• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

ঈশ্বরের অনৈশ্বরিক কর্মকাণ্ড – ৬

You are here: Home / ধর্মকারী / ঈশ্বরের অনৈশ্বরিক কর্মকাণ্ড – ৬
November 5, 2015
লিখেছেন সমকোণী বৃত্ত
প্রসঙ্গ: মানবজাতির সৃষ্টিরহস্য
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির পূর্বে ঈশ্বর কি কোনো কর্মে লিপ্ত ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। কর্মশূন্য থাকলেও মনে বাসনা জাগে, কর্মে লিপ্ত হবেন। অতএব যেই চিন্তা সেই কাজ।
সনাতন ধর্ম (হিন্দুধর্ম) মতে, ব্রহ্মার শরীর থেকে দু’জন মানুষ সৃষ্টি হয়। পুরুষটির নাম স্বায়ম্ভুব মনু, আর নারী শতরূপা। (ভাগবত ৩/১২/৫৪) স্বায়ম্ভুব মনু ও শতরূপার প্রিয়ব্রত ও জ্ঞানপদ নামে দুই পুত্র এবং আকুতি, দেবাহুতি ও প্রসূতি নামে তিন কন্যা জন্মগ্রহণ করল।এদের মাধ্যমেই মানুষের বংশবিস্তার লাভ। যেহেতু মানুষ বলতে এরাই ছিল, তাই এটা বলাই যায় যে, পৃথিবীর সকল মানুষই তাদের অজাচারের (ইনসেস্ট) ফসল।
মহাশক্তিধর, গুণবান ঈশ্বর বেছে বেছে অজাচারকেই বেছে নিলেন বংশবৃদ্ধির জন্য। অন্য উপায় খুঁজে পাননি, নাকি সদিচ্ছার অভাব ? তিনিই ভাল জানেন।
এর চেয়েও নাটকীয় হলো আব্রাহামিক ধর্মগুলো মতে মানব সৃষ্টির প্রক্রিয়া।
ইসলাম ধর্মমতে – সর্বশক্তিমান আল্লাহ দুনিয়াতে তাঁর প্রতিনিধি প্রেরণের ইচ্ছা করলেন। তারপর এই ইচ্ছার কথা ফেরেশতাদের জানালেন এবং তাদের মতামত জানতে চাইলেন। [এখানে জেনে রাখা ভাল: ফেরেশতাদের নিজস্ব মতামত দানের ক্ষমতা বা স্বাধীন ইচ্ছা বলতে কিছু নেই। এদের বলা যেতে পারে “আল্লার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র”।] যাদের মতামত দানের ক্ষমতাই নেই, তাদেরই কাছে মহামান্য আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, “আমি দুনিয়াতে আমার প্রতিনিধি পাঠাতে চাই, তোমরা কী বলো? (সূরা বাকারা : আয়াত ৩০)
সৃষ্টিকর্তা এতো বোকা হলে কি চলে? যারা শেখানো বুলি ছাড়া কিছু বলতেই পারে না, তাদের কাছেই মতামত জানতে চাওয়া কি বোকামি নয়? ধরুন, আপনি টিভির ON বাটন চাপলেন, টিভি ON হয়ে গেলো। এখন এতে যদি আপনি সন্তুষ্ট না হন; তবে বুঝতে হবে, সমস্যা টিভিতে নয়, সমস্যা আপনার মাথায়। আর হ্যাঁ, “টিভি নষ্ট হয়ে গেলে নিজেই উল্টাপাল্টা কাজ করে” – এর জন্যও কিন্তু দায়ী প্রস্তুতকারকই, টিভি নয় কোনোভাবেই।
টিভির গল্পটা স্মরণ রেখে এবার আসুন আল্লাহ ও ফেরেশতাদের মধ্যকার পরবর্তী কথোপকথনে শরিক হই।
তারপর ফেরেশতারা বললো: আপনি কি দুনিয়াতে এমন কাউকে পাঠাবেন, যারা যুদ্ধে লিপ্ত হবে, বিশৃঙ্খলা করবে, রক্তপাত ঘটাবে? আল্লাহ: আমি যা জানি তোমরা তা জান না। (সূরা বাকারা : আয়াত ৩০)
আমরা দেখছি পৃথিবীতে মানুষ এসেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে চলছে। রক্তপাত শুরুই করে প্রথম মানুষেরা। আদম-হাওয়ার দুই ছেলে হাবিল আর কাবিল। কাবিল কর্তৃক হাবিল নিহত হয়। (সূরা মায়েদা আয়াত ২৭-৩১)
কথা হল, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ অগণিত রক্তপাত ঘটিয়েছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। তাহলে কে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেশি জ্ঞাত ছিল? আল্লাহ, নাকি ফেরেশতারা? সেটা আপনারাই বুঝে নিন। এখন যদি বলেন “আল্লাহর ইচ্ছাতেই ফেরেশতারা ঐ কথা বলেছিল,” তাহলে আল্লাহ ফেরেশতাদের কথায় প্রতিবাদ করেছিলেন কেন? আল্লার কথাই যদি ফেরেশতারা বলে, তারপরও যদি আল্লাহ ফেরেশতাদের সাথে দ্বিমত হন, সন্তুষ্ট না হন, তাহলে ওপরে বর্ণিত টিভির গল্পটি মনে করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন।
এবার আসুন, একটু পেছনে ফেরা যাক, যখন আল্লাহ আদম-হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন সেই সময়টাতে। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোর সাধ মেটানোর জন্যই আদম-হাওয়াকে সৃষ্টি করেছিলেন। তো তাদের পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেই তো হয়ে যেত। কিন্তু তিনি পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য সৃষ্ট মানুষকে পাঠালেন জান্নাতে। এতে কি আলার সাধ মিটলো? সেটা আল্লাই জানেন। তো তারপর তাদের পেছনে ইবলিশকেও লাগিয়ে দিলেন। এখন যদি বলেন “লাগিয়ে দেননি, ইবলিশ নিজেই গেছে!”, তাহলে বলবো: এরকম অরক্ষিত জান্নাতে যাবার জন্যই কি মুমিনেরা এত পণ্ডশ্রম করে, যেখানে ইবলিশও প্রবেশ করতে পারে। প্রাইভেসি বলতে কিছু নেই সেখানে।
যাই হোক, ইবলিশ তাদের ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে জান্নাত থেকে ডিমোশন করিয়ে পৃথিবীতে ট্র্যান্সফার করে। এভাবে আল্লার মনের সাধ মেটে ইবলিশের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে। তবুও নাকি ইবলিশ ঘৃণ্য। অন্যদিকে আল্লাহ আদা খাননি, কিন্তু আদার রস খেয়েছেন। মানে সরাসরি আদম-হাওয়ার লাভ-জুটিকে পৃথিবীতে না পাঠিয়ে মাঝখান থেকে তাদের অপরাধী করে কাঁদিয়ে এবং শয়তানকে আরো ঘৃণ্য করে তারপর পাঠালেন। এক্ষেত্রে এটা বলাও অপ্রাসঙ্গিক নয়: “শিলে পাটায় ঘষাঘষি মরিচের কাজ শেষ।”
এত কিছু করেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্ধবিশ্বাসীদের অন্তরে ঈশ্বর ‘মহান’-এর পদেই বলবৎ রহিয়াছেন।
Category: ধর্মকারীTag: রচনা
Previous Post:পষ্ট কইরা লেখা – ১৭
Next Post:নিত্য নবীরে স্মরি – ২১১

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top