অনেকদিন ধরে একজন বে-নামাজি মুমিনাকে লাইনে আনার চেষ্টা করছি। তাকে নামাজ পড়ার জন্য অনেকবার দাওয়াত দিয়েছিলাম। তিনি একজন মডারেট, হিজাবী এবং টাইট জিন্স-প্যান্টি মুসলমান। আজকে সকালবেলা তার সাথে দেখা হলে আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম:
– ওই বে-নামাজি আল্লাহর বান্দী, আল্লাহকে খুশি করার জন্য আজকে ফযরের নামাজ পড়েছেন?
বে-নামাজি মুমিনা আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করল:
– হুজুর, বউকে সন্তুষ্ট করার জন্য গত রাতে আপনি কি সহবত করেছেন?
আমি উত্তর দিলাম:
– আস্তাগফিরুল্লা, বউয়ের সাথে সহবত করা আমার ব্যক্তিগত রিলেশনের ব্যাপার। আপনি এই ব্যাপারে জিজ্ঞাস করেন কেন?
বে-নামাজি মুমিনা প্রশ্ন করল:
– হুজুর, আল্লাহকে খুশি করা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার, আপনি এই ব্যাপারে জিজ্ঞাস করেন কেন?
আমি উত্তর দিলাম:
– নামাজ কায়েম বা প্রতিষ্ঠা করা আল্লাহর নির্দেশ, তাই আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম।
বে-নামাজি উত্তর দিল:
– হুজুর, সহবতের মাধ্যমে বউকে ঠাণ্ডা রাখা যায়, আর নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকেও ঠাণ্ডা রাখা যায়। তাই নামাজ এবং সহবত একই জিনিষ। বউকে খুশি রাখাও তো আল্লাহর নির্দেশ, তাহলে সহবতের কথা জিজ্ঞাস করলে লজ্জা পেলেন কেন?
আমি বল্লাম:
– আস্তাগফিরুল্লাহ।
এরপর বে-নামাজি মুমিনা আমাকে প্রস্তাব দিল:
– আসেন হজুর, জামাতের সাথে সহবত করি।
আমি বুঝতে পারলাম, হিজাবী-জিন্স-প্যান্টি মুমিনারা নাস্তিকদের থেকেও বিপদজনক। তাই মুমিনার কথা শুনে আমি দৌড় দিয়ে পালালাম।
Leave a Reply