লক্ষ্য করলাম আমার ফেসবুকের কিছু প্রোফাইলের প্রোফাইল ছবি একটা একটা করে কালো হয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটা অদ্ভুত ছিলো আমার জন্য। ভাবা শুরু করলাম ঘটনা কি। একটা পর্যায়ে মনে হোলো রাজাকার ও তাদের পরিবারের উপর হয়ে যাওয়া নৃশংস বর্বরতার প্রতিবাদ হিসেবে প্রোফাইল ছবি কালো করছেন। কিন্তু আসলে আমার এই চিন্তা ভুল ছিলো। মূল ঘটনা জানতে পারলাম আমার ঘরের এক রাজাকারের বাচ্চার কথাতে।
কথাটা আমি হুবুহু তুলে দিচ্ছি-
“অগাস্ট মাস আসতেছে, তাই হয়ত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের উপর হয়ে যাওয়া নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ হিসেবে প্রোফাইল ছবি কালো করছেন।”
জানা গেলো যে, এই প্রোফাইল ছবি কালো করাটা অনেকটা শোক প্রকাশের মতন। ভোদাই লীগারাবালরা “অনেক বুদ্ধি করে” বের করেছেন যে, একটা সুনির্দিষ্ট সময় প্রোফাইল ছবি কালো করে রাখলে এই পৃথিবীটা মুজিবের শোকে শোকারণ্য হয়ে যাবে। আর সে কারনেই কিছুদিনের জন্য প্রোফাইল ছবি কালো করার ন্যাকামি ছুদানো।
ফেসবুকে নানাবিধ আন্দোলন হয়, নানাবিধ ঘটনা হয়, নানাবিধ প্রতিবাদ হয়, নানাবিধ শোক প্রকাশ হয়। মানুষের আন্দোলন, প্রতিবাদ, শোক এগুলো নিয়ে হাসাহাসি করাটা মনে হয় ঠিক না। কিন্তু আমি করলাম। হাসতে না চাইলেও মোটামুটি ভালো শব্দ করেই হাসলাম আর ফেসবুকে এই কালো প্রোফাইলের শোকের খেলা দেখতে লাগলাম। শোক প্রকাশ এতটা হাস্যকর আর ভেইগ হতে পারে এটা চিন্তা করতে খানিকটা মেজাজও খারাপ হচ্ছে। চিন্তার কি বিপুল অপচয়!!
কিছু স্বদেশী লীগারাবাল প্রায়ই নানাবিধ লেখা লেখেন, নানাবিধ শোক প্রকাশ করেন যেগুলোর কোনো অর্থ আমি খুঁজে তো পাই-ই না ব্রং মনে হয় এরা মনে হয় রাজাকারের বাচ্চা এবং জামাইদের কষ্ট সম্পর্কে, তাঁদের শোক সম্পর্কে জানেন-ই না। এই প্রোফাইল ছবির কালোকরন শোক-প্রকাশ তার প্রকৃষ্ঠ একটা উদাহরন।
আমি যদি ধরেও নেই যে এই প্রোফাইল ছবি কালোকরন একটা “বিরাট শোক প্রকাশ”, সেখানেও কথা আছে। আপনি প্রোফাইল ছবি কালো করে একের পর এক কমেন্ট করে যাচ্ছেন, স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপনাদের চির শত্রু রাজাকারের বাচ্চা এবং জামাইরা সেটি কি করে অনুধাবন করবেন যে আপনারা আসলে এক বিরাট শোক প্রকাশে লিপ্ত? চোখে হাত দিয়ে মিরকাটের মত “আমি শোকাহত”, “আমি শোকাহত” বললেই আপনি শোকাহত হয়ে যাবেন? বুঝার কোনো উপায় নেই। নিজেরাই নিজেদের ট্রলের উপকরন বানাচ্ছেন।
এর থেকে আমার একটা বুদ্ধি নেন আপনারা, প্রোফাইল ছবি কালো করার সাথে সাথে পুরা অগাস্ট মাস ফেসবুকে আসবেন না। আপনাদের ফেসবুকের সকল ছবি, সকল লেখা প্রাইভেট করে তিন মাসের জন্য চলে যান কিংবা ডি এক্টিভেট করে দেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য একজন মানুষ হিসেবে আপনার অভাব আমরা বোধ করব, তবে কথা থেকে যায়, লীগারাবাল হিসেবে আপনাদের শত্রু রাজাকারের বাচ্চা ও জামাইরা আপনাদের অভাব বোধ করবে কি না।
লীগারাবালরা প্রায়ই পাকিস্তান ও রাজাকারদের নিয়ে যেসব কথা বার্তা লেখেন ও বলেন, আমার মনে হয় পাকিস্তানী ও রাজাকার মানেই এইসব লীগারাবালদের পরম ও একমাত্র শত্রু। রাজাকারের বাচ্চা ও জামাই মানেই খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। অথচ আমার জীবন অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি সমাজে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে লীগারাবালরাই হচ্ছে পাকিস্তান, রাজাকারের বাচ্চা ও জামাইদের প্রধানতম শত্রু।
রাজাকারদের শত্রু বানিয়ে লীগারাবাল হবার চেষ্টাটুকু দয়া করে বন্ধ করুন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এই দুইটি বিভাজন বাদ দিয়ে সবাইকে মানুষ ভাবুন আগে। এবং সবাই হাতে হাতে রেখে পৃথিবীর সকল অন্যায়কে নির্মূল করবার ও সকলের সমান অধিকার ফেরাবার লক্ষ্যই প্রাধান্য পাক।
প্রোফাইল পিকচার কালো করবার মত হাস্যকর কাজ করে লীগারাবাল আর রাজাকারের বাচ্চা ও জামাইদের সামনাসামনি করে যারা একটা যুদ্ধাবস্থা তৈরী করছেন, তাদের সুমতি হোক। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এই কামনা করি।
–ঝুমঝুম নবী
( বিস্তারিত–https://www.facebook.com/nijhoom.majumder/posts/1438127066275989
দাঁড়িপাল্লা ধমাধম
//কালো প্রোফাইল পিকচার দিলে মেয়েরা উধাও হয়ে যাবেনা এটা জানা কথা । কিন্তু এক্ষেত্রে সংহতি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের কিচ্ছু যায় আসেনা তারপরেও সমকামীদের জন্য মানুষ প্রোফাইল পিক সাতরঙ্গা করছে, ক্রিকেট টিমকে উঠসাহিত করতে মানুষ ডিপির সাথে ফ্রেম লাগায় এগুলা সচেতনতা এবং সঙ্ঘতি বৃদ্ধি করে এরও দরকার আছে। the evolution of human sociality বইয়ে Barbara Smuts , নারীবাদ আন্দোলন সফল হওয়ার যে উপায় বলেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিলো ইউনিটি। এইটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়া লাগেনা যে ইউনিটি যেকোন আন্দোলনকে দৃঢ় আর গতিশীল করে। Frued তার Group psychology and analysis of ego বইতে বলছিলো যে কোন গ্রুপের আলাদা একটা মনস্তত্ব আছে , গ্রুপে বিলং করা মানুষ খুবই সাসেপ্টিবল হয় ওই সমস্ত সাইকোলজিক্যাল অপারেশন এর ব্যাপারে যেগুলো মানুষের অবচেতন মন, এবং অবদমিত আকাংখাকে টার্গেট করে সূচিত। এইজন্য দেখা যায় ক্ষমতাসীন লোকেরা মানুষদের কখনো এক হতে দেয়না। একি ঘটনা ঘটে ফেমিনিস্ট ইস্যুতে মেয়েদের মধ্যে পুরুষতন্ত্র বিভাজন তৈরী করে এই আন্দোলনকে বরাবরই দুর্বল করতে চাইছে।
এখন কথা হলো সব নারীই ফেমিনিস্ট না সব পুরুষই নারীবাদী না , কেন পুরুষের অংশ গ্রহণ এই ব্ল্যাকাউটে নিশ্চিত করা হলোনা, তার মানে কি পুরুষই কেবল নির্যাতক নারী রা না?
পুরুষরাই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এবং সুদীর্ঘ কাল ধরে নির্যাতক ,নারীবাদ তো একটা নতুন ধারনা। পুরুষতন্ত্র পুরুষ ঐক্য এবং সংহতির উপর দাঁড়ানো এইটার বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি হতে পারে নারীর ঐক্য -এবং এটা যে অকেজো না সেটা ইতিহাস থেকেই বুঝা যায় , নারীর ভোটাধিকারের জন্য নব্বই এর দশকে একত্রিত হয়েছিলো নারীরাই।কোন পুরুষ ছিলোনা সেখানে।
এখন নারীই নারীদের শত্রু – এই ক্লিশে যে একজন শিক্ষিত মানুষ ব্যবহার করবে এটা খুবই দুঃখজনক। পুরুষতন্ত্রের রাজনীতিটাই এমন যে এইটা মেয়েদের এক হতে দেয়না। এইখানে ক্ষমতাধর হচ্ছে পুরুষেরা, বিয়ে সংসার ছেলেদের এটেনশান মেয়েদের মহা পেশা, সত্বিত্ব ছেলেদের এটেনশান এপ্রুভাল এগুলো মেয়েদের নোবেল প্রাইজ, এইসব পেশায় টিকে থাকতে এবং নোবেল প্রাইজের জন্য কামড়াকামড়ি হবে এ আর নতুন কি , ছেলেরাও প্রফেশন নিয়ে স্বীকৃতি নিয়ে কামড়াকামড়ি করে আরও বৃহত্তর গন্ডিতে করে।
ভালো লাগলো আপনার মতামত জেনে। পুরুষদের বাদ দিয়ে কোন নারীবাদী আন্দোলনের প্ল্যান করে করেনাই , এটা একটা সাময়িক সংহতি প্রকাশ বলা চলে, যদিও আমি এই বিষয়ে একমত যে কালো প্রোফাইল পিকচার মেয়েরা দিলে এটাও গুরুত্ব অনেকের কাছেই অপ্রকাশ্য থাকে ।//
— Tiyan Putui
দাঁড়িপাল্লা ধমাধম
//আমি কোনো উপলক্ষেই প্রোফাইল পিকচার কালো, লাল, ফ্রান্সের পতাকা, বাংলাদেশের পতাকা কোনোকিছুই করি না অনেকদিন ধরেই। নিজেকে বিশেষ কিছু বুঝাবার জন্য এই কাজটা করি তা না। আসলে ভালো লাগে না বা এই ধরণের আন্দোলনে বিশ্বাসী না বলে করি না। কিন্তু আজ পর্যন্ত কখনো এ ধরণের আন্দোলন নিয়ে পাবলিকলি হাসি তামাশা ট্রল করার রুচি হয়নি। কারণ আমি খুব উচ্চ শ্রেণির মানুষ না হলেও একেবারে নিম্ন শ্রেণির ইতর না যে যারা নিজেদের অধিকার, মর্যাদা আদায়, অথবা নিজের ওপর ও বিশ্বজোড়া মানুষের ওপর অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে অন্তত কিছুটা হলেও প্রতিবাদ করছে, তাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের ধরণ আমার সাথে মিললো না বলেই তাকে নিয়ে তামাশা করাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করবো।
একজন বিশাল সেলিব্রেটি এবং একজন নয়া যুগের ফেসবুক পীর দেখলাম এই আন্দোলন নিয়ে ট্রল করেছেন। ঠিক আছে, ট্রল করুন, পৃথিবীতে সবাই তো আর উচ্চশ্রেণীর মানুষ হবে না, কিছু নিম্নরুচির মানুষও থাকতে হবে, সবাই যদি উচ্চরুচির মানুষ হয়, তবে কোনটা নিম্নরুচি আমরা বুঝবো কেমনে। কিন্তু এ উপলক্ষে তিনি নারীবাদীদের যে এক হাত নিলেন এবং কোনো রিসার্চ ও পড়াশোনা ছাড়াই যেভাবে “শহুরে নারীবাদীরা” ইত্যাদি বলে বর্তমান নারীবাদ আন্দোলনকে কটাক্ষ করলেন, এতে করে উনার মানসিকতা বুঝতে আর কারো অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না। নারীবাদ নিয়ে উনার সমস্যা, নারীবাদীরা পুরুষের দোষ ত্রুটি নিয়ে লিখলে উনার মনে কষ্ট লাগে (ঠাকুরঘরে কে রে কেইস আরকি)। নারীদের লেখালেখির একটি প্ল্যাটফর্ম উইম্যান চ্যাপ্টারকে কোনো কোনো ইতর নারীর যৌনাঙ্গের গঠনের সাথে তুলনা করে কুৎসিত ইঙ্গিত দিয়ে “চ্যাপ্টা” বলে সম্বোধন করে। উনার কমেন্ট বক্সেও সেই নিম্নশ্রেণীর প্রাণিগুলো সেই কুৎসিত বাক্যটা উচ্চারণ করছে, আর ডুগডুগির শব্দে যেভাবে বানর নাচে, উনি সেই কমেন্ট দেখে খুশিতে সেই টাইপের “মাংকি ড্যান্স” দিচ্ছেন। নারীদের সাথে বদমাইশি করতে গিয়ে জুতাপেটা খাওয়া ইতররা উনার কমেন্ট বক্সে সরাসরি নারীদের নিয়ে নিজেদের বিদ্বেষ প্রকাশ করছে, আর উনি সেই বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে “লিক কমান্ড” দিয়ে পাসায় আছে। মানে, “শহুরে নারীবাদীরা” “প্রুষ বিদ্বেষ” করলে বিশাল সমস্যা, কিন্তু উনারা মহান পুরুষকুল কিনা, তাই নারীদের যে কোনো আন্দোলন নিয়ে বিদ্রূপ করলে কোনো সমস্যা নাই। আর “নারীবিদ্বেষ” তো যেন পুরুষের অধিকার! অন্তত এই ভদ্র(!) লোকটির কমেন্টবক্স দেখলে তাই মনে হয়। আর বাকিগুলো, যেমন “মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু” টাইপ বহুল প্রচলিত মিথ প্রমোট করতে দেখে অবাক হলাম না। ফেসবুক সেলিব্রেটিরা সাধারণত সবজান্তাই হন। কাজেই এই মিথ যে বহু আগেই নারীবাদীরা খণ্ডন করেছেন, সেটা উনার না জেনেই ফাঁকা কলসীর মতো ঝন ঝন করে বাজাতে আমি তেমন অবাক হইনি।
কিন্তু আমি অবাক হয়ে গেলাম লাইকদাতাগুলোকে দেখে। এত বিশাল বিশাল মানুষ, যাদের লেখায় এককালে মুগ্ধ হয়েছি, দেশপ্রেম দেখে বিগলিত হয়েছি, ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে ধন্য হয়ে গেছি, সেই বিশাল প্রগতিশীল, দেশপ্রেমী, নারী অধিকারের জন্য কইলজা ফাটায়ে ফেলা মানুষ, নব্য যুগের মুক্তিযোদ্ধা, হ্যানা ত্যানা কে নেই সেখানে! ভাবা যায়! এসব বিশাল বড়ো বড়ো নাম ধামওয়ালা এবং ওয়ালীরা নারীবাদকে এই চোখে দেখে! নারীরা যে ঘরে বাইরে সবদিকে পুরুষতান্ত্রিক সিস্টেমের কারণে নির্যাতিত হয় সেটা এদের চোখে কাল্পনিক! তার মানে নারীবাদীরা সমাজে নারীর প্রতি যেসব বৈষম্য হয়, যেমন ইচ্ছের বিরুদ্ধে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া, অপছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করা, “স্বামী” নামক প্রভুটি সহ তার বাপ মা চৌদ্দগুষ্টির সেবা করতে গিয়ে কেরিয়ার স্যাক্রিফাইস করতে বাধ্য করা, কর্মক্ষেত্রে যৌন নির্যাতন করা, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ি কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা, এমনকি ধর্ষণ, মলেস্টেসন এসব কোনো কিছুর বিরুদ্ধেই কথা বলতে পারবে না, কোনো কিছু বিরুদ্ধেই। কারণ এসব বলতে গেলেই কোনো না কোনো পুরুষের নাম চলে আসে, আর পুরুষের নাম আসলেই এসব “আসল পুরুষদের” বড্ডো গায়ে লেগে যাবে। কারণ ঠাকুরঘরে যেই থাকুক, উনারা কলা খায় না! আবার আন্দোলনের ধরণ কেমন হবে, সেটাও নারীদের কাগজ কলমে লিখে উনাদের কাছ থেকে সাইন করিয়ে নিতে হবে। কারণ উনারা পুরুষ, কারণ উনারা শ্রেষ্ঠ, কারণ উনারা নিয়ন্ত্রক! নাহলে এতদিন এত তুচ্ছ, হাস্যকর কারণে সবার প্রোপিক চেইঞ্জ হলো, উনাদের গায়ে লাগলো না, কিন্তু যেই কাজটা নারীরা করলো, সাথে সাথে উনাদের চোখে পড়লো বিষয়টা কতো হাস্যকর! এই প্রগতিশীল এরা! এই তাদের ফেইসবুক হিরোগিরি! এই তাদের রাজার চকমকে পোশাকের আড়ালের নগ্ন শরীর!
আসলেই, প্রগতিশীল সেজে থাকা, বিরাট ভক্তগোষ্ঠী পরিবেষ্টিত হয়ে থাকা এসব ফেসবুক পীরেরা সবাই যে মহাপুরুষ হয় তা না। কেউ কেউ এমনকি মানুষও হয় না। ভিতরে ভিতরে এদের অনেকেই ভীষণরকম “পুরুষ”। নারীকে পায়ের তলের পাপোশ মনে করা, নিয়ন্ত্রণের “বস্তু” মনে করা, ক্রয় করা অথবা দানে পাওয়া যৌনসামগ্রী মনে করা এক একটা প্রচণ্ড পুরুষতান্ত্রিক পুরুষ। মানুষ নয় কিছুতেই।//
–Baishali Rahman