আগুন দিয়ে হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে–এই খবরটা যতটা না প্রচার হচ্ছে, তারও বেশি প্রচার হচ্ছে–আগুন দেয়া লোকটার ধর্মীয় ও দলীয় পরিচয়–লোকটা মুসলিম এবং লীগার এবং পুলিশের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা–তাকে নাকি ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করছে।
হিন্দু বা অমুসলিম নির্যাতন এই প্রথম নয়। এর আগেও প্রচুর হয়েছে। সেসব ঘটনায় তেমন কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় নি। কাউকে কাউকে লোক দেখানো গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি বিশ্বজিতের খুনীরাও পার পেয়ে গেছে।
নির্বাচনের আগে এই হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনাটা সুপরিকল্পিত। অপরাধীকে গ্রেফতার করে সবাইকে দেখানো হচ্ছে–দেখো, অমুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালালে গ্রেফতার করা হচ্ছে… এবং সে বা তারা যদি লীগারও হয়, তাহলেও ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আর এ কারণেই লোকটা লীগার এবং তার গ্রেফতারের খবর এমন ফলাও করে প্রচার হচ্ছে, যা আগের ঘটনাগুলোতে তেমন একটা হয় নাই।
ওদিকে প্রায়ই শোনা যায়–ধর্ষকের কোনো ধর্ম নাই, জঙ্গির কোনো ধর্ম নাই… কিন্তু এক্ষেত্রে অমুসলিম নির্যাতনকারীদের দলীয় পরিচয়টা এত জোর দিয়ে সামনে আনা হচ্ছে কেন–বুঝতে পারছি না। তাছাড়া আগুন দেয়া লোকটাকে সবাই মুসলিম-লীগার বলছে, কিন্তু এক্ষেত্রে লীগাররা তার প্রতিবাদ করে কেন বলছে না যে–অমুসলিম নির্যাতনকারীদের কোনো ধর্ম নাই…দল নাই–তাও বুঝতে পারছি না।
এবার মূল ঘটনায় আসি–আসলে হয়েছে কী–শীতকাল আসছে তো, আর হিন্দুরা শীতে কষ্ট পাচ্ছে দেখে এই দেশে হিন্দুদের একমাত্র বন্ধু লীগের মেম্বারটি নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে কেরোসিন কিনে আগুন ধরিয়ে হিন্দুদের জন্য একটু আগুন পোহাবার ব্যবস্থা করেছিল। তো কেউ কেউ লীগার মেম্বারের এই উপকারী দিকটা না দেখে উলটা তাকে ভুল বুঝে থাকলে তার দায় লীগ নেবে না।
জয় বাংলা, আগুন সামলা…
Leave a Reply