লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯ > পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫ > পর্ব ৬৬ > পর্ব ৬৭ > পর্ব ৬৮ > পর্ব ৬৯ > পর্ব ৭০ > পর্ব ৭১ > পর্ব ৭২ > পর্ব ৭৩ > পর্ব ৭৪ > পর্ব ৭৫ > পর্ব ৭৬ > পর্ব ৭৭ > পর্ব ৭৮ > পর্ব ৭৯ > পর্ব ৮০ > পর্ব ৮১ > পর্ব ৮২ > পর্ব ৮৩ > পর্ব ৮৪ > পর্ব ৮৫ > পর্ব ৮৬ > পর্ব ৮৭ > পর্ব ৮৮ > পর্ব ৮৯ > পর্ব ৯০ > পর্ব ৯১ > পর্ব ৯২ > পর্ব ৯৩ > পর্ব ৯৪ > পর্ব ৯৫ > পর্ব ৯৬ > পর্ব ৯৭ > পর্ব ৯৮ > পর্ব ৯৯ > পর্ব ১০০
স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীরা কীভাবে বানু আল-মুসতালিক গোত্রের লোকদের ওপর বিনা নোটিশে অতর্কিত নৃশংস আগ্রাসী হামলার মাধ্যমে তাঁদের সমস্ত সম্পদ লুণ্ঠন করেছিলেন ও তাঁদের কিছু লোককে খুন ও বহু লোককে বন্দী করে ধরে এনে দাস ও যৌনদাসী রূপে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করার ব্যবস্থা করেছিলেন – তার আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনা: [1] [2] [3]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১০০) পর:
‘উরওয়া বিন আল-যুবায়েরের (Urwa b. al-Zubayr) কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মুহাম্মদ বিন জাফর বিন আল-যুবায়ের বলেছেন যে, আয়েশা হইতে বর্ণিত হয়েছে:
যখন আল্লাহর নবী বানু আল-মুসতালিক হামলায় ধৃত বন্দীদের বণ্টন করছিলেন, থাবিত বিন কায়েস বিন আল-শামমাস অথবাতার জ্ঞাতি ভাইয়ের ভাগে পড়ে জুয়াইরিয়া। (আল-ওয়াকিদি: ‘থাবিত বিন কায়েস বিন আল-শামমাস ও তার জ্ঞাতি ভাই (Cousin) এর ভাগে পড়ে। সে তাকে তার জ্ঞাতি ভাইয়ের কাছ থেকে মদিনার খেজুরের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেয়।’); জুয়াইরিয়া তার হাত থেকে মুক্তিলাভের আবেদন জানিয়ে তার কাছে এক দলিল (Deed) পেশ করে।
সে ছিল অতি সুন্দরী এক মহিলা। প্রত্যেকটি পুরুষ, যারাই তাকে দেখেছে, তাদের সবাইকে সে করেছে বিমোহিত। তার মুক্তির ব্যাপারে সাহায্যের জন্য সে আল্লাহর নবীর কাছে আসে। তাকে আমার [আয়েশা] ঘরের দরজার সামনে দেখা মাত্রই আমি তাকে অপছন্দ করি, কারণ আমি জানি যে, আমি তাকে যেরূপ ভাবে দেখছি, তিনিও তাকে এমনভাবেই দেখবেন।
সে তাঁর কাছে আসে ও বলে যে, সে হলো তাদের গোত্র নেতা আল-হারিথ বিন আবু দিরারের কন্যা, বলে, “আপনি দেখেছেন যে, কী পরিস্থিতি আমাকে আপনার কাছে আসতে বাধ্য করেছে। আমি থাবিত (অথবা তার জ্ঞাতি ভাই) এর ভাগে পড়েছি ও মুক্তিপণের বিনিময়ে আমাকে মুক্ত করার জন্য তার কাছে এক দলিল পেশ করেছি; এই ব্যাপারে আপনার সাহায্যের জন্য আমি এখানে এসেছি।” তিনি বলেন, “তুমি কি এর চেয়েও ভাল কিছু পছন্দ করবে? আমি তোমার মুক্তিপণ রহিত করবো ও তোমাকে বিবাহ করবো।” সে তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়।
(‘—She came to the apostle to ask his help in the matter. As soon as I saw her at the door of my room I took a dislike to her, for I knew that he would see her as I saw her. She went in and told him who she was- d. of al-Harith b. Abu Dirar, the chief of his people. ‘You can see the state to which I have been brought. I have fallen to the lot of Thabit (or his cousin) and have given him a deed for my ransom and have come to ask your help in the matter.’ He said, ‘Would youlike something better than that? I will discharge your debt and marry you,’ and she accepted him.–’)
আল্লাহর নবী যে জুয়াইরিয়াকে বিবাহ করেছেন, এই সংবাদটি দ্রুতবেগে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে এবং যেহেতু বানু মুসতালিক গোত্রের লোকেরা বিবাহসূত্রে আল্লাহর নবীর সাথে সম্পর্কযুক্ত, লোকেরা তাদের ধৃত বন্দীদের মুক্ত করে (আল-ওয়াকিদি: ‘কিছু বন্দী আল্লাহর নবীর অনুগ্রহ প্রাপ্ত হয়ে বিনা মুক্তিপণেই মুক্তি লাভ করে, অন্যান্যরা মুক্তিলাভ করে মুক্তিপণের বিনিময়ে)। যখন তিনি তাকে বিবাহ করেন, এক শত পরিবারকে করা হয় মুক্ত। আমি এমন কোনো মহিলার খবর জানি না, যে তার নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য তার চেয়ে বেশি আশীর্বাদ বহন করে এনেছে।’
আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২) অতিরিক্ত বর্ণনার কিয়দংশ:
‘আল্লাহর নবী তাঁর অনুসারীদের হুকুম করেন, তারা যেন বন্দীদের এক পাশে বেঁধে রাখে। তাঁদের ঘোড়ার জিন ও কাপড়-চোপড়, অস্ত্র-শস্ত্র ও সম্পদ একত্রিত করে এবং তাঁদের গবাদি পশুগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে আসে। শুকরান নামের তাঁর এক অনুসারীকে তিনি এর দায়িত্বে নিয়োগ করেন। তিনি নারী ও শিশুদের আলাদা করে রাখেন। তারপর তিনি মাহমিয়া বিন জা’যা আল-যুবায়েদি (Mahmiya bin Jaz’a al-Zubaydi) নামের এক অনুসারীকে বণ্টন কার্যে নিয়োগ করেন – এক পঞ্চমাংশ ও বাকিটুকু মুসলমানদের জন্য। আল্লাহর নবী সমস্ত লুণ্ঠন সামগ্রীর এক-পঞ্চমাংশনিজে গ্রহণ করেন [পর্ব: ২৮-২৯]।’ [4]
ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা:
‘আবু সাইদ আল খুদরি হইতে বর্ণিত: বানু আল-মুসতালিক গোত্রের লোকদের ওপর সেই হামলার দিনে তারা (মুসলমানরা) কিছু নারী বন্দী করে ও তাদেরকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিপ্রায় ছাড়াই তাদের সাথে যৌনসঙ্গম করার মনস্থ করে। তাই তারা আল্লাহর নবীর কাছে আজল (coitus interruptus) করার অনুমতি প্রার্থনা করে। আল্লাহর নবী বলেন, “এটাই ভাল যে তোমাদের তা করা উচিত নয়। কারণ আখিরাত পর্যন্ত আল্লাহ যত লোক সৃষ্টি করবে, তা সে লিখে রেখেছে।”
কাযা’য়া বলেন, “আমি আবু আবু সাইদকে বলতে শুনেছি যে আল্লাহর নবী বলেন, ‘আল্লাহর বিধান বা নির্দেশ ব্যতিরেকে কোন আত্মাই সৃষ্টি হয় না।'” [5] [6]
(Narrated By Abu Said Al-Khudri: That during the battle with Bani Al-Mustaliq they (Muslims) captured some females and intended to have sexual relation with them without impregnating them. So they asked the Prophet about coitus interrupt us. The Prophet said, “It is better that you should not do it, for Allah has written whom He is going to create till the Day ofResurrection.” Qaza’a said, “I heard Abu Sa’id saying that the Prophet said, ‘No soul is ordained to be created but Allah will create it.”) [5][6]
– অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ – লেখক।]
>>> আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, শুধু লুণ্ঠিত সামগ্রীই নয়, মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা অতর্কিত হামলায় উন্মুক্ত শক্তি প্রয়োগে বানু আল-মুসতালিক গোত্রের মুক্ত মানুষদের ধরে নিয়ে এসে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। এই ভাগাভাগির দায়িত্বে ছিলেন মাহমিয়া বিন জা’যা আল-যুবায়েদি নামের এক অনুসারী। এই বন্দীদেরই একজন ছিলেন অতি সুন্দরী জুয়াইরিয়া বিনতে আল-হারিথ, বানু আল-মুসতালিক গোত্রের গোত্র প্রধানের কন্যা। এই অতি সুন্দরী রমণীটি অন্য এক অনুসারীর ভাগে পড়ে। কিন্তুযখন মুহাম্মদ এই সুন্দরী মহিলার সাক্ষাৎ পান, তিনি এই মহিলাটিকে তার মুক্তিপণের মূল্য মওকুফ এবং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবার লোভনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে হস্তগত করেন।
নবী পত্নী আয়েশা ঠিক এই আশঙ্কাটিই করেছিলেন। তাই যখন তিনি এই সুন্দরী মহিলাটিকে তাঁর ঘরের দরজার সামনে দেখতে পান, তখন তিনি তাকে অপছন্দ করেন। আয়েশার বর্ণনায় যে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো, মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ছিলেন সুন্দরী মহিলাদের প্রতি বিশেষভাবেআসক্ত।
ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা আরও জানতে পারি যে, অল্প কিছু সময় আগেই যে-নারীদের পিতা-মাতা, স্বামী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের করা হয়েছে খুন অথবা বন্দী, তাঁদের সমস্ত পরিবারকে করা হয়েছে তছনছ; সেই অসহায় নারীদের নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা তাঁদের সাথে যৌনকর্মে হয়েছিলেন লিপ্ত! একজনের ভাগে পড়া নারীকে তারা অন্যজনের কাছে করেছিলেন বিক্রি(থাবিত বিন কায়েসের জ্ঞাতিভাই থাবিতের কাছে), কিংবা দান(থাবিত বিন কায়েস মুহাম্মদের কাছে) – যেমনটি করা হয় গবাদি পশুদের ভাগাভাগি, বিক্রি কিংবা দান!
ইসলাম নামক মতবাদে,
“বিনা নোটিশে অবিশ্বাসী জনপদের ওপর অতর্কিত হামলার মাধ্যমে অসহায় নারীদের ধরে নিয়ে এসে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে তাঁদের সাথে অবাধ যৌনসুখের আনন্দ আহরণ সম্পূর্ণরূপে বৈধ, যা স্বয়ং স্বঘোষিত আখেরি নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ নিশ্চিত করেছেন তাঁর বাণী ও কর্মের মাধ্যমে। সিরাত ও হাদিসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা আরও জেনেছি যে, আজল (Coitus interruptus) কিংবা অন্য কোনো পন্থায় “এই গণিমতের মাল”-দের গর্ভবতী করার প্রক্রিয়ায় কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়! উচিত হলো অসুরক্ষিত পরম যৌন সুখের (Unprotected Sex) মাধ্যমে এই নারীদের গর্ভে সন্তান উৎপাদন!”
(চলবে)
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৪৯৩
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮, ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫১৭-১৫১৮ http://books.google.com/books?id=sD8_ePcl1UoC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false
[3] অনুরূপ বর্ণনা (Parallal): কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ১, পৃষ্ঠা ৪১১-৪১২
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ২০১-২০২
[4] Ibid কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি, পৃষ্ঠা ৪১০, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ২০২
[5] সহি বুখারী ভলুম ৯, বই ৯৩, হাদিস নম্বর ৫০৬
অনুরূপ হাদিস: সহি বুখারী ভলুম ৫, বই ৫৯, হাদিস নম্বর ৪৫৯
[6] অনুরূপ বর্ণনা: Ibid কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি, পৃষ্ঠা ৪১৩; ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ২০২
Leave a Reply