খবরে দেখলাম, সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াতের অনেকে জড়িত দাবি করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তাই এজন্য সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
রাজনীতিবিদরা, বিশেষ করে সরকারী দলের, কতটা নির্লজ্জ হতে পারে, তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ ইনুর এই মন্তব্যটি।
দেশের সকল পজেটিভ কর্মকাণ্ডের জন্য যদি সরকার সমস্ত ক্রেডিট নিতে পারে, তাহলে সমস্ত নেগেটিভ কর্মকাণ্ডের দায়ও সরকার নিতে বাধ্য। চলমান হত্যাকাণ্ডগুলো থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, এমনকি একটা ছিঁচকে চুরির ঘটনার দায়ও সরকারের। এ সবই সরকারের ব্যর্থতা।
বলছি না এসব ব্যর্থতার দায় নিয়ে এক্ষুণি সরকার পদত্যাগ করুক, শুধু চাইছি সরকার আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে আন্তরিক হোক। সরকারপন্থীরা সরকারের আন্তরিকতার উদাহরণ হিসাবে জঙ্গী ধরতে সাঁড়াশি অভিযানের কথা তুলে ধরতে পারেন, কিন্তু এই অভিযানের মধ্যেই আবার নতুন করে জঙ্গীরা একই কায়দায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে চলছে; আবার এক পুরোহিতকে কোতল করা হয়েছে। সরকার কাদেরকে ধরতে কাদেরকে ধরছে–নতুন প্রশ্ন।
ইনু আরো বলেছেন, “আগুন সন্ত্রাসের সময় আটক ৬০০ জনের মধ্যে ৯৯ ভাগই ছিল জামায়াত-বিএনপির কর্মী।”–কে কোন দলের কর্মী সেটা আমাদের জানার দরকার নাই। আমরা চাই অপরাধী মাত্রই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আগুন সন্ত্রাসের সময় আটক ৬০০ জনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কি কিছু হয়েছে, নাকি টাকা খেয়ে সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উনার কাছে নাকি সব তথ্য আছে। সেই তথ্য দিয়ে আমরাই বা কী করব? উনার পুলিশ-প্রশাসন সেই তথ্যানুসারে অপরাধীদের কেন গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করছেন না? নাকি ‘দুর্জনে’ যা বলে সেটাই সত্য–সবই তেনার ইশারায় হচ্ছে!
Leave a Reply