লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সাঃ)
১৪.
আল্লা আদমকে শিখালেন সকল বস্তুর নাম, তারপর সেগুলি পেশ করলেন ফেরেশতাদের সমুখে। বললেন, সত্যবাদী হলে এগুলির নাম আমাকে জ্ঞাত করো। – সুরা বাকারা, আয়াত ৩১ (কোরান ২:৩১)
আল্লা আদমকে সকল বস্তুর নাম শিখিয়েছিলেন। তার লিস্টখানা কই? সেই লিস্টে কি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ডাইনোসর, ছারপোকা, কম্পিউটার, মোবাইল, ইন্টারনেট, স্ফুটনিক, টিভি, ভিসিআর, ডালপুরি, সিঙারা, বাংলা ব্লগ, আম, কাঁঠাল, ক্যাঙারু এসবের নাম আছে?
১৫.
ফেরেশতাদেরকে বললাম, আদমকে সিজদা করো। তখন ইবলীস ছাড়া সকলেই সেজদা করলো। সে সেজদা করতে অস্বীকার ও গর্ব করলো, আর হলো কাফের। – সুরা বাকারা, আয়াত ৩৪ (কোরান ২:৩৪)
– আল্লা ফেরেশতাদের কেন বলেছিলেন আদমকে সিজদা করতে? মুসলমানদের তো একমাত্র আল্লাকে ছাড়া আর কাউকে সিজদা করার নিয়ম নেই। তাহলে আল্লার তৈরি আদমও কি আরেকজন আল্লা?
– আল্লা তার নিজের হাতে মাটি দিয়ে প্রথমে আদমের মূর্তি বানান। তারপর তার মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করেন। তারপর ফেরেশতাদের বলেন তাকে সিজদা করতে। এটা তো পুরাই হিন্দুয়ানী ব্যাপার। হিন্দুরা নিজের হাতে তাদের দেবতাদের মূর্তি বানায় মাটি দিয়ে। ওরা মনে করে, ও সব মাটির মূর্তির প্রাণ ও বুদ্ধি-বিবেচনা আছে। এবং তারপর ওরা নিজেদের বানানো মূর্তিকে সেজদা করে। আল্লার এহেন আচরণ দেখে তো মনে হচ্ছে, তিনিও একটি হিন্দু। এবং তার তৈরি ফেরেশতারাও একেকটি হিন্দু, একমাত্র ইবলিশ ছাড়া।
– আল্লা বলেছেন, তার হুকুম ছাড়া গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ে না। তার বানানো সামান্য ইবলিশ কীভাবে তার হুকুম অস্বীকার করে আদমকে সিজদা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজের স্বাধীন ও বীরত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করতে সক্ষম হলো? সর্বশক্তিমান আল্লার তৈরি ইবলিশের ক্ষমতা কি তার চেয়ে বেশি?
ইবলীসের স্বাধীন, মর্যাদাপূর্ণ ও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের কাছে ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচারী আল্লার অযৌক্তিক ও অবমাননাকর হুকুম তথা স্বৈরাচারী আল্লা নিজেই কেমন হেয় এবং হীন প্রতিপন্ন হয়ে গেল!
১৬.
তিনি দুনিয়ার সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। পরে তিনি দৃষ্টি দেন আকাশ সৃষ্টির দিকে এবং সাত-আকাশ নিয়ন্ত্রিত করেন, এবং সব বিষয়ে সুপরিজ্ঞাত তিনি সবকিছু জানেন। – সুরা বাকারা, আয়াত ২৯। (কোরান ২:২৯)
– আল্লা যদি সব বিষয়েই সুপরিজ্ঞাত হয়ে থাকেন, সবকিছুই জেনে থাকেন, তাহলে, আল্লা, বলুন তো দেখি, আলুভর্তা কীভাবে বানাতে হয়?
Leave a Reply