• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

ধর্মবিশ্বাস – বংশগতসূত্রে প্রাপ্ত রোগের মত

You are here: Home / ধর্মকারী / ধর্মবিশ্বাস – বংশগতসূত্রে প্রাপ্ত রোগের মত
April 4, 2016
লিখেছেন পুতুল হক
এ প্রজন্মের কোনো ছেলে বা মেয়েকে খুব ধার্মিক দেখতে পেয়ে যদি তাঁর বাবা-মাকে বলি, “আপনাদের সন্তান খুব ধার্মিক হয়েছে এবং এর অনেকখানি কৃতিত্ব আপনাদের পাওনা”, নিশ্চয়ই তাঁরা খুব খুশি হবেন। 
তবে সাথে সাথে যদি এভাবে আলাপ চালিয়ে যাওয়া যায় যে, “আপনারা যা শিখিয়েছেন আপনাদের সন্তান সেটাই শিখেছে। আজকে আপনারা যদি হিন্দু হতেন তবে আপনাদের সন্তান হত ধার্মিক হিন্দু”, তখন কিন্তু তাঁরা আর খুশি থাকবেন না আমার ওপরে। 
জন্মের পর থেকে যুক্তির অতীত, প্রশ্নের অতীত কিছু বিষয়ের প্রতি আমাদের বিশ্বাস রাখতে বলা হয়েছে। যদি এই বিশ্বাস না থাকে, তাহলে জীবন ও পৃথিবী রসাতলে যাবে, আর বিশ্বাস পাকা থাকলে মৃত্যুর পর আমরা আয়েসে-বিলাসে অনন্তকাল টিকে থাকবো – এটাকেই ধর্মবিশ্বাস বলে। 
যে-ব্যক্তি আল্লাহ বিশ্বাস করে কিংবা যে ভগবান বিশ্বাস করে, তার সামনে আল্লাহ বা ভগবান নিজে এসে বা দূত মারফৎ তাঁদের অস্তিত্বের জানান দেননি। ছোটবেলায় বাবা-মা বা তার নিকটজনদের কেউ তাকে যা বিশ্বাস করতে বলেছে, সে তাই-ই বিশ্বাস করেছে। আমি মুসলিম – এর কৃতিত্ব আমার বা আল্লাহ-নবীর নয়, আমার বাবা-মায়ের। আমি হিন্দু হলেও একই কথা খাটে।

ধর্মবিশ্বাস অনেকটা বংশগতসূত্রে প্রাপ্ত রোগের মত। বংশপরম্পরায় এই রোগ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়াতে থাকে। আমরা এর সত্যাসত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলি না। যে সমস্ত আচার, অনুষ্ঠান বা প্রথার প্রচলন আছে, সেসব ন্যায় কি অন্যায়, সেটাও ভেবে দেখি না। আমার বিশ্বাস টিকে থাকে অন্যের বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করে। এবং অন্যের বিশ্বাস টিকে থাকে আমার বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করে। আমি যদি ভগবানে বিশ্বাস করি তবে ঈশ্বরকে আমার অবিশ্বাস করতে হবে। কোন বাবা-মা একসাথে আল্লাহ-ভগবান-ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখার কথা শেখান না। তাঁদের ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে সন্তানদের মধ্যে প্রবাহিত করেন।

মুসলমানদের কাছে এই বিশ্বাসের নাম ঈমান। যার বিশ্বাস যত শক্ত, তার ঈমান তত পাকা। ঈমানকে তারা আগলে রাখে সবকিছুর বিনিময়ে। কোনো আঁচড় লাগতে দেয় না। ঈমানের বাইরে কী আছে, তা দেখতে গেলে বেঈমান হবার সম্ভাবনা আছে, কাজেই সেই ঝুঁকি তারা নেয় না। ইসলামের জন্ম এবং বিস্তারকে যখন ইতিহাস বর্ণনার ভাষায় কোনো বিশ্বাসী মুসলমানকে বলার চেষ্টা করা হয়, তখন ঈমান নষ্ট হবার ভয়ে তারা তা শুনতে নারাজ।

ধার্মিকের কাছে – সবার উপর ধর্ম সত্য তাহার উপর নাই। এর জন্য যদি জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারতে হয়, সেটাও সই। বিশ্বাসের গায়ে আঁচড় লাগতে দেবে না বলে তারা নাস্তিক ব্লগারের কল্লা রাখে না। অথচ তারা এটা ভেবে দেখে না, একজন লেখকের লেখায় যদি ১৪০০ বছরের পুরনো বিশ্বাস টলে যায়, তাহলে সমস্যা লেখাতে নয় – বিশ্বাসে।

Category: ধর্মকারীTag: মিতকথন, রচনা
Previous Post:নিত্য নবীরে স্মরি – ২৩২
Next Post:লাউ ও কদুর সাদৃশ্য প্রসঙ্গে

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top