লিখেছেন নাস্তিক ফিনিক্স
পর্ক বা শুয়োরের মাংস নিয়ে একটা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অন্য একটা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে জোকার নালায়েক। সে বলেছে, “পর্ক খেলে শুয়োরের মত আচরন করবেন। শুয়োর একমাত্র প্রাণী, যে নিজের সঙ্গি/সঙ্গিনীকে পরের সাথে শেয়ার করে। ইউরোপীয়রা পর্ক খায়, তাই তারা শুয়োরের মতো নিজের সঙ্গী/সঙ্গিনীকে পরের সাথে রতিক্রিয়ায় ভাগ করে নেয়।”
সম্প্রতি ব্রিটেনের এক ইউনিভার্সিটিতে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাদুড় প্রজাতির মহিলা-বাদুড় ইনসেস্ট ঠেকাতে Mate-Share বা নিজের সঙ্গীকে পরের সাথে (এমনকি নিজের মায়ের সাথে) রতিক্রিয়ায় ভাগ করে নেয়।
এখন কথা হচ্ছে, বিভিন্ন জাতির আদিবাসী বাদুড় ভক্ষণ করে, কিন্তু তারা পারিবারিক বা Mate-Share, কোনো যৌনতাতেই মেতে নেই।
বেড়াল প্রজাতির মধ্যে পারিবারিক ও কুকুর প্রজাতির মধ্যে Mate-Sharing আছে। চৈনিকরা কুকুর-বেড়াল ভক্ষণ-উৎসবে মেতে ওঠে, তবুও তাদের মধ্যে পারিবারিক বা Mate-Sharing লক্ষ্য করা যায় না।
আসলে এমন অনেক পশুই আছে, যারা মানুষের ভাষায় ‘বিকৃত কামে’ মেতে ওঠে, যাদের আমরা ভক্ষণও করি, তবুও আমরা তাদের মত আচরণ করি না।
তবে নালায়েক মশাই পুরোপুরি ভুল, বোধহয়, বলেনি! নবী মুহম্মদ ও তার পুত্রবধূ জয়নাবের পারিবারিক যৌনতার সঙ্গে পারিবারিক যৌনতায় অভ্যস্ত গরু-ছাগল ভক্ষণের কোনও যোগাযোগ আছে কি না, ভেবে দেখা যেতে পারে।
Leave a Reply