুতুল কেলা থেইক্যা উঠ্যাইয়া টাইন্তে টাইন্তে গরের সিকল লাগাইলাম। এরপর নিজেরে ঠান্ডা করি ফরজ গোসল কইত্তে চইল্লাম।

Category: ধর্মকারীTag: কোরানের বাণী, মিতকথন, রচনা, হাদিস
Previous Post:গরুপূজারি গাধাগুলো – ১৮৬
Next Post:সম্পর্কের ধাঁধা

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top