পিছলাইতে মমিনগো জুড়ি মেলা ভার। এই পর্যন্ত কত ভাবে যে পিছলাইতে দেখছি, তার কোনো ইয়াত্তা নাই। অনুবাদে ভুল, আগের আয়াত-পরের আয়াত, মূল আরবী, তাফসীর, প্রেক্ষাপট…আরো কত কিছু নিয়া পিছলামী। ছাই দিয়া ধরলে ত্যানা পেচাইতে পেচাইতে ছিড়া ফেলাইবে, তারপরও তালগাছ তাগো চাই-ই চাই।
এই তালগাছবাদীগো নতুন কৌশল দেইখা খুব মজা লাগতেছে। মনে পড়তেই হো হো কইরা হাইসা উঠতেছি। একটা পৈশাচিক আনন্দও লাগতেছে। নতুন নতুন নাস্তিক পোলাপানরা এখন এমন ভাবে ছাই দিয়া ধরতেছে যে মমিনগো পুরাতন পিছলামীর পদ্ধতি পুরাই ফেল। তারা এখন নতুন পদ্ধতি বাইর করছে। এই দিকটায় সবাইরে একটু খেয়াল রাখতে কইতাছি–
একটা হইলো–রূপক। রূপকের কথা কইয়া যে কোনো কিছুর মানে ১৮০ ডিগ্রীতে ঘুরাইয়া দেবে। যেমন ধরেন, ওমর খৈয়ামরে মমিন মুসলমান প্রমাণ করতে তার মদ খাওয়ার বিষয়টারে রূপকের মধ্যে ঢুকাইয়া আউটপুট দিবে যে ওটার মানে হইলো সারারাত জায়নামাজে বইসা ছিল, যা কবিতায় রূপকের আশ্রয় নিয়া মদ খাওয়া হিসাবে বলা হইছে…
আরেকটা হইলো–একসময় এরা কইত কুরান স্বয়ংসম্পূর্ণ, দুনিয়া তাবত গিয়ান কুরানে আছে। এখন যদি মিসিং কিছু দেখান তাইলে কইবে আল্যায় এই জিনিসটা পুরা কেন কয় নাই সেইডা আল্যায়ই ভালো জানে।
সো, নতুন যারা এগোরে পুন্দাইতে যাইতেছেন, বেশি কইরা ছাই নিয়া যাইয়েন। ব্যাকআপ হিসাবে ঝামা রাখতে পারেন। পিছলাইলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া যাইবে না।
ওহ, আরেকটা ব্যাপার–এরা ইদানিং অন্য ধর্মের বইয়ের কথা ঘুরাইয়া সেইটারে ইসলাম এবং নবীর পক্ষের প্রমাণ হিসাবে দেখাইতেছে। সেই সাথে অন্য ধর্মের লোকের কাছ থিকা ইসলামের নামে সার্টিফিকেট জোগাড় করতাছে। উহাহাহাহাহাহাহা…
Leave a Reply