লিখেছেন : কবিতা রায়
হজরত শ্রীকৃষ্ণকে লোকে ভগবান বললেও আসলে তিনি কিন্তু খোদার বান্দা ছিলেন। মালিকের খেদমত করে সিদ্ধিলাভের উদ্দেশ্যে তিনি ৫৭২ সালে মক্কায় আবার জন্ম নিয়েছিলেন। তখন তাঁর নাম হয়েছিল মহম্মদ। মানুষ যে কৃষ্ণকে ভগবান ভাবত, সেই ভুল সংশোধন করার জন্যই মহম্মদ রূপে এই জন্ম নেওয়া। এই অবতারে তিনি কৃষ্ণ সহ সমস্ত ভুলভাল দেবতার মন্দির ভেঙে এক খোদার খেদমত করা শিখিয়েছেন। কৃষ্ণ আর রসুল একই, দুজনেই খোদার বান্দা। ভগবান কেউ নয়।
এই তথ্যটা খুব সম্প্রতি জানতে পেরেছি। এর আগে সেকুলার গান্ধী বলতেন যেই রাম সেই রহিম। ঈশ্বর-আল্লা তেরে নাম। কিন্তু অনুকূল ঠাকুরের বই থেকেই প্রথম জানলাম যে ঈশ্বর আর আল্লা সমান নয়। হিন্দুদের ঈশ্বর হল আল্লার গোলাম। আল্লা আরো বড় জিনিস। কৃষ্ণ আর মহম্মদে কোনো ভেদ নেই। রাম আর আল্লা এক নয়, রাম আর মহম্মদ এক।
এসব কথা বিশ্বাস না করেও উপায় দেখছিনা। কারণ খোদ রামভক্ত বিজেপির নেতারাই অনুকূল ঠাকুরের শিষ্য। RSS নেতা মোহন ভাগবত অনুকূল ঠাকুরের ভক্ত। বিজেপি নেতা বিপ্লব দেব রোজ শ্রীশ্রী অনুকূল ঠাকুরের ছবি পুজো করেন। রামকে আল্লার বান্দা বলাটা ভুল হলে তারা কি অনুকূলের ভক্ত হতেন? তাই মেনে নিতেই হচ্ছে যে রাম, কৃষ্ণ ইত্যাদিরা আল্লার বান্দা। আল্লাই সবার মালিক।
Leave a Reply