লিখেছেন : আবু জাহেদ
মাদ্রাসায় এগুলো হচ্ছে টা কি?
আর সুন্নতি দাড়ি-টুপি জোব্বা ওয়ালা আল্লার খাস সেক্রেটারি এই হুজুর গুলোই বা করছেটা কি!
প্রতিদিন সকালে পত্রিকা খুললে শিশু বলাৎকারের খবর আছেই…!
এবং আশ্চর্যজনকভাবে এই প্রতিটি ঘটনার সাথে জড়িত মসজিদের ইমাম কিংবা মাদ্রাসার হুজুর।
এর ব্যতিক্রম খুব একটা চোখে পড়ে না।
ফরিদপুরে বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রটি হাসপাতালে নেয়ার সাথে সাথেই
মারা গেল, সেখানে দুই মাদ্রাসার হুজুর আটক। সম্ভবত ওই একই দিনে ২৫/২৬
তারিখে ঢাকার মোহাম্মদপুরে, সাহায্য দেয়ার কথা বলে এক মসজিদের ইমাম এক
শিশুকে ভোরবেলা ডেকে, করলো বলাৎকার। অসুস্থ অবস্থায় ছেলেটিকে নেয়া হল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মোটকথা হুজুর কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্রদের
বলাৎকার, দেশের বিভিন্ন অপরাধের সাথে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, এবং এই
অপরাধের উদ্ভাবক দেশের আলেম সমাজ বলেই মনে হয়।
আজকের খবরে দেখছি টাংগাইলের দেলদুয়ারে এক কওমি মাদ্রাসা ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে সেই মাদ্রাসার পেছনের বাগানে।
মাদ্রাসাগুলো বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসা সমূহ কার্যত এক একটা টর্চার ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে কারো যেন কিছু বলার নেই, কারো যেন কিছু করার ও নেই!
সমাজ রাষ্ট্র পরিবার সবাই এই হুজুর এবং মাদ্রাসার বিষয়ে অন্ধ বধির হয়ে গেছে।
পরিবারের কথা আর কি বলবো, তারা তো কচি বাচ্চার ঘাড়ে পা রেখে বেহেস্তে পার হতে পারলেই বেঁচে যায়, তাই তাদের সেই ছোট বাচ্চার হাত ভাঙুক পা ভাঙুক বলাৎকার করুক, তাতে তাদের আসলে কিছু এসে যায় না।
যদি কারো কিছু এসে যেতই, তাহলে নীরবে-নিভৃতে বাংলাদেশের এই কওমি মাদ্রাসাগুলো এক একটা টর্চার সেলে পরিণত হয়ে যেতে পারতো না।
এই যে পেপার খুললেই হুজুর কর্তৃক ধর্ষণ বলাৎকারের সংবাদ রয়েছে প্রতিদিনই, সেই বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোন হুজুর একটা নিন্দা করেছে, একটা প্রতিবাদ করেছে, এমন কখনো শোনা যায়নি।
বরং এই জঘন্য অপরাধকে ঢাকার জন্য তারা ঘটনাটির অপব্যাখ্যা করেছে।
শয়তানের প্ররোচনায় তারা এই কাজগুলো করে বলে অধিকাংশ ধর্ষক আলেম মিডিয়ার সামনে বলেছে। এবং পুরো আলেম সমাজ নির্লজ্জের মতো এটাকে বিভিন্নভাবে সাপোর্ট করেছে নতুবা চুপ থেকেছে।
এই সমস্ত নিজেদের কুকর্মের সম্পর্কে, সমাজে বিভিন্ন রকমের অন্যায় অসঙ্গতির বিষয়ে, কোন একটা ভালো গঠনমূলক কাজে, এই হুজুর আলেমসমাজ নেই এবং কোন কালেও ছিল না।
এরা আছে কোথায় গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য বসানো হচ্ছে, কোথায় ছিন্নমূল মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত শিশুদের জন্য মায়ের দুধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, কোথায় মেয়েরা ফুটবল খেলছে,
অর্থাৎ যেকোনো প্রগতিশীল উন্নয়নমূলক উদ্যোগ ভন্ডুল করার জন্য, এরা আছে এবং এই কাজে এরা সব সময় ছিল।
Leave a Reply