লিখেছেনঃ মাহবুব রশিদ
বামগো গালি দেয়া হইল দুনিয়ার সব চাইতে সহজ ও বীরত্বপূর্ণ কাজ।
এই কাজে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে আলু পত্রিকা আর লীগ।
আমি তাদের জন্য যথাক্রমে পুলিৎজার আর পিস নোবেল দাবি করি।
বামেগো গাইল্লাইলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই, সবাই খুশি থাকে। কয়েকটা বাম হয়তো মিন মিন কইরা কিছু কইয়া যায়। তাতে কারো কিছু ফালানি যায় না।
যেমন আলু পত্রিকা আইজ আমার বইনেগো নিয়া নোংরামি করল।
সাহত্য পাতায়।
এর আগেও তারা সাহিত্য পাতায় সাহিত্যের নামে নোংরামি করছিল।
বামেগো গাইল্লাইলে কোন সমস্যা হইব না কারো।
আমার দেশ বন্ধ হইয়া গেছে, আমার দেশের পাঠক দের একটা বিকল্প চাই। ২ লাখ সার্কুলেশন মুখের কথা নাই। এই টার্গেট গ্রুপ আলু ধরতে চাইতেই পারে।
তাইলে কি করতে হবে?
আমার বইনদের একটু গালি দিতে হবে। সুড় সুড় করে আমারদেশের পাঠকেরা আলুর পাঠক হয়ে যাবে। অনেক দিনের জন্য।
আর শাহবাগের পক্ষের লোক যারা তারা তো আলু এমনেও পড়বে অম্নেও পড়বে। কম কভারেজ তো দেয় নাই তারা শাহবাগ আন্দোলনকে।
একটু নাহয় স্খলন হইলই।
আবার চট্টগ্রামে বিয়েনপি জামায়াতের হাতে লীগের কয়েকজন মরার পর বামেরা গালি খাচ্ছে- বামেরা নাকি শাহবাগে বসে খালি সংস্কৃতি করে। আর মরতে নাকি হয় কেবল লীগেরই।
বাহ, ভালই তামাশা।
আমরা যখন কইছিলাম, জামায়াত নিষিদ্ধ কর, লীগ করে নাই।
আমরা যখন কইছিলাম, এদের আত্ত্রহিক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ব কর।
আমরা যখন কইছিলাম, এদের অস্ত্র-শক্তি-প্রশিক্ষণ ব্যাবস্থা চিহ্নিত কর।
আমরা যখন কইছিলাম, এদের জঙ্গী অর্থায়ন বন্ধ কর।
তখন আপনারা শুনেন নাই।
এখন মাইর খাইতেছেন। আমরা তো ভাই সংস্কৃতিই কইরা থাকি কেবল , শাসক দলের অনেক এ্যাডভান্টেজ থাকে। আপনারা সেগুলা এক্সেরসাইজ না করতে পারলে আমরা কি করুম?
শাহবাগে যখন হেফাজত ২ হাজার লোক নিয়া আক্রমণ করছিল তখন আমরাই তাদের প্রতিহত করছি।
প্রতিহত করার সুযোগ পেলে আমরা কারো থেইকা কম যাই না- ইতিহাস সাক্ষি আছে।
আমাদের নিষ্ক্রিয় কইরা রাইখা- ইনক্যুবেটেড কইরা রাইখা ছিচ কাঁদুনে বাচ্চার মত কান্না কাটি অথবা পায়ে পা বাঁধিয়ে বকাবকি লীগের ‘বীরত্বের’ প্রকাশ ভাল ভাবেই করতেছে।
আমার বীর পুরুষ লীগের কর্মীরা লূট পাট, সন্ত্রাস, টেন্ডার বাক্স চুরি যতটা দক্ষ ততটাই বামেগো গালাগালিতে।
অন্যক্ষেত্রে তাদের বীরত্বের প্রমাণ এখনো পাই নাই।
Leave a Reply