[সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে ক্লাশ শুরু। ২ ও ৩ তারিখের বিস্তারিত কিছু লেখা নেই। শুধু সারাদিনে কখন কী হয়েছে, তার একটা লিস্ট দেয়া। এ থেকে প্রাকটিক্যাল ক্লাশ, কুইজ, প্রাইভেট পড়া, ইত্যাদি বাদে পুরো প্রথম বর্ষের রুটিনের একটা ধারণা পাওয়া যাবে।]
সেপ্টেম্বর ২
৪:৪৫ এএম – ঘুম থেকে উঠলাম
৫:১৫ এএম – প্রার্থনা
৬:৩০ এএম – স্নান
৭:০০ এএম – নাস্তা
৭:৪৫ এএম – কলেজ যাত্রা
৮:০০ এএম – প্রথম ক্লাশ শুরু
১২:৪০ পিএম – ছুটি
১:১০ পিএম – মিশনে ফিরলাম
১:৩৫ পিএম – মধ্যাহ্নভোজ
৬:৩৫ পিএম – সন্ধ্যা প্রার্থনা
৯:২০ পিএম – নৈশভোজ
সেপ্টেম্বর ৩
৪:৪৫ এএম – ঘুম থেকে উঠলাম
৫:১৫ এএম – প্রার্থনা
৬:৩০ এএম – স্নান
৭:০০ এএম – নাস্তা
৭:৪৫ এএম – কলেজ যাত্রা
৮:২০ এএম – প্রথম ক্লাশ শুরু
১:১৫ পিএম – মিশনে ফিরলাম
১:৩৫ পিএম – মধ্যাহ্নভোজ
৬:৩৫ পিএম – সন্ধ্যা প্রার্থনা
৯:২০ পিএম – নৈশভোজ
১০:০০ পিএম – আলোচনা সভা
১১:২০ পিএম – লোডশেডিং
সেপ্টেম্বর ৪
আজ জন্মাষ্টমী। কলেজ বন্ধ। গতকাল কলেজের ক্লাসে এই ছুটি নিয়ে কথা হচ্ছিল। ক্লাস শুরু হতে না হতেই ছুটি! আশেপাশের দু-চারজন ক্লাসমেটকে জন্মাষ্টমী কী কেন, এসব বোঝাচ্ছিলাম। শেষে বলেছিলাম জন্মাষ্টমীর দিন বৃষ্টি হবে। ওরা কেউ আমার কথা বিশ্বাস না করে বাজি ধরতে চাইল। আমার বিশ্বাসও অতটা পোক্ত নয় বলে বাজিতে না করলাম। তবে আমার পাশে বসা ক্লাসমেট কৌতূহলবশতঃ কথাটা তার খাতায় লিখে রাখল যাতে কলেজ খুললে ব্যাপারটা ভুলে না যায়।
আজ ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেলে উঠে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। ৫টা ২৫শে ছাতা মাথায় দিয়ে প্রার্থনার জন্য মন্দিরে যেতে হল। যতই ঝড়-বৃষ্টি হোক না কেন, প্রার্থনা নাকি হবেই হবে! ৭টায় সকালের খাবার। কলেজ ছুটি, তাই নাকি ভাত। সাথে আলুসিদ্ধ আর ডাল। দুইটাই খেতে অখাদ্য।
খেয়ে রুমে এসে আবার ধুতি-পাঞ্জাবি পরে মন্দিরে যেতে হল। ৮টার দিকে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে গীতাপাঠ শুরু হল। ১টায় প্রসাদ বিরতন। তারপর ১টা ২৫শে মধ্যাহ্নভোজ। সন্ধ্যা প্রার্থনার পর বড় মহারাজের সভাপতিত্বে শ্রীকৃষ্ণের জীবন সম্বন্ধে আলোচনা সভা। ৯টায় আবার প্রসাদ বিতরণ করা হল। ৯টা ৩০শে নৈশভোজ। ১০টা ৩০শে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বিটিভিতে প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানটি দেখার অনুমতি এবং একই সাথে আদেশ দেয়া হল। মিশনে এমনিতে টিভি দেখা বা রেডিও শোনার অনুমতি নেই। ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি দেখার সময় ১১টা ১৫তে লোডশেডিং।
[সন্ধ্যার দিকে কাকা-কাকিমা এসেছিলেন। তখন বড় মহারাজের সামনে বসে আলোচনা শুনছি। তাই উঠে গিয়ে দেখা করা, কথা বলা হয়নি। উনারা বেশিক্ষণ ছিলেন না। তাই আর কথা হল না।]
(ছবি কৃতজ্ঞতা : ইন্টারনেট)
Leave a Reply