বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোয় শিশুকামিতা প্রবলভাবে বিকশিত। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরাট একটি অংশ ‘বালক সংশ্লেষণ’-এ অভ্যস্ত। অর্থাৎ তারা একাধারে শিশুকামী ও সমকামী। এই মাদ্রাসাগুলোকে তাই “সমকওমি মাদ্রাসা” বলাটাই যুক্তিযুক্ত হয়।
এছাড়া মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, আরবি পড়ানোর হুজুর ও ইত্যাকার ইতর মোল্লারাও ইহজগতে গেলমানগমনচর্চায় জড়িত, এ কথা সবাই জানে। তবে শিশুকামিতা ইছলামে অনুমোদিত বলেই হয়তো মমিনরা এটাকে সমকামিতা হিসেবে দেখে না ও কোনও প্রতিবাদও তাদের করতে দেখা যায় না। আবার এরাই কিন্তু আমেরিকায় এক মুছলিম কর্তৃক ৫০ জন সমকামী হত্যার সংবাদে প্রত্যক্ষভাবে বা নীরবে উল্লসিত।
হত্যাকারী সেই মুছলিম আফগান বংশোদ্ভুত। সেই আফগানিস্তানেই তো প্রায় রাষ্ট্রীয়ভাবে শিশুকামিতা তথা সমকামিতা ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। কই, মমিনীয় কোনও প্রতিবাদ তো শোনা যায় না কখনও! সে দেশে পুরুষেরা নারীর সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ থেকে বঞ্চিত বলে আকৃষ্ট হয় বালকদের প্রতি। কিছু বালককে প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীর পোশাক পরিয়ে নাচানো হয় এবং ব্যবহার করা হয় যৌনসঙ্গী হিসেবে। স্থানীয় ভাষায় এদের নাম ‘বাচা বাজি’, যাদের নিয়ে বানানো একটি মর্মবিদারি ডকুমেন্টারি:
ভিডিও লিংক: https://vimeo.com/11352212
এ কথাও সর্বজনবিদিত যে, ইছলামের নবী ও ইছলামের জন্মস্থান পৃথিবীর পবিত্রতম দেশ চৌদি আজব বাস্তবে সমকামীদের স্বর্গ। এ বিষয়ে একটি অত্যন্ত বিশদ ও কৌতূহলোদ্দীপক নিবন্ধ পড়ে নেয়া যেতে পারে। সমকামিতা প্রশ্নে ইছলামী ভণ্ডামির কথা লিখেছে দ্য ইকোনমিস্ট-ও। এছাড়া ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে al-Hurra চ্যানেলে প্রচারিত Misawa নামের অনুষ্ঠান থেকে জানা যাচ্ছে, সেই দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ শিশু ধর্ষণের স্বীকার হয় এবং ছাত্রদের মধ্যে শতকরা ৪৬ জন সমকামী। তিন মিনিটের ভিডিও: https://youtu.be/MQ8PSKSWeEw
আচ্ছা, ইছলামে কি নারী-সমকামিতা অনুমোদিত? এ বিষয়ে “ইসলামে লেসবিয়ানিজম হালাল” নামে আগে প্রকাশিত একটি পোস্ট পঠিতব্য।
এছাড়া পড়ে নেয়া যেতে পারে “ইছলাম ও পিছ-কাম” নামের আরও দু’টি পোস্ট: এক ও দুই।
Leave a Reply