জাহান্নামি নাস্তিকদের যন্ত্রণায় ঠিকমত কোরান তেলোয়াত করতে পারছি না। আজকে আমি সুরেলা কন্ঠে, মাখরাজ গুন্না সহকারে কলকলা হরফ সঠিকভাবে উচ্চারণ করে কোরান তেলোয়াত করছিলাম। যার বাংলা অর্থ নিম্নরূপ:
“হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ত করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পণ করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য – অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।” [কোরান ৩৩:৫০]
এক নাস্তিক আমাকে বাধা দিয়ে জিজ্ঞাস করল:
– হুজুর, “নবীজির অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে” বলতে আল্লাহ কী বুঝাচ্ছেন? নবীজির কী এমন অসুবিধা ছিল?
আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমি তাকে তেতুল তত্ত্ব শুনিয়ে দিলাম:
– তেতুল দেখলে জিভে যেমন পানি আসে, ঠিক তেমনি মেয়ে মানুষ সামনে পড়লে … এই পানি আসে। এইটা মুসলমান ঈমানদার পুরুষ মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা। যদি পানি না আসে তাহলে বুঝতে হবে আপনি পুরুষ না।
নাস্তিক বলল:
– হুজুর, কিছুই বুঝলাম না।
আমি উত্তর দিলাম:
– আপনি আন্ডারওয়ার পরেন কেন? নিশ্চয়ই বিব্রতকর অসুবিধাজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে? নবিজী আন্ডারওয়ার পরিধান করতেন না। তাই নবীজির অসুবিধা দূর করতে আল্লাপাক উপরোক্ত আয়াত নাজিল করেছেন।
মুর্খ নাস্তিক বলিল:
– হুজুর, কিছুই বুঝলাম না।
আমি প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বললাম:
– ওরে জাহান্নামি নাস্তিক, তুই awkward boner লিখে গুগলে সার্চ দে।
গুগলে সার্চ দিয়ে নাস্তিক এসে বলিল:
– ছি, ছি, ছি নবীজিরে অনেক ভাল মনে করছিলাম। নবিজির কি ২৪/৭ awkward boner হয়ে থাকত?
আমি বলিলাম:
– আস্তাগফিরুল্লাহ, কোরানের সব কিছু নিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা ঠিক না, ঈমানে ঝাকুনি লাগতে পারে।
Leave a Reply