আইয়ুব বাচ্চু দোজখে যাবে নাকি বেহেস্তে যাবে–এই নিয়ে মুসলমানরা দ্বিধা-বিভক্ত।
পুরানা লিস্টের অনেকের হয়তো মনে আছে–গিটার হাতে নিয়া এক কচি মমিন আসছিল ইসলামরে বাঁচাইতে–এইটা সহিহ ইসলাম না, অমুকেরা সহিহ মুসলিম না, অমুক-তমুকের কর্মের দায় ইসলাম আর নবির উপর চাপানো যাবে না, হেন তেন… অতঃপর গালাগালি।
তারা গালাগালি আর ছবি নিয়া আলাদা একটা পোস্টও দিছিলাম পরে। তর্ক শেষে যা কইছিলাম, তার সারমর্ম ছিল এরকম–সত্যিকারের ইসলাম কায়েম হোক, তখন তোর বাপে নিজে তোর হাতের ওই গিটার তোর পাছার মধ্যে দিয়া ঢুকাবে।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে সেই গিটার হাতে গান গাওয়া গ্রুপটা এখন কী বলতেছে, জানি না, তবে হুজুর আর মমিনরা কী বলতেছে, সেগুলার স্নাপশট ফেসবুকে ভাসতেছে।
কী হওয়া বা বলা উচিত–এইটা অমীমাংসিত-আনলিমিটেড তর্কের বিষয়। কিন্তু কোন বিষয়ে ইসলাম কী বলে সেইটা অনেক আগেই মীমাংসিত এবং ফিক্সড (শরিয়া আইন দেখতে পারেন)।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর হুজুররা যা বলছে, তাতে আমি হুজুরদের পক্ষে। আপনি যদি হুজুরদের কোনো ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করেন, তাহলে হুজুররা কোরান-হাদিস অবলম্বনে তার উত্তর দেবে। আইয়ুব বাচ্চু বেহেস্তে যাবে, নাকি দোজখে যাবে–এই প্রশ্ন করলে স্বাভাবিক ভাবে হুজুরদের উত্তর হবে–দোজখে যাবে। কেননা ইসলামে গানবাজনা, বাদ্যযন্ত্র–এসব হারাম। এই হারাম কাজ যারা করবে তারা অবশ্যই দোজখে যাবে–ইসলামের মতে।
হুজুররা সত্য কথাই বলছে। এ নিয়া অনেক মডারেট মুসলমানের বিপক্ষ অবস্থা, বা তারা যেভাবে হুজুর আর মমিনদের সমালোচনা করছে–সেটাই বরং হাস্যকর। আগে ইসলাম কী জিনিস, সেটা জানেন। তারপর বলেন হুজুররা মিথ্যা বলছে, নাকি সত্য বলছে। এখানে আবারো স্মরণ করিয়ে দেই–কী হওয়া উচিত আর কী হওয়া উচিত না–এইটা ধর্মের বাইরের বিষয়, আর তাই এসব নিয়ে আবহমানকাল ধরে ধর্মের বাইরের মানুষ তর্ক করে আসছে পারছে। ধর্মের মধ্যে থাইকা এই তর্ক সম্ভব না। তাহলে সেইটা ধর্ম অবমাননা হবে।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হুজুরদের সমালোচনা করে মডারেট মুসলমানরাই বরং ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে চলছেক। আইয়ুব বাচ্চু দোজখে যাবে–এই নিয়ে সংশয়ের কিছু নাই। বিশ্বাস না হলে কোরান-হাদিস খুলে দেখেন।
ছবি ক্রেডিট : বিডিনিউজ২৪.কম
Leave a Reply