[বই পড়ার সময় হয় না, বই রিভিউ করার যোগ্যতাও নাই। তাই বসে বসে ফেসবুক স্ট্যাটাস রিভিউ।]
আশরাফুল আলম সুমন ওরফে আনন্দ কুটুম সাহবের স্ট্যাটাস ‘একটি সুন্দর বাংলাদেশের গল্প‘ পড়লাম। উনি লিস্টে নেই, ইনবক্সে লিঙ্ক পাওয়াতে সেটা পড়ার সৌভাগ্য হয়। যারা লিঙ্কটি দিয়ে ধন্য করেছেন তাদেরকে জানাই একগুচ্ছ বাংলা ভাষার ধন্যবাদ।
ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারিতে ইহা নিঃসন্দেহে অনলাইনে কাঁপিয়ে দেয়া একটি আগুন-ঝরা বাংলা স্ট্যাটাস। ইহার লাইনে লাইনে আগুন চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। যারা লিক-কমান্ড দিয়ে ফেসবুক বিপ্লবকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের সবাইকেও জানাই বাংলা ভাষার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
স্ট্যাটাসটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ–যখন উনাকে শুওরের বাচ্চা বলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার পরে এরেস্ট করা হয়, তখন তিনি কোনো প্রতিবাদ না করে একজন আইন মেনে চলা নাগরিক হিসাবে পুলিশ বক্সে সুড়সুড় করে চলে যান। আমাদের সবারই উচিত এরকম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই জায়গাটিতে–এরেস্ট করার পরে যখন পুলিশ উনার সামনে ছাত্রলীগের নাম কলুষিত করে, তখন তিনি তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। এই ঘটনাটা ফেসবুকের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ যাতে অন্যায় কাজের বৈধতা দিতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলের নজর রাখা উচিত। কারণ ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করা একটি ক্রাইম। আর ছাত্রলীগের নাম কলুষিত করলে অবশ্যই অবশ্যই তীব্র প্রতিবাদ করা উচিত। আমাদের মনে রাখা উচিত–ছাত্রলীগ একটি পবিত্র নাম, একটি পবিত্র সংগঠন।
যদি…কিন্তু…তবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আইজিপি সেদিন বলেছেন–বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বে রোল মডেল। তো সেই পুলিশকে নিয়ে উনি যেভাবে চাপাচাপির গল্প বলেছেন সেটা বিশ্বাস করলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আইজিপির কথাকে অসম্মান করা হয়। তাছাড়া শরীরের দাগগুলো যে পুলিশেরই অবদান, সেটা আদালতে প্রমাণিত হয় নি এখনো। আদালতে প্রমাণিত হওয়ার আগেই কারো নামে ও ধরনের কটূক্তি করা ঠিক হচ্ছে কিনা সেটা আমরা গোলমালাক্স সাবানে ধুয়ে দেখতে পারি।
স্ট্যাটাসটি নিয়ে আপাতত আর কিছু বলার নেই। স্ট্যাটাস রিভিউ আজকের মতো এখানেই শেষ হলো।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

Leave a Reply