ধর্মবিশ্বাস অনেকটা বংশগতসূত্রে প্রাপ্ত রোগের মত। বংশপরম্পরায় এই রোগ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়াতে থাকে। আমরা এর সত্যাসত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলি না। যে সমস্ত আচার, অনুষ্ঠান বা প্রথার প্রচলন আছে, সেসব ন্যায় কি অন্যায়, সেটাও ভেবে দেখি না। আমার বিশ্বাস টিকে থাকে অন্যের বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করে। এবং অন্যের বিশ্বাস টিকে থাকে আমার বিশ্বাসকে অবিশ্বাস করে। আমি যদি ভগবানে বিশ্বাস করি তবে ঈশ্বরকে আমার অবিশ্বাস করতে হবে। কোন বাবা-মা একসাথে আল্লাহ-ভগবান-ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখার কথা শেখান না। তাঁদের ব্যক্তিগত বিশ্বাসকে সন্তানদের মধ্যে প্রবাহিত করেন।
মুসলমানদের কাছে এই বিশ্বাসের নাম ঈমান। যার বিশ্বাস যত শক্ত, তার ঈমান তত পাকা। ঈমানকে তারা আগলে রাখে সবকিছুর বিনিময়ে। কোনো আঁচড় লাগতে দেয় না। ঈমানের বাইরে কী আছে, তা দেখতে গেলে বেঈমান হবার সম্ভাবনা আছে, কাজেই সেই ঝুঁকি তারা নেয় না। ইসলামের জন্ম এবং বিস্তারকে যখন ইতিহাস বর্ণনার ভাষায় কোনো বিশ্বাসী মুসলমানকে বলার চেষ্টা করা হয়, তখন ঈমান নষ্ট হবার ভয়ে তারা তা শুনতে নারাজ।
ধার্মিকের কাছে – সবার উপর ধর্ম সত্য তাহার উপর নাই। এর জন্য যদি জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারতে হয়, সেটাও সই। বিশ্বাসের গায়ে আঁচড় লাগতে দেবে না বলে তারা নাস্তিক ব্লগারের কল্লা রাখে না। অথচ তারা এটা ভেবে দেখে না, একজন লেখকের লেখায় যদি ১৪০০ বছরের পুরনো বিশ্বাস টলে যায়, তাহলে সমস্যা লেখাতে নয় – বিশ্বাসে।
Leave a Reply