• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

ইসলামে নারী অধিকারের জোয়ার – ১

You are here: Home / ধর্মকারী / ইসলামে নারী অধিকারের জোয়ার – ১
May 18, 2016
লিখেছেন জিওর্দানো ব্রুনো
কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাস্তিক ব্লগারদের তুলোধুনো করেছেন, কারণ তারা নাকি ইসলামের কিছু না জেনে ইসলাম সম্পর্কে অশ্লীল কথাবার্তা ছড়ায়। এর কিছুদিন আগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পোক্তভাবে বহাল রাখা হয়েছে এবং আশা করছি, খুব শিগগিরই “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামটি বদলে “ইসলামিক প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” করা হবে ইনশাল্যা। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে কিছু সমস্যায় পড়তে হতে পারে, আমার এই পোস্টটি সেই বিষয়ে।
শুনে আসছি, ইসলাম নাকি নারীদের অধিকারের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছে, ইসলামের আগে নারীদের নাকি কোনো অধিকারই ছিল না। চলুন, দেখি, আমাদের কোরান-হাদিসে নারীদের কী ধরনের অধিকার বা মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ‘জাল হাদিস’ বা ‘কোরান অনুবাদের ভুল’ জাতীয় অপযুক্তি দিয়ে যারা পল্টি মারার ধান্দায় আছেন, এই পোস্ট তাদের পড়ার দরকার নেই।
নারীদের কি বুদ্ধিশুদ্ধি কম? জ্বি, কম। এই দেখুন:

আবু সাইদ আল খুদরী বলেছেন – একদিন নবী (দঃ) ঈদের নামাজের জন্য মাসাল্লাতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু নারীদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বললেন, “তোমরা সদকা দাও, কেননা আমি দোজখের আগুনে বেশির ভাগ নারীদেরই পুড়তে দেখেছি।” তারা বলল: “এর কারণ কি, ইয়া রাসুলুল্লাহ?” তিনি বললেন: “তোমরা অভিশাপ দাও এবং তোমাদের স্বামীদের প্রতি তোমরা অকৃতজ্ঞ। ধর্মে আর বুদ্ধিতে তোমাদের চেয়ে খাটো আমি কাউকে দেখিনি। একজন বুদ্ধিমান সংযমী পুরুষকে তোমাদের কেউ কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে।” তারা বললেন: “ইয়া রাসুলুল্লাহ, ধর্মে আর বুদ্ধিতে আমরা খাটো কেন?” তিনি বললেন: “দুজন নারীর সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সমান নয়?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন “এটাই হলো বুদ্ধির ঘাটতি। এটা কি সত্যি নয় যে মাসিক-এর সময় নারীরা নামাজ এবং রোজা করতে পারে না?” তারা হ্যাঁ-বাচক জবাব দিল। তিনি বললেন “এটাই হলো ধর্মে ঘাটতি।” (সহিহ বুখারী, ভল্যুম ১, হাদিস ৩০১)

পবিত্র কোরানেও এর ওপরে আলোকপাত করা হয়েছে:

হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋণ গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অতঃপর ঋণ গ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দুর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে। দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহকে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন। (সুরা ২: ২৮২)

পরিষ্কার বলা হয়েছে, একজন পুরুষের সাক্ষীর সমান দু’জন নারীর সাক্ষী। কারণ নারীদের ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাস্তবে যদিও উল্টোটাই ঠিক। নারীরাই সব কিছু অনেক বিশদে মনে রাখতে পারে, কবে প্রথম দেখা, কবে প্রথম হাত ধরা, কবে প্রথম “ভালোবাসি” বলা হয়েছে, কোন তারিখে ক’টার সময় প্রথম চুম্বন – এগুলো নারীদের জন্য মনে রাখা কোনো ব্যাপারই নয়।
নারীরা কি অশুভ? জ্বি, হ্যাঁ।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে: নারী, বাড়ী এবং ঘোড়া হয়।’ (সহিহ বুখারী, ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০)

নারী আর উট কি একই একই জিনিস? কী মনে হয়, দেখুন তো:

আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন এস হতে বর্ণিত: নবী (দঃ) বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ দাস-দাসী কিনলে বা বিয়ে করলে তাকে বলতে হবে – ও আল্লাহ আমি এর স্বভাব চরিত্রে ভালো কিছুর জন্য তোমর কাছে প্রাথনা করি। আর এর চরিত্রের মন্দ থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। কেউ উট কিনলেও তাকে উটের কুজো ধরে এ কথা বলতে হবে। (সুনান আবু দাউদ ১১ খণ্ড, হাদিস ২১৫৫)

বাংলাদেশের আজকের এই পরিণতির জন্য দায়ী কী, জানেন?

আবু বাকরা বলেছেন, নবী (দ:) বলেছেন যে, যে জাতি নারীর ওপরে নেতৃত্ব দেবে, সে জাতি কখনো সফলকাম হবে না। (সহিহ বুখারী, ভল্যুম ৫, হাদিস ৭০৯)

এখন প্রশ্ন জাগে: প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪০ সফলকাম হওয়ার সম্ভবনা কতটুকু?
Category: ধর্মকারীTag: কোরানের বাণী, রচনা, হাদিস
Previous Post:আস্তিকীয় বাতিক
Next Post:ইছলামী লাইফগার্ড

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top