লিখেছেন রহমান পৃথু
মুসলমানারা মেধাবীদের রক্ত চায়। মেধার প্রকাশ দেখলে মুসলমানরা ক্ষেপে যায়, তাকে মেরে ফেলে। যে ভাল লিখতে পারে, চিন্তা করতে পারে, যারা অভিজিৎ হতে চায়, তারা ইসলামের শত্রু।
মুসলমানরা মনে করে, সব জ্ঞান কুরানসম্মত হতে হবে। কুরান সব জ্ঞানের মাপকাঠি। যে তার বাইরে চর্চা করবে, সে বাঁচতে পারবে না। মেধার সাথে ইসলামের শত্রুতা আজন্ম।
যিনি ভালো অংক জানেন, জ্যোতির্বিজ্ঞান জানেন, রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান… ভাল গান, বাজনা, নাচ পারেন, ছবি ভাল আঁকতে জানেন, মূর্তি গড়তে জানেন… এ চর্চা করতে পারবেন না। মরবেন। কারণ কুরানে নেই।
শিক্ষা-জ্ঞান-মেধা-বুদ্ধি-বিবেক মানুষকে সভ্য বানায়। এর মাধ্যমে সভ্যতা তৈরি হয়। যারা এসবের চর্চা করে – তাঁরা মানুষের মধ্যে সেরা হয় … আর যারা চর্চা করে না … তাঁরা সেরাদের অনুগ্রহ, দয়া ও সাহায্যে বেঁচে থাকে।
মুসলমানরা মেধাবী ও সভ্যদের কাছে কী চায়? মেধাবীদের তৈরি গাড়ি, উড়োজাহাজ, কম্পিউটার, প্রযুক্তি, ভাল জুতো, লিপস্টিক, ব্রা, অস্ত্র … টাকা চায়। চিকিৎসা চায়, ঔষধ চায়, খাবার চায়, সেবা চায়, চাকুরি চায়। অনুগ্রহ চায়, আশ্রয় চায়।
কিন্তু মুসলমানরা মেধাবীদের কাছে জ্ঞান চায় না। মেধা চায় না। বিবেক চায় না। বুদ্ধি চায় না। মানবতার শিক্ষা চায় না। পশ্চিমা সভ্যদের জীবনবোধ, মানবিক মূল্যবোধ, বিচারবোধ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কাঠামো চায় না।
শুধু মেধাবীদের রক্ত চায়।
উল্লেখ্য, মুহাম্মদ নিজে কবি, সাহিত্যিক, জ্ঞানী গুণীদের রক্ত নিয়েছেন। যে কারণে আরবে কোনো শিল্প-সাহিত্য-শিক্ষার প্রসার হয়নি। একটি সময় দু’-এক জন যা হয়েছে্ – ইসলামের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে – গ্রীক রোমানদের অনুবাদ করা বই পড়ে।
আল্লার রচিত কুরানের চেয়ে ভালো, শ্রেষ্ঠ কোনো গ্রন্থ কেউ লিখুক – মুহাম্মদ তাঁর জীবদ্দশায় সহ্য করেননি। ভালো চিকিৎসকদের তিনি জাদুকর আখ্যা দিয়ে মেরে ফেলতেন। এমনকি সুদর্শন রঙিন পোশাক পরা কাউকে দেখলেও তিনি তাকে নাজেহাল করেতেন। … হাদিসের কথা।
দুর্ভাগ্য – তিনি মারা গেছেন চিকিৎসার অভাবে। মানুষ তাঁকে আল্লাহ্র নবী হিসাবে সন্দেহ না করুক, তাই তাঁকে বিষ খাওয়ানোর পরও – এই ভয়ে – মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চিকিৎসকের শরণা্পন্ন হননি। ফেরেস্তারা তাঁর চিকিৎসা করেন।… ফলে অকালে তিনি মারা যান।
Leave a Reply