শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস একদা তাঁহার প্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দকে লইয়া গিয়াছিলেন আরেক গৃহস্বামী-শিষ্য বাড়ি নেমন্তন্ন রক্ষা করিতে। খাদ্য গ্রহণান্তে খাদ্য পরিবেশনকারী রমণীটিকে দেখিয়া স্বামী বিবেকানন্দের মনে ‘কুচিন্তার’ উদয় হইলে পরে স্বামীজী অবাক-হওয়া পূর্ব্বক তাঁহার গুরুজীকে এই বিষয়টি অবহিত করিলেন।
গুরুজী সহাস্য বদনে (ভাবখানা এমন–উহা তো আমি আগেই অবগত আছি।) বলিলেন, বৎস, (‘ওরে বাছুর’ নয়।) অন্ন রন্ধন প্রাক্কালে রমণীটি তোমার রূপে মুগ্ধ হইয়া মনে মনে তোমাকে কামনা করিতেছিলেন। আর সেই অন্ন তুমি গ্রহণ করিয়াছ বলিয়া রমণীটির কুচিন্তা অন্নের মাধ্যমে তোমার মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে।
স্বামীজী গুরুজীর এই গুহ্য কথা গুরুজীর গুহ্যের মধ্যে ঢুকাইয়া বসিয়া থাকিতে বলিলে গুরুজী হো হো করিয়া হাসিয়া ফেলিলেন। তাহার পর হাসি থামাইয়া বলিলেন, ওহে বৎস, (এইবার ‘ওরে বাছুর’।) আমার কথা বিশ্বাস না হইলে তুমি স্বয়ং গিয়া রমণীটিকে জিজ্ঞাসা করিয়া আসিতে পারো। আশা করি, রমণী তোমার কাছে মিথ্যা বলিবে না।
স্বামী বিবেকানন্দ গুরুজীর কথা মতো রমণীটির নিকটবর্তী হইয়া বলিলেন–সত্য কহ, নয়তো আমার চাইতে খারাপ দুর্বাসা মুনিও হপে না।
রমণী কহিলেন, স্বামীজী, আমি পাপিষ্ঠা নারী, আমাকে মার্জনা করুন…
[বি:দ্র: এই গল্পের ইসলামিক ভার্সনও আছে–সংক্ষেপে– নারী যখন সামনে আসে তখন শয়তানের আকৃতিতে আসে। এবং আকাম কইরা ধরা খাইলে মমিনরা বলে যে, তাদের উপর শয়তান ভর করছিল।]
——-
[ছুডো বেলা মেয়েদের থিকা সাবধান করা পূর্বক বিশুর আম্মা এই গপ্পো আমারে আর বিশুরে শুনাইছিল।]
Leave a Reply