এবার রোজায় সিলেটে একজন হিন্দুর মৃতদেহ শ্মশানে দাহ হতে দেয়া হয় নি রমজানের পবিত্রতা রক্ষার অজুহাতে। যিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন তার নামে ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খুলে নবি-ইসলামের নামে ‘নোংরা’ কথা লিখে ইসলাম অবমাননার মিথ্যে অভিযোগে তার বাড়িতে ঈদের নামাজ পড়ে কিছু সিলেটি মোজলেম হামলা চালিয়েছে। এই নিয়ে সুষুপ্ত পাঠক প্রতিবাদস্বরূপ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সুষুপ্ত পাঠক-এর স্ট্যাটাস থেকে কয়েকটি লাইন তুলে দিচ্ছি–
//সিলেটীরা প্রচন্ড ধর্মান্ধ।//
//এবারের রমজান মাসে সিলেটী হুজুররা রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে চায়ের দোকানগুলো বন্ধের হুমকি দিয়েছিলো।//
//সিলেটীরা ঐতিহ্যগতভাবে তাই অমুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ পেয়ে এসেছে।//
সুষুপ্ত পাঠক-এর স্ট্যাটাসটায় প্রচুর লাইক-কমেন্ট পড়েছে। অনেকে শেয়ার করেছেন। অনেকে আবার কপি-পেস্ট করে আলাদা পোস্ট দিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেক ‘সরলবাচ্চা’ও আছে। কিন্তু কেউ বলল না–সব সিলেটী এক না; কিংবা, সব সিলেটী হুজুর এক না…
ধরেন সুষুপ্ত পাঠক যদি একই ভাবে অন্য কোনো এক ঘটনা প্রসঙ্গে লিখতেন–পুরুষেরা ধর্ষক… পুরুষেরা ঐতিহ্যগতভাবে নারীদের প্রতি বিদ্বেষ পেয়ে এসেছে…
এবার জাস্ট ইমাজিন–ফেসবুক কাঁপিয়ে কী ধরনের মন্তব্য আর প্রতিবাদ আসত….
কেউ চাইলে কিছু উদাহরণও দিতে পারেন।
Leave a Reply