লিখেছেন নরমপন্থী
১.
প্রিয় আস্তিক ভাই ও বোনেরা, আপনারা যদি নাস্তিক হবার কথা চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন, তাহলে আমি আগে-ভাগে সাবধান করে দিতেছি – এই ভুলটা করবেন না। এইটা ওয়ান ওয়ে রোড; একবার হইলে ইচ্ছা থাকলেও পুনরায় বিশ্বাসী হইতে পারবেন না। আমি গত বেশ কয়েক বছর আগে নাস্তিক হবার পর থেকে অনেক সমসস্যায় ভুগতেসি। প্রধান সমস্যা – ইদানীং আমার বড় একা একা লাগে। আমি আবার আস্তিক হইতে চাই, কিন্তু তাতেও মহা সমস্যা – আমি অনেক চেষ্টা করেও পারতেসি না। অনেক মসজিদে গেলাম, অনেক জাকির নায়েক শুনলাম (খালি হাসি আইসা পরে); আমি কীভাবে যা জানি তা ভুলে যাব? আমি অভিনয় করে যাইতেছি, যাতে আমি আবার পুনরায় আস্তিক হইতে পারি। তবে তা সম্ভব নয় – ধার্মিকেরাই সুখী। ধার্মিক থাকুন, ভালো থাকুন। অন্ধকারই আরামদায়ক।
২.
যে কোনো প্রাচীনকালে রচিত কোনো বই পড়ে বুঝতে হলে আমাদের বইটার ভাষা পড়তে পারার পাশাপাশি বইটা রচনাকালীন সময়ের মানুষের জীবনযাত্রা, জ্ঞানের পরিধি জানা থাকলে লিখিত কথাগুলির তাত্পর্য উপলব্ধি করতে সহজ হয়। কোরান যখন “প্রকাশিত” হইতেছিল, তখন মানুষ পৃথিবীকে সমতল ভাবত এবং তার উপরে মহাকাশ সম্পর্কে তাদের ধারণা সীমাবদ্ধ ছিল। কোরানের অর্থ সবচেয়ে সহজভাবে বুঝতে হলে তত্কালীন পাঠকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পড়লে তা সম্ভব হয়। আকাশের উপরে সাত আসমান কল্পনা সহজ হয়, উপরে আল্লাহর আরশ কল্পনা করা যায়। ইদানীং তথাকথিত জাকির নায়েক জাতীয় কোরানের বিশ্লেষণ এবং বিজ্ঞানের সাথে গায়ের জোরে মিল টানানোর উদ্দেশ্যে যে-ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দেখে শুনে যারা বিরক্ত, তাদের আমি বলবো – প্রেক্ষাপট বুঝতে চেষ্টা করুন, তাহলে দুধকা দুধ পানিকা পানি পরিষ্কার হয়ে যাবে। হঠাৎ মনে হবে, হয়ত এই পুস্তকের রচয়িতার জ্ঞানের পরিধি সম্ভবত বর্তমান যুগের একটা দশ বছরের বাচ্চার চেয়েও কম।
৩.
আমাদের ধর্মবিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরার প্রবণতাকে বুঝতে হলে হাস্যকর এবং গবেষণামূলক এই ভিডিওটা সাহায্য করতে পারে। এই গবেষণায় দেখা যায়, চারপাশে সবাই যখন একটা ভুল কথাকে ঠিক বলতে থাকে, একজন ব্যক্তি তার নিজের যুক্তি-বিবেচনা মাটিচাপা দিয়ে সবার সাথে তাল মেলাতে শুরু করে। আসুন, অন্য কিছু প্রসঙ্গে চিন্তা করার আগে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করার পথে নিম্নবর্ণিত বাধা অপসারণ করি। আসলে আমাদের চিন্তা-ভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা অন্যদের দ্বারা কতটা প্রভাবিত হতে পারে, তা নিচের গবেষণা থেকে অনুমান করা যায়
(ভিডিও লিংক: https://youtu.be/TYIh4MkcfJA)
৪.
ইসলামের ইতিহাসে প্রধান চার খলিফা মহানবীর (সাঃ) প্রিয় পাত্র ছিলেন। ইসলামের প্রাথমিক প্রসারের পেছনের তাদের অবদান কী ছিল, একটা উপমা থেকে অনুমান করা যেতে পারে। ভিডিওতে এই মজার বক্তব্যটা শুনুন, তারপর প্রশ্ন করুন: চোদ্দশ বছর আগে যে-বিপ্লব শুরু হয়েছিল, তার সাফল্যের পেছনে প্রধান কেন্দ্রীয় নেতাকে নেতা বানানোর প্রথম চার অনুসরণকারীর কী ভুমিকা কি ছিল? আর এই ভূমিকার বদৌলতে তারা রাষ্ট্রনায়ক হবার সুযোগ পেয়েছিল কি না।
(ভিডিও লিংক: https://youtu.be/V74AxCqOTvg)
(ভিডিও লিংক: https://youtu.be/V74AxCqOTvg)
Leave a Reply