পাল্লা আর বিশুর স্কুল ফাইনালের রেজাল্টের দিন : লিস্টে পাল্লার নাম পাওয়া গেলো না। পড়াশোনা ওখানেই শেষ। তবে বিশুর নাম লিস্টের টপে। বাড়ি ফেরার সময় বিশুরে কইলাম–বাড়ি ফিরে তো গালি খেতে হবে, তার আগে বাজারের দিকে চল, তুই কিছু মিষ্টি খাওয়া…
বিশুর কলেজ ফাইনালের রেজাল্টের দিন : তার আগে কিছু কথা–পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরেই বলছিল যে, যে অংকে কোনোদিন ধরা খায় নাই, ফাইনালে সেই অংকই মিলল না! ভাবছিলাম দুই বছর আগে পাল্লার যেমন পড়াশোনার পার্ট চুকে গেল, এইবার বিশুরও তাই না হয়… পার্ট চুকে না গেলেও সেবার ধরা খেয়েছিল…
সেবার চারদিকে বন্যা। উঠান ছুঁই ছুঁই পানি। দূরে কোথাও যাওয়ার নেই। নৌকা নিয়ে বিশুদের বাড়ির দিকে গেলেই দেখি সে বাড়ির পেছনের দিকে গাছতলায় মোড়া পেতে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছে।
সকালের দিকে গেলে রোদের মধ্যে আর বের হই না। ওর পাশে বসে মাছ ধরি। বিকেলের দিকে গেলে ওকে নৌকায় তুলে নিয়ে পাথারের ক্ষেতের মধ্যে এখানে-ওখানে চার ফেলে মাছ ধরি।
রেজাল্ট বেরোনোর আগের দিন জিজ্ঞেস করেছিলাম রেজাল্ট আনতে ঢাকা যাবে কি না। বলছিল–রেজাল্ট কী হবে সে তো জানা কথাই…নতুন করে আবার আনার কী আছে!
রেজাল্টের দিন কিছু মিষ্টি কিনে নিয়ে গিয়ে বলছি–নৌকায় উঠে আয়, আজ বিকেল তুই মাছ ধরবি, আর আমি তোকে মিষ্টি খাওয়াবো… সবার এত খারাপ রেজাল্ট করার মত সাহস থাকে না…
Leave a Reply