• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

প্রমাণ চাই, প্রমাণ দেন

You are here: Home / পাল্লাব্লগ / প্রমাণ চাই, প্রমাণ দেন
October 1, 2019
প্রমাণ চাই, প্রমাণ দেন

প্রমাণ চাই, প্রমাণ দেন–এটা সাম্প্রতিক বঙ্গীয় ফেসবুক জগতের একটা জ্বালাময়ী স্লোগান

[ প্রমাণ এবং চাটাচাটি নিয়ে একটু হাউকাউ। যাদের নাম আসছে, কাউকে অসম্মান বা গালাগালি করা হয় নাই, সবাইরে স্যার বইলা সম্বোধন করা হইছে। তাই কিছুই ব্যক্তিগতভাবে নিয়েন না প্লীজ। নতুন কইরা কারো সাথে শত্রুতা করার ইচ্ছা নাই। আর সবাই যে সমালোচনা নিতে পারেন, সেটা অতীতে অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে। তাই এখানেও সমালোচনার কিছু পাইলে আগেই মতোই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। ধন্যবাদ।]

ইসবাম-ইসবামিস্ট নিয়া গতমাসের ১৫ তারিখে একটা কাভার পেজ বানাইয়া আপলোড দিছিলাম। এই শব্দদুইটার ক্রেডিট পাল্লার না। এর পেছনে কিছু গল্প আছে। যে প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই শব্দ দুইটা মাথায় আসছিল, গত দুই সপ্তাহে সেই প্রসঙ্গের কিছুটা হলেও ইতি ঘটেছে গতকালের প্রমাণ-প্রমাণ খেলার লাইভে। এই সবকিছু নিয়ে সামগ্রিক ভাবে মাথায় যা আছে–এখানে বলে রাখি–

লিস্টে পরিচিতদের মধ্যে একমাত্র বিশু স্যার আছেন, তিনি কেমনে কেমনে জানি পুরান আইডি অক্কা পাইলেই খুঁইজা খুঁইজা নতুন আইডিতে আইসা আবার এড হন। তিনি ফেসবুকের মোটামুটি সব ছেলেবেটিদের ফলো করেন, কিন্তু নিজে প্রকাশ্যে কিছু বলেন না। অনলাইনে এলেই ইনবক্সে লিঙ্ক ধরাইয়া দিয়া খোঁচা মারেন। আমার লিস্টে তেনারা খুব একটা নাই বলে ওয়ালে খবর পাই না, আর নাম ধরে ধরে সবার ওয়ালে গিয়ে কাহিনী দেখার সময়ও হয় না বলে স্যারের এই কাজগুলাতে আমার মাঝে মাঝে বেশ উপকার হয়–ফেসবুকীয় ইস্যুগুলির সাথে কিছুটা হলেও পরিচয় ঘটে… আর এ থেকে পরে নিজের ওয়ালেও দু-চার লাইন লেখার সুযোগ হয়। বিশু স্যাররে স্পেশাল ধন্যবাদ দিয়া উনার অনুমতিক্রমে পাল্লার নামে শুরু করিলাম–

তিনি প্রথম পুলক স্যারের পোস্ট ইনবক্স কইরা খোঁচা মারলেন–তুই কই?
উত্তর দিলাম– চাচা আপন আইডি বাঁচা…

লাস্ট আইডিটা হারাইছিলাম পোস্টে ছেলেবেটিদের নাম-ছবি উল্লেখ কইরা। পোস্টে কারো নাম বা ছবি দিলেই তেনারা জুকার মোল্লার দরবারে উপস্থিত হইয়া কান্নাকাটি কইরা এই মর্মে মামলা ঠুইকা দেন যে, তাদের নাম ছবি নিয়া নাকি তাদেরকে নাকি ‘এবিউজ’ করা হইছে… এইসব কারণে আজকাল পোস্টে কারো নাম নিতেই ডর লাগে। আর স্নাপশট পোস্টাইলে যদি তাদের নাম-ছবি মুইছাই দিতে হয়, তাইলে আর মগা থাকলো কই!

যা হোক, পুলক স্যারের পোস্টে ঢুকলাম। ওয়াপনরিলেশনশিপেরএকটিইসঠাঠাসহইতেআহরিতগিয়ান-এর সৌজন্যে একটা পোস্টও দিছিলাম। সেখানে সুষুপ্ত পাঠক স্যার কমেণ্ট দিছিলেন–//আপনে ঐ পোস্টে গেলেন না কেন? আশা করেছিলাম যাবেন।//–সেইটা দেইখা বিশু স্যার আবার ইনবক্সাইলে–তোরে সুষুপ্ত দাওয়াত দিচ্ছে।
কইলাম–আল্লায় আইসা দাওয়াত দিলেও এই সবে আর নাই।
বিশু স্যার তবু হাল ছাড়েন না। বাউন্সার দিলেন–নবুয়াতি পেলে যাবি নিশ্চয়।
শুইয়া পইড়া ডাক মারলাম–এখন আইডি গেলে আর আইডি বানাইতে ভাল্লাগে না। তাই মাফ সাই…

(এখন আর সেসব পোস্ট-কমেন্টের রেফারেন্স খুঁজতে পারব না) মনে আছে কোথায় যেন নাদিয়া স্যার বার বার বলছিলেন–প্রমাণ চাই, প্রমাণ দেন (পিনাকী স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগের)… তারপর বোধহয় আসিফ স্যারও পুলক স্যারের হয়ে ফাইট দিতে যোগ দিছিলেন… নাদিয়া স্যার তেনাকেও বলছিলেন– প্রমাণ চাই, প্রমাণ দেন… তারপর দেখি পিনাকী স্যারও বলছেন–প্রমাণ দেন প্রমাণ দেন…

এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্যার আবার ইনবক্স করলেন–নাদিয়া তো পিনাকীর পক্ষে যোগ দিল!
আমি তো অবাক! বলে কী! আমি তো জানি নাদিয়া পিনাকী স্যাররে ধুইয়া-মুইছা সাফ কইরা পোস্ট দিতেন।
বিশু স্যার বললেন–রাজনীতিতে যেমন শেষ কথা বলে কোনো কথা নেই, তেমনি তোদের ফেসবুকের মধ্যেও অনেকদিন আগেই রাজনীতি ঢুকে গেছে–এখানেও শেষ কথা বলে কোনো কথা নেই।

প্রথম দিকের ঘটনা দেখে আমার মনে হয়েছিল– পিনাকী স্যার নিজে যখন প্রমাণ চাইছেন, তখন নিশ্চয়ই তেনার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগের প্রমাণ পুলক-আসিফ স্যাররা হাজির করে পিনাকী স্যারের খেল খতম করে দিবেন। টান টান উত্তেজনা নিয়ে গ্যালারিতে বসে আছি… কিন্তু আসিফ স্যাররা তখন প্রমাণ হাজির না করে ব্যক্তিআক্রমণের দিকে চলে গেলেন (রেফারেন্স দিমু না)। তখন নাদিয়া স্যারও সেদিকে যেতেই আসিফ স্যাররা আবার নাদিয়া স্যারের কাছে প্রমাণ দাবী করলেন। তখন নাদিয়া স্যার এরকম কিছু বলছিলেন–তোমার যখন প্রমাণ ছাড়াই এতো কিছু কইতেছ, তখন আমিও এমন কিছু কমু কিন্তু প্রমাণ দিমু না–এখন বুঝো কেমনে লাগে… হি হি… তারপর-পরই মনে হয় মাঠে হাগাহাগি শুরু হইয়া যায়… কী, ঠিক কইলাম, না কি বেঠিক? কথা কন না কেন?

এই সময়ে আমি গ্যালারি থিকা বাইর হইয়া টয়লেটে গিয়া মুইতা দিছি। ভাবছিলাম আগুন নিভলে তখন না হয় আবার ঘুইরা আসব। সেইটা আর হইয়া ওঠে নি, কারণ ততক্ষণে স্যারের সাথে ইনবক্সে মজার মজার কমেন্ট চালাচালি শুরু হইয়া গেছে–সেই কমেন্টে চালাচালির সূত্র ধইরাই ইসবাম আর ইসবামিস্ট শব্দ দুইটা চলে আসছিল। ১৫ তারিখে সেটাই কাভার পিকে দিছিলাম।

এবার স্যারের সাথে কী কী কথা হইল, সেগুলা দিতেছি

-আরেকটা জিনিশ বলতে ভুলে গেছি। এই খেলায় একা পিনাকি রাইসু নাদিয়ারে নামায় নাই

–নাদিয়া আইলো কইত্তে তাইলে

-নামাইছে বাকি বিল্লাহ পারভেজ সহ ইসলামি বামেরা
এদের সম্মিলিত একটা চেষ্টা আছে নাদিয়ারে দিয়া একটা খিচুড়ি করার
সামনে হয়তো পিনাকি আর নাদিয়া মিলেমিশে এভাবে নানাভাবে একেক্টাকে সুডবে
নাদিয়ার গ্রহণযোগ্যতা রাইসুর কল্যাণে দালাল সাহিত্যিক থেকে অনেকের কাছেই আছে
এটা সে এখন কাজে লাগাচ্ছে
আর ব্লগারদের নিয়া তো খাউজানি সবার আছেই

–এর মধ্যে আরিফ কী করে (খুব সম্ভবত নাদিয়ার কমেন্টে আরিফের লাইক দেখে এই প্রশ্ন করছিলাম স্যারকে)

-আরিফের অবস্থান বুঝা মুশকিল
সে মনে হয় এখন নিজেরে মিশেল আরিফ ভাবে

এরপর আরিফ স্যাররে নিয়া কিছুক্ষণ কথা হয়। প্রসঙ্গক্রমে স্যার বলেন যে–প্রস্তুতি ছাড়া, বিশেষ করে এইচএসসি লেভেলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান নিয়া উনাদের সাথে আলোচনা ছেলেমানুষী ছাড়া আর কিছু নয়। যেমন, অধ্যাপক রীয়াজের সাথে লাইভটা খুব কাঁচা লেভেলের কাজ। (এই ফাঁকে আমি কইলাম–লাইভ দেখার সময় হয় না। আর আশা করি বিশু স্যারের এই গঠনমূলক সমালোচনায় আরিফ স্যার কিছু মনে করবেন না। তবে স্যারের এই কথাটা আরো বেশি সত্য হইছে, মানে এই যে প্রস্তুতি ছাড়া লাইভে আসা–স্যার কালকের লাইভ শেষে এই কথাগুলাই আবার আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন–দেখলি এরা প্রস্তুতি ছাড়া আসছে, আর আসিফ ঠিকই ঠাণ্ডা মাথায় তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে প্রস্তুতি নিয়ে আসছে।) [আমি লাইভ দেখি নাই, তাই বিশু স্যারের এই সিদ্ধান্তটা কতটা সত্য সেটা বলতে পারছি না।]

তো এর পরে স্যার একটা স্নাপশট দিয়ে বললেন–
ফেইক নিকে মগায় নাদিয়ারে বুগাচ্ছে
খুব নরম করে বুগাচ্ছে
কিন্তু সে তো বুগে না
বুগে না সে বুগে না!
ব্লগ আমল ফিরে আসছে
রিভার্স গেইম তো সে ব্লগে কম করে নাই
নিজের পোস্টে নিজে কি কম গালাগাল দিয়েছে নাকি!

সেটা আসলেই কারো ফেইক নিক কি না, জানি না, তাই এই বিষয়ে আমি কিছু বলি নি। তবে গালাগাল প্রসঙ্গ উঠতে বললাম– আরিফের মতো গালাগালি কেউ দিত কি?

স্যার বললেন–এখন স্বীকার করে না
ভুলে গেছে

এরমধ্যে নাদিয়া স্যারের পোস্টের কমেন্টগুলো দেখে স্যারকে বললাম–
আর বলছিলাম যে নাদিয়া পিনাকীর ফলোয়ারগুলারে পাবে
সেইটা হইতেছে
তার ওয়ালে এখন তারাই কমেন্ট করতেছে

স্যার বললেন–
সেটা তো উদ্দেশ্যই ছিল
আর আমার ধারণা নাদিয়া এটার জন্যই অপেক্ষায় ছিল
খেয়াল কর
পিনাকিও শুরু করেছিলো সেক্যুলারিজম দিয়ে
আস্তেধীরে সে তার জায়গা পেয়ে গেছে
নাদিয়াও শুরু করেছিল নারীবাদ দিয়া
মানে বিতর্ক এড়াতে চেয়েছিল
সার্বজনীন আরকি
সে তা পেয়েছে
এখন যাস্ট খোলস ছেড়ে বেড়িয়েছে

এর মধ্যে আমি বললাম–
২০১৩-এর পরে যারা হুট কইরা চেতনা বা অন্য কিছুরে পুঁজি কইরা হঠাত উদয় হইছে তাগোর মধ্যে কিছু না কিছু আছে

বিশু স্যার বললেন–
হ। তবে পিনাকিরা আলাদা। এদের রাজনীতি বাম ঘরানার। নাদিয়া সেদিন আসছে। রাইসুর কল্যাণে পরিকল্পনার অংশ হইছে। তবে এগুলো সবই মজহারের রাজনীতির অংশ।
ব্লগারদের মধ্যে সবুজ বাঘ পারভেজ বাকি বিল্লাহ এদের পরিচয় বাম। খেয়াল করেন এই ছাত্র ইউনিয়ন করারাই বেশিরভাগ এখন ইসলামি পারপাজ সার্ভ করে
এরা আস্তেধীরে আগায়
শিবিরের মতো

[খুব সম্ভবত এই পর্যায়ে আইসাই ইসবাম আর ইসবামিস্ট শব্দ দুইটা মাথায় আসে]

স্যার চালিয়ে যাচ্ছেন–
মতাদর্শ এক
লিবারেল বেশে থাকে
আদর্শ এক
রাজনীতিই এটা
তুই নাস্তিক হয়ে রাজনীতিহীন হলে কার কি করার আছে
কিন্তু তাদের তো রাজনীতি দরকার

–২০১৩-এর পর পরই এদের মুখোশ একটু একটু করে খুলছে

-এদের কাজ এখন মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া
পরে একত্রিত হবে

–হ রাজনীতি নিয়ে ভাবছিলাম, ওখানে ব্যক্তিস্বার্থ আছে

-হচ্ছেও তো

–আর এ কারণেই অনেক হিন্দু দেখেন সোদা খাওয়ার পরেও লীগের দালালি করে
তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক ভাবে ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি করা
[নিজের এই কমেন্টটাই পরে সন্ন্যাসী স্যারের স্ট্যাটাস দেখে আবার মনে পড়ছিল, যা পরে তেনার স্ট্যাটাস রিভিউসহ আরেকটা পোস্টে লিখেছি]

-এইরকম গায়েপড়ে টিকে থাকতে পারবে না
এদের এখন বুদ্ধিজীবিতার ধার ধারে না
এরা এখন যাকেতাকে দিয়ে হলেও মতাদর্শ স্প্রেড করে দিতে চায়
দিচ্ছেও
আর ইসলামের ইতিহাসে এইসব বুদ্ধিজীবিদের সব দোষত্রুটিকে ইসলামের স্বার্থে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখে
মজহার রাইসুর মদ্যপান নারীবাজি বা পিনাকি নাদিয়ার লাগানো এসব হালাল
পারভেজদের মোকাবেলা করার মতো নাস্তিকদের কারুরই সেই লেভেলের পড়াশোনা এখন আর নাই
কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক এটাই সতয
সত্য
মজহারের ভাবান্দোলন, মোকাবেলা বা রক্তের দাগ মুছে রবীন্দ্রনাথ বইয়ের আজতক কেউই ভালো জবাব দিতে পারে নি
সলিমুল্লাহ খান তো রইলোই
সলিমুল্লাহ খান যেসব বুদ্ধিবৃত্তিক শয়তানি করে যাচ্ছে তা আগামীতে বিরাট ফল দেবে
এখনই দিচ্ছে
এরপর তো পারভেজরা
এ তো পাতি লেভেলের
একেও মোকাবেলা করার মতো লেখালেখি কারও মধ্যে দেখি না

–লিখলে চাড্ডী ট্যাগ খাবে
নাস্তিক আস্তিক ফ্যাক্ট না। রাজনীতি–স্বার্থ–এগুলাই আসল

-হ

এর পর বিশু স্যার লিঙ্ক দিলেন মুন্সি স্যারের, যেখানে তিনি চাঁদাবাজি নিয়ে লিখছিলেন।
লিঙ্ক দিয়েই আবার স্যার আবার বললেন–//সে যে বন্ধুবান্ধবদের চিকিৎসার নাম করে চাঁদাবাজি করে তার কি হবে!//

আমি স্যারকে হেসে বললাম যে তার এই কথাটা মুন্সির পোস্টে কমেন্ট হিসাবে দেব কি না। স্যার ‘না’ বললেন। এমনিতেই অনেক শত্রু, তারপর আবার হুদাই শত্রু বাড়াইয়া লাভ কী!

[এই প্রসঙ্গে আগের আইডিতে করা সেই #ঘুচুরঘুচুর সিরিজটার কথা মনে করা যেতে পারে, যেখানে ইনবক্সে বা আড়ালে আবডালে কারো ব্যাপারে কী নিয়ে কথা হয়, সেগুলা পোস্ট দিতাম। বলেই নিতাম যে যারা এগুলা ছড়াচ্ছে তারা কাছেরই লোক, তবে সম্পর্ক খারাপ হবে সেই ভয়ে তারা নিজেরা কিছু বলেন না। আর আমার যেহেতু কারো সাথে কোনো পিতলা খাতির নাই, তাই আমার বলতে কোনো সমস্যা নাই। আরেকটা ব্যাপার–তারা যেহেতু নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চান না, তাই আগেই বলে নিই যে এগুলা শোনাকথা–কোনো প্রমাণ দিতে পারব না। আর যেহেতু প্রমাণ ছাড়া শোনাকথা, তাই এগুলাকে সিরিয়াস ভাবে নেয়ার কিছু নাই, এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
আর প্রমাণ হাতে পেলে সেগুলা নিয়ে পোস্ট দিলাম–বলে নিতাম, এই অভিযোগের যেটুকু প্রমাণ আমার হাতে আছে সেটুকু দিলাম, এটা যথেষ্ঠ না হলে এড়িয়ে যাবেন, বা আমার অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই মনে করে নেবেন। মেনে নিতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই।
আরেক ধরনের পোস্ট হতো–নিজের বিশ্লেষণ। অমুকে তমুকরে নিয়া এই বলেছে। এ থেকে আমার ব্যক্তিগত ভাবে কী কী মনে হয়–সেগুলা। এখানেও টপিকের বাইরে কাউরে ব্যক্তিআক্রমণ করা হয় না–হাতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যা যা মনে হয়, সেটাই বলি–ব্যক্তি স্বাধীনতা বা বাক স্বাধীনতা…]

তো এর মধ্যে কুংফু স্যাররে নিয়া পারভেজ স্যারের স্ট্যাটাসে নাদিয়ার লাইক দেখিয়ে স্যার বললেন–
খেয়াল কর পারভেজরেও কমেন্ট লিক করে পাশে আছে নাদিয়া
পারভেজের লগে এখন গলাগলি পিনাকির
জিহাদি ইসলামিস্ট বাম আর সাধারণ ইসলামি বাম মিলেমিশে সালশা!
ওখানেই এদের সব কটারে পেলাম
এরা অত্যন্ত গুছানো
হাল ছেড়ে দিলেও মাঝেমধ্যে দেখি এদের
এবার নাদিয়া ইস্যুতে আবার চোখে পড়লো
তখন পুরানা হিসাব মতে এদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করতেছি
সবচেয়ে অবাক লাগতেছে এরা অত্যন্ত সক্রিয়
এবং এক
আগের চেয়ে এরা বেশি শক্তিশালী

–এতোদিনে প্লান করে এখন মাঠে নামছে আবার

– সেইজন্যই কইলাম সবে শুরু
সামনে আরো অনেক কিছু আসবেকতোটুকু কি করতে পারবে সন্দিহান
তবে বিরোধী দলে বসতে চাচ্ছে
এইরকম একটা ভাব এদের
বিপ্লব হবে না
সে তেজ নাই
আর এদের ফান্ড আসে এখন নানান দেশ থেকে
এদের বেশিরভাগ কিন্তু প্রতিষ্ঠিত ধান্ধাবাজ
সবারই শক্ত খুঁটি আছে
মাঠ পর্যায় মারা খায় সাধারণ ছেলেপেলেরা
এরা বিপ্লবের চিন্তায় দিনরাতি ভুলে যায়
বিপ্লব তো আর আসে না
শেষে হতাশায় ভুগতে ভুগতে হারিয়ে যায়
বসছিলাম সিরিয়াল দেখতে
কিসের কি
এদের চেক দিতে গিয়া মুডটাই চলে গিয়েছে
আরেকটা জিনিশ তুই খেয়াল করছিস কি না জানি না
সুব্রত শুভ কিন্তু এই ইসলামি বামেদের পাছায় আছে
ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং না?

–নাদিয়ার সাথে তো তার বউয়ের ক্যাচাল শুনছিলাম

-এবার বোধহয় নাদিয়ার লগের সব বাদবিবাদ ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে

–এই হিসাবে তো… নাহ হিসাব মিলতেছে না

-এজন্যই তো বললাম এবার বাদবিবাদ ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে

— যাক, সবাই মিলেমিশে সুখে শান্তিতে বাস করুক

-খেয়াল কর নাদিয়া কিন্তু নানান মন্তব্যে অনেকের নাম আনছে। এদের নাম আনে নাই
কি বুঝলি?
আর যেহেতু আগে আসিফে তার বউ তারে নাদিয়ার পোস্টে এসে বাজে বাজে কমেন্ট করেছে তাই এবার নাদিয়া তা আসিফরে পুষিয়ে দিয়েছে
পিনাকি নাদিয়া মিলেমিশে একটা রফাদফা করতেই পারে
আর যেহেতু পারভেজ তার ভাবগুরু আর পারভেজের লগে যেহেতু পিনাকির এখন হানিমুন চলতেছে এসব আমরা আমরা হতেই তো পারে!
বা না হলেও তার বউর ইসলামপ্রীতি তো নাদিয়ার থেকেও ভালো
অন্তত আজও আছে
আদর্শ প্রশ্নে তার বউ খাদিজা সম
নাদিয়া নাবালক আয়েশাতুল্য!
মুহাম্মদ কে হবে তা সময়েই বলে দেবে

[তার পরের দিন / ১৫ তারিখে]

-একটা জিনিস খেয়াল করেছিস?
মগা কিন্তু নাদিয়ারে হাতে রাখতে মরিয়া
পিনাকি নিয়াও চুলকানি থাকতো না যদি না সে তারে ডিস্টার্ব করতো
এদের রাজনীতি মগা খুব ভালো না বুঝলেও সে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত তার ফ্যান ফলোয়ার লাইক কমেন্ট নিয়ে
এটাই তার ভরসা
পিনাকি নাদিয়া ও ইসলামি বামদের আবার সব চাই
ক্ষমতা লাইক কমেন্ট অবাধ সুডাসুডি সব

[তার পরের দিন / ১৬ তারিখে]

-মগার স্ট্যাটাস দেখেছিস?
নাদিয়ারে কিছু না বলে রইচুদ্দিরে দোষে

[এর মধ্যে আবার হিল্লোল স্যার প্রসঙ্গ : দেশে গেছে নাকি, আবার বিয়ে করছে নাকি… দাওয়াত পাই নাই দেইখা কইলাম–কোনো হইচই আছে?
বিশু স্যার কইলেন–না, এরেঞ্জ ম্যারেজ মনে হয়…]

[এর মধ্যে আবার লীগাররা এতো দুর্নীতির মধ্যেও কীভাবে লীগের পাছা বাঁচাইতে উইঠাপইড়া নির্লজ্জ ভাবে লীগের পক্ষে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলার কিছু লিঙ্ক…]

[তারপর ১৮ তারিখে]
গোলমালাক্স সাবান স্যারের ক্যাসিনো নিয়ে পোস্টের লিঙ্ক দিলেন। সাথে স্নাপশট, যেখানে গোলমালাক্স সাবান স্যারের পোস্টে পিনাকী স্যারের কমেন্ট–//লুক্স ভাই, হাজী কমরেড মেননের ক্যাসিনো কি হালাল ছিলোনা?//

[গোলমালাক্স সাবান স্যারের প্রসঙ্গে তেনার বউয়ের কিছু প্রসঙ্গও মনে পড়ল, যা “প্রমাণ” ইস্যুতে অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে না আশা করি।
এখানে বলে রাখি–গোলমাল স্যার আর লাক্স সাবান স্যারের সাথে পাল্লার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নাই। ঘটনা হইছিল সেই লিঙ্গ কাটা ইস্যুতে। লিঙ্গ কাটা কেন উচিত নয়–এই প্রসঙ্গে উনাদের কিছু হাস্যকর যুক্তি নিয়া একটু ট্রল করছিলাম, তারপর থিকাই উনাদের সাথে সম্পর্কটা কেমন জানি হইয়া গেছে।]

যা হোক, লাক্স সাবান স্যারের স্ত্রী, তিনিও আরেক স্যার–সংক্ষেপে স্নিগ্ধা স্যার বলছি–উনার সাথে প্রথম আলাপে মেসেজ দিয়ে বলছিলেন যে উনি এবং উনার রাজা স্যার পাল্লারে খুব ভালা পান। (আপনারা জানেন উনাদের সাথে যৌথ প্রযোজনায় পাল্লার অনেক স্ট্যাটাস/কোলাজকার্টুনও ছিল।) তো ব্লগারদের নাম করে টাকা তুলে সেই টাকা ব্লগারদের মাঝে ভাগ করে না দিয়ে তসলিমা নাসরিন নাকি নিজে মেরে খেয়েছেন–এই অভিযোগটা যারা যারা করছিলেন তাদের কাছে “প্রমাণ” চাইছিলাম মাত্র। প্রথম দিকে নাদিয়া স্যার যখন “প্রমাণ চাই, প্রমাণ দেন” বইলা চিল্লাইতেছিলেন এবং সে কারণে উনাকে পিনাকী স্যারের “পোঁদবালিকা” বানিয়ে দেয়া হলো। (আমার মনে হয়, যখনই যদি উনাদেরকে প্রমাণ দিয়ে দেয়া হতো, তাহলে বিষয়টা এতোদূর গড়াতো না।) তো তখন আমার সেই পুরানো ইস্যুটা মনে পড়ছিল। তখন তসলিমা নাসরিন বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রমাণ চাওয়াতে “পা চাটা কুত্তা” সহ আরো অনেক ধরনের ট্যাগ আসছিল অনলাইনে। স্নিগ্ধা স্যারও সেই দলে ছিলেন। উনার কাছে প্রমাণ চাওয়াতে উনি–আমার কাছে প্রমাণ আছে, কিন্তু সেই প্রমাণ আপনারে দিলে আপনি ছোটো হয়ে যাবেন–এই কথা বইলা সেই যে ব্লক দিলেন, তারপর যত আইডি খুলি… মনে হয় আইডি খোলার আগেই উনি ব্লক দিয়ে রাখেন।

এই প্রসঙ্গে রায়হান আবির স্যারের নামটাও নেয়া যায়। অভিজিৎ রায় খুন হলে পরে তসলিমা নাসরিন ২০ হাজার ডলারের একটা ফান্ড পেয়ে আমেরিকায় আসছিলেন সিএফআই-এর একটা অনুষ্ঠানে আসছিলেন। তখন আমেরিকাতেই তসলিমা নাসরিনের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়ার নাম করে সিএফআই প্রায় মিলিয়ন ডলার ফান্ড তুলেছিল। পরে অবস্থা শান্ত হলে তসলিমা নাসরিন দিল্লিতেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। আর তার বাড়ি কেনার জন্য তোলা টাকা পুরোটাই সিএফআইকে দিয়ে এসেছিলেন যাতে তারা ওই টাকা দিয়ে বাংলাদেশের নাস্তিকদের সাহায্য করতে পারে। রায়হান স্যার খুব সম্ভবত তখন সিএফআই-এর সায়াতলে, বন্যা আহমেদ স্যার তাকে ওখানে বাংলাদেশের নাস্তিকদের প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্ত করে দিয়েছিলেন বলেই আবির স্যার জানিয়েছিলেন। সে সময় তাকে বলেছিলাম যে তসলিমা নাসরিন প্রায় মিলিয়ন ডলার আপনাদের সংগঠনের ফান্ডে দিয়ে দিলেন, তিনি কেমনে নাস্তিকদের নাম করে ২০ হাজার ডলার মেরে খেতে পারেন?–আর আপনারা এ ধরনের অভিযোগ করেন কোন প্রমাণের ভিত্তিতে?

রায়হান স্যার প্রমাণ না দিয়ে আমাকে উলটা প্রশ্ন করলেন–আমি নাস্তিক হয়েও ওই কথা কেমনে বিশ্বাস করি না, কেমনে তসলিমা নাসরিনের পক্ষে কথা বলি…

কেমনে বুঝাই, এইটা পক্ষ বা বিপক্ষের ব্যাপার না! এইটা হইলো তথ্য প্রমাণের ব্যাপার। নাইলে এই সামান্য টাকা মাইরা খাওয়ার অভিযোগ, আর যৌনতার অভিযোগ ছাড়া আর কিছু থাকবে না। এই প্রসঙ্গে ‘নাস্তিকের ধর্মকথা’ উরফে নাধ স্যারের পোস্টটার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে যেটাতে সবাই মনে করছেন নাধ স্যার পিনাকীর পক্ষে লিখেছেন। সেখানে নাধ স্যার বলছেন যে পিনাকীর মতো এস্টাবলিস কারো বিপক্ষে তথ্য প্রমাণ ছাড়া কিছু লেখাটা বুমেরাং হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রমাণসহ চেপে ধরতে হবে।–এই কথাগুলা ভালো লাগছিল। এই ব্যাপার বিশু স্যারও আগে একটা কথা বলে রেখেছিলেন যে পিনাকীদের ট্যাকল দেয়ার সামর্থ এখন আর কারো নাই, পিনাকীদের পড়ালেখা অনেক, তাদেরকে ট্যাকল দিতে হলে সেই লেভেলের পড়াশোনা দরকার যা নাস্তিকদের মধ্যে নাই… দু চারজন যারা দিতে পারত, তারাও ইসবামিস্ট হয়ে গেছে, নয়তো লীগের দালালি করে… দালালদের গ্রহণযোগ্যতাও সর্বস্তরে থাকে না…

রায়হান স্যার আমার ইনবক্সে কেন এসেছিলেন, জানেন? উনি তখন কানাডা চলে গেলেও উনার বউ-বাচ্চা বাংলাদেশে। আমি কোনো পোস্টে মনে হয় উনার এসাইলাম সংক্রান্ত কিছু জানতে চাইছিলাম। আর তাই উনি আমার ইনবক্সে এসে বললেন–উনার এসাইলাম নিয়ে যেন প্রকাশ্যে কিছু না বলি, তাতে উনার বউবাচ্চার সমস্যা হতে পারে… ইত্যাদি ইত্যাদি। সাথে উনি এও বলেছিলেন যে–উনি স্কলারশিপ নিয়ে গেছেন, উনার এসাইলামের দরকার নাই, উনি এখন সিএফআই-এর হয়ে কাজ করছেন যাতে দেশের নাস্তিকদের জীবন বাঁচাতে পারেন… আরো কিছু প্রশ্ন করছিলাম–উনি “আপা ভালো জানেন” বইলা এড়াইয়া গেছিলেন। পরে দেখে গেলো–উনিই কানাডায় বউবাচ্চা নিয়ে সবার আগে এসাইলাম নিছেন, আর সেইটা “ফাঁস” কইরা দিছিলেন স্বয়ং রিচার্ড ডকিন্স।

যা হোক, ওই ইস্যুতে আরো অনেকেই পাল্লারে “পা চাটা কুত্তা” ট্যাগ দিছিলেন। সবার নাম নিতেছি না, তবে এইবার আসিফ-নাদিয়া ইস্যুতে দুইপক্ষেই যেসব নাম দেখতেছি, সেসব নামের সাথে তেনাদের নামের হুবহু মিল পাইতেছি। কে কার পা চাটা আর কে কার বোদা চাটা কুত্তা–তা আপনারা তাদের খুল্লাম খুল্লা চাটাচাটিতেই দেখছেন। এই ইস্যুতে পক্ষ-বিপক্ষ না নিয়া পা চাটা আর বোদা চাটা কুত্তাদেরই দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। এই নিয়া আর তেমন কিছু বলার নাই। তবে রেকর্ড থাকলো আরকি।

অনেক কিছু বলা হইলো। বেশিরভাগ কথাই বিশু স্যারের। কারণ রাজনীতি নিয়া আমার সেরকম পড়াশোনা নাই। তাই স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আপাতত এই পোস্ট শেষ করছি।

আর ইস্যুটা নিয়ে আমার শেষ কথা হইলো– নাহ, শেষ কথাটাও স্যারই বলে দিয়েছেন আগেই। অনলাইন দুইভাগে ভাগ হবে–পিনাকী স্যারে ফ্যান-ফলোয়ারদের লিক-কমান্ডের ভাগ পাবে নাদিয়া স্যার। সেটাই হয়েছে। আর আসিফ স্যারও তার তার ফ্যান-ফলোয়ার ধরে রাখতে সমর্থ হবেন। তবে এক্ষেত্রে আসিফ স্যারের বউয়ের অবদানও স্বীকার করতে হবে। এটা দেখে নাদিয়া স্যারের কিছু নারীবাদী ফলোয়ার আসিফ স্যারের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।

যা আন্দাজ করতে পারি নাই, এবং সেইটা হইতে দেখে ব্যাপক হাসি পাচ্ছে–সেইটা হলো–যে লীগারাও উঠতে-বসতে আসিফ স্যাররে গালি দিত, তারাও একে একে আসিফ স্যারের লুঙ্গি আর স্যারের বউ স্যারের সায়াতলে সলি আসতেছে। অনেকে আবার শত্রুর শত্রু বন্ধু–এই নীতিতেও কিছু চাটাচাটি করে নিচ্ছে। আসলেই বড় বিচিত্র এই দুনিয়া! ওদিকে শোনা যাচ্ছে জেবতিকরা স্যারদের মতো চাটার দলেরাও সরাসরি আসিফ স্যারের পক্ষে চলে আসছেন! তাই যদি হয়, তাহলে মশুয়ার স্যার আর কোন বাল! তাই মশুয়ার স্যার তার পোঁদবালক স্যারদের নিয়া যতক্ষণ পর্যন্ত আসিফ স্যারের লুঙ্গিতলে না সলি আসছে, ততক্ষণে এই পোস্টের প্রথম ভার্সন আপাতত শেষ হইলেও পাল্লার হাসি কিন্তু শেষ হইতেছে না।

Category: পাল্লাব্লগ
Previous Post:গণধর্ষণ হইতে ধর্ষণ উত্তমগণধর্ষণ হইতে ধর্ষণ উত্তম
Next Post:দুর্গা-গণেশ সম্পর্কিতdurga-mashish

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top