লিখেছেন- Anworhossain Farmer
ঐ সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হওয়ায় খালেদা জিয়ার যে কান্নাকাটি বাঙালি দেখেছে তা আর কখনো দেখা যায়নি ! দেখবে কেন? ভিটেমাটি থেকে উচ্চেদ তো মানুষ প্রতিদিন হয়না!
ভিটেমাটিতে নাড়ির টান থাকে!নাড়ি নাকি কোদাল দিয়ে ভিটেমাটিতেই গর্ত করে পুঁতে রাখা হয় ! তাই ভিটেমাটির প্রতি মানুষের এত টান !তা বারেক ওবামা হোক আর রাস্তায় রাস্তায় টোঁ টোঁ করা ভাদেইম্মা হোক ! নাড়ির টান থাকবেই !রা
তবে খালেদা জিয়ার নাড়ি ঐ সেনানিবাসের বাড়িতে নয়!বরং ঐ বাড়িতে বিএনপির নাড়িঁ পুঁতে রাখা আছে !খালেদা জিয়া যে নাড়িঁ ছাড়া জন্মছে তা নয়!হয়তোবা পিত্ত ছাড়া জন্মেছে,কবুতরের মতো!পিত্ত ছাড়া জন্মালে মানুষের লজ্জা শরম থাকেনা!তাই নিজের জন্মদিন বানিয়েছেন ১৫ই আগষ্ট !
এবং ভিটেমাটিহীন লাখ লাখ মানুষের চিন্তা না করে এবং ভুমিহীনদের নেত্রী হয়েও ঐরকম ভেঁ ভেঁ করে কাঁদতে পেরেছিলেন !
কোন বাড়িতে খালেদা জিয়া জন্মেছে তা অনেকে জানেনা !কোন দিন জন্মেছে ,তাও অনেকে জানেনা !
জানার দরকারও নাই !
জন্মতারিখ ধুঁয়ে ভাঙালি পানি খাবেনা !
তবে খালেদা জিয়ার ঐ কাঁন্দন দেখে লাখ লাখ বাঙালিও কেঁদেছিলো!ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলো!পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ছিলো!
পুরো বঙ্গ উপ্তপ্ত হয়ে গিয়েছিলো !
অবশেষে খালেদা জিয়া স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে বাপের বাড়িতে না গিয়ে উঠেছেন ভাইয়ের বৌয়ের সংসারে!
ঐ যে বললাম,পিত্ত নাই !লজ্জা শরম নাই !
নাহলে কি কেউ ভাইবৌয়ের সংসারে ভাদেইম্মা হয় ?
যাই হোক,খাদেলাজিয়ার কপালে আশ্রয় জুটেছে!
কিন্তু লাখ লাখ নাদান বাঙালির আশ্রয় তখনো ছিলোনা ,এখনো নাই !
যাকগে এই পোষ্ট খালেদা জিয়াকে নিয়ে নয়,বরং এই পোষ্টের উদ্দ্যেশ্য শেখ হাসিনা !
বাঙালির মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের এই অগ্নিকন্যার দহন থেকে নিজের মরা বাপও রক্ষা পায়নি ! শেখ মুজিব মরে গেছেন ৩৬ বছর আগে এত বছরে, এই নেতার অঙ্গ প্রত্যাঙ্গ, হাঁড়,গোড়,মাথার খুলি সহ সবকিছু পঁচে গেছে,মাটির সাথে মিশে গেছে প্রাকৃতিক নিয়মে !
আর চিন্তা.চেতনা,আদর্শ,স্বপ্ন ইত্যাদি পুঁড়ে,পুঁড়ে ছাঁই হয়ে গেছে নিজের অগ্নি কন্যার দহনে!
বাঙালির এই প্রধানমন্ত্রী আজ সাগর রুনি হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে বলেছেন,’মানুষের শয়নকক্ষ পাহারা দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়’!
প্রশ্ন জাগে,তাহলে পুলিশ, র্যাব,কোবরা,চিতা,বাঘ,ভাল্লুক,কুত্তা কিসের জন্য ?
যারা নিজের নিরাপত্তার জন্য আগে পিছে ডজন ডজন এসব বাহীনি লেলিয়ে রাখে তারা কি মানুন নয় ?
তারা কি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ঔরসজাত ?
এধরনের কথা কি পৃথীবির কোন প্রধানমন্ত্রির গাল থেকে এ যুগে বাহির হয় ?
তারপরও শেখ হাসিনার পাঁচাটা কুত্তার দল বলবে,নেত্রির নোভেল পুরস্কার পাওয়া উচিত!
তাও শান্তির ক্যাটাগরিতে!
শুনলে মনে হয়,প্রেমিক এর প্রতি প্রেমিকার আবদার!
অথচ এধরনের প্রধানমন্ত্রীকে নূভেল দেওয়াতো দূরের কথা,বরং বর্হিঃবিশ্ব ‘আলসে’ করেও খাওয়ার কথা নয় !
যে কোন হত্যাকান্ডের জন্য দায়ীদের বিচার করা সরকারের দায়িত্ব !
দীর্ঘমেয়াদে বিচারে ব্যার্থ হলে,হত্যাকান্ডের দায় সরকারের গাঁড়েই চাপে!
সেই হিসেবে এই ঘটনার দায়ও শেখ হাসিনার ঘাঁড়ে চেপে বসবে !
অন্যদিকে,সাগর রুনি পুত্র মেঘের দায়িত্ব নিয়েছেন হাসিনা !
মেঘ কি হাসিনাকে ক্ষমা করবে ?
একইদিনে সাবেক প্রেসিডেন্ট হু মু এরশাদ বলেছেন,”ইসলামের সেবা করার জন্যে আবার ক্ষমতায় যেতে চাই” !
পাঠক চিন্তা করুন,ক্ষমতা কি জিনিস?
অক্ষমতা কি জিনিস?
লাজলজ্জা,সাজসজ্জা কি জিনিস?
আর কিছুতে সুবিধে হচ্ছেনা !তাই এবার হাতে তুলে নিচ্ছেন ইসলামের ঝান্ডা !
হ্যাঁ,বাঙলাদেশে ইসলাম,সনাতনের এই ঝান্ডা উড়ালে সবছেয়ে ফায়দা বেশি!
তাই মক্কা মদিনার ব্যাবসা সবছেয়ে চাঙ্গা !
অথচ এই মুহর্ত্বেও লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে ঘুমিয়ে আছে !
ক্ষিধের জ্বালায় ঘুম আসছেনা !
লাখ লাখ শিশু মায়ের স্তন চুঁষে দুধ পাচ্ছেনা !
স্তন শুকিয়ে আছে !
লাখ লাখ বেওয়ারিশ কুকুরের মতো রাস্তায় রাস্তার পড়ে আছে বেওয়ারিশ বাঙালি !
কুত্তার চেয়েও বিপন্ন জীবন যাপন করছে মানুষ!
তবুও নিরীহ বাঙালি কুত্তার ছেয়েও অধম হয়ে আছে !
কুত্তাও দূরে গিয়ে খেঁকিয়ে উঠে !
অথচ নির্বিকার বাঙালি ধুঁকে ধুঁকে মরছে প্রতিদিন!
লাখ লাখ মানুষ না খেতে পেয়েও প্রতিবাদ করছেনা!
মুখের খাবার কেড়ে নিচ্ছে যারা,তাদের প্রতিরোধ করছেনা !
বাঙালির নেতারা বাঙালির পক্ষে কথা বলছেনা !
বরং বিপক্ষে কথা বলছে!
তবুও বাঙালি নির্বিকার!
বাঙালি যেন সব বয়রা হয়ে গেছে!
বাঙালি যেন এখন কানা হয়ে আছে গোলাম আজমের (শূকর)মতো!
কিছু শুনতে পাচ্ছেনা !
প্রত্যেক বাঙালির বয়স যেন এখন নব্বই !
কোন চেতন নাই,বোধ নাই,দৃষ্টি নাই,লজ্জা নাই !
বঙ্গ যেন এখন মানুষশুন্য জনপদ!
যেন বাঙালির তাগড়া জোয়ানরা সব মরে গেছে?
প্রতিবাদ,প্রতিরোধহীন এক জঙ্গলে পরিণত হয়েছে পুরো বঙ্গদেশ?
শুধু কিছু কাপুরুষ গরুর মতো জাবর কেটে যাচ্ছে ৫২ ৫২ , ৭১ ৭১ করে ….
যেভাবে অগ্নি কন্যার দহনে পুঁড়ে গেছে মরা বাপ,
সেভাবে বাঙালিও পুঁড়ে ফেলছে প্রতিদিন পূর্বপুরুষের অর্জন ৫২,৭১
Leave a Reply