ফেইসবুকের কয়েকটি পেজ ‘ভালোবাসা দিবসে’র অনেক পূর্বে থেকে ‘ভালোবাসা দিবস’ বিরোধী একটির পর একটি স্ট্যাটাস এবং ছবি দিচ্ছে । আজ অনেক পেজে কয়েকটি পার্কের ছবি আপলোড করেছে যেখানে চুম্বনের দৃশ্যকে অতি-খারাপ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যাদের কাছে ওষ্ঠ চুম্বন মানে অশ্লীলতা, ওষ্ঠ চুম্বন মানে নোংরামি, ওষ্ঠ চুম্বন মানে চরিত্রহীনতা তাদের জন্য কবি Akhtaruzzaman Azad ভাইয়ের এই কবিতা এবং প্রবচনটি –
টিভি ভর্তি যৌনতা?
উহা তো সিনেমা!
কাগজভর্তি যৌনতা?
উহা তো কবিতা!
ক্যাসেটভর্তি যৌনতা?
উহা তো সঙ্গীত!
বিলবোর্ডভর্তি যৌনতা?
উহা তো বিজ্ঞাপন!
ক্যানভাসভর্তি যৌনতা?
উহা তো পেইন্টিং!
পাথরভর্তি যৌনতা?
উহা তো ভাস্কর্য!
সমগ্র পৃথিবীর খাঁজে-ভাঁজে মাংসে-অংশে পাহাড়ে-নহরে উদ্যানে-বিদ্বানে যৌনতা?
উহা যে শিল্প,
উহা যে আর্ট,
উহা যে আর্টেরই পার্ট!
যদি বলি–
এসো, হাত ধরো, উত্তাপ যোগাও, চার ঠোঁট ঐক্যবদ্ধ করো,
একপ্রস্থ চুমু খাও,
মাতো উদ্বাহু অধরসঙ্গমে?
উহা তো অশ্লীলতা!
উহা তো অসভ্যতা!
নাকের ডগায় উপর্যুপরি যৌনতার অদৃশ্য মুলা ঝুলানো শিল্প, একদফা চুম্বন চরিত্রহীনতা!
__________________________ ____________
বাঙালি জন্মগতভাবেই যৌনবঞ্চিত। পরিবার-বিদ্যালয় থেকে সে যৌনশিক্ষা পায় না। তাকে যৌনতা শিখতে হয় চটি পড়ে, যৌন ম্যাগাজিন পড়তে হয় লুকিয়ে, চুমু খেতে হয় ঝোপেঝাড়ে, বিদেশী সিনেমা দেখতে হয় দরজা আটকে, বিপরীতলিঙ্গের কারো সাথে কথা বলতে হয় সঙ্কোচে! নির্ভরঅযোগ্য উত্স থেকে যৌনতা শেখার ফলে বাঙালি বেড়েই ওঠে যৌনবিকৃত হিশেবে। ফলে, বাঙালির কাছে যৌনাঙ্গ মানেই ‘অশ্লীলতা’, যৌনতা মানেই ‘পাপ’।
এজন্য, কারো কোনো যৌন ভিডিও বা স্বল্পবস্ত্র ছবি বের হলেই যৌনবঞ্চিত-যৌনবিকারগ্রস্ত-যৌনঈর্ষাণ্বিত বাঙালি রাগে-ক্ষোভে-লোভে-হতাশায় ঐ ভিডিও/ছবি ও এর মালিকের ওপর লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে পড়ে।
–সংগৃহীত
Thursday, February 16, 2012 at 2:44pm
Leave a Reply