আবরার হত্যাকাণ্ড এবং পিনাকী ভট্টাচার্য স্যারের সাম্প্রদায়িক উস্কানি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। মূলত ঢাকা ট্রিবিউন নামক একটি অনলাইন পত্রিকার খবরের ভিত্তিতে পিনাকী স্যার দাবী করেছেন ‘অমিত সরকার’ এবং ‘অনিক সাহা’ (আসল নাম অনিক সরকার ও অমিত সাহা)–এই দুজন ছাত্রলীগ নেতাও এই আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং তারা দুজনেই ‘হিন্দু’। পিনাকী স্যারের সেই পোস্টের বহুল প্রচারিত স্নাপশটটি এখানে দেয়া হলো– তিনি নাম দুটির টাইটেলেও এদিক-ওদিক করে ফেলেছেন।
এদিকে আজ বিডিনিউজের একটি খবর থেকে জানা গেলো, আবরার ফাহাদ-এর বাবার ১৯ জনকে আসামি করে করা হত্যা মামলার পরপরই পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে, এবং এরা প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা আবরারকে ডেকে এনে পিটিয়ে হত্যা করা কথা স্বীকার করেছে। এদের নাম পরিচয়–
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয় বর্ষ), সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয় বর্ষ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ) এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না।
এর পর আজ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে– মনিরুজ্জামান মনির (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১) ও শামসুল আরেফিন রাফাত (২১)। তার মানে ১৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে ধরা হয়েছে।
এবার ঢাকা ট্রিবিউন ও পিনাকী স্যারের ইতরামীর ব্যাপারটায় আসা যাক–
এনারা হিন্দু উল্লেখ করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে যে দুইজন– অনিক সরকার ও অমিত সাহা–এর নাম উল্লেখ করেছেন, দেখা গেছে অনিক সরকারের পুরো নাম মোহাম্মদ অনিক সরকার–অর্থাৎ পিনাকী স্যারের পোস্টে উল্লেখিত অনিক কোনো ভাবেই ‘হিন্দু’ নন। আর বিডিনিউজের খবর থেকে জানা গেছে–অমিত সাহার নাম মামলায় নেই, এবং ২ অক্টোবর থেকেই দুর্গাপূজার ছুটিতে দেশের বাড়িতে আছেন। পুলিশ এ ব্যাপারে আরো খোঁজখবর নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য স্যারের মিথ্যাচার পূর্বক এই ইচ্ছাকৃত সাম্প্রদায়িক উস্কানির দায়টা এখন কে নেবে? এই পোস্টকে কেন্দ্র করে যদি হিন্দুদের উপর হামলা হতো, তাহলে পিনাকী ভট্টাচার্য স্যার উনার মুখটা কোথায় লুকাতেন?
শহীদুজ্জামান সরকার
পিনাকী স্যার যা চাচ্ছিলেন সেটা হচ্ছে এবং হইতেই আছে।
বর্তমানের টাইমলাইনে তিনিই শিরোনাম।
ফেসবুকের কথা বলতেছি।
দায়টা কে কখন কিভাবে নিয়েছে এসবের?
লেখালেখির স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি কিন্তু এই মহান স্যারের এরকম পোস্ট কোন রকম স্বাধীনতা হতে পারে না।
আপনারা জানতে চাইতে পারেন কেন?
সহজ বিষয়টা এরকম আপনার কোন একটিভিটিতে যখন একটা অন্যায় ঘটে যায় তখনই সেটা আর স্বাধীনতা থাকে না।
সেটা হয়ে যায় একটা অপরাধ।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় আপনি মদ খান কোন সমস্যা নেই,মাতলামি করতেছেন তাতেও সমস্যা নেই,গালাগালি করতেছেন তাতেও সমস্যা নেই।
কিন্তু যখন আপনি মদ খেয়ে, মাতলামি করতে করতে কারো গায়ে হাত তুললেন তখনই সেটা আপনার অপরাধ।
পিনাকীর মাতলামি আমার আপত্তি নেই।
আপত্তি এই জায়গায় উপরেই তো বিষয়টা বললাম।