ভাববাদে একটা পর্যায়ে যখন ভাববাদীরা ঈশ্বরের বিশালত্বকে কল্পনায় ধারণ করতে অক্ষম হয়, তখনই বলে ওঠে–নিজেকে জানো… নিজের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করেন… আনাল হক… আমিই আল্যা! তাহলে এটা কি বলা যেতে পারে যে, সৃষ্টিলগ্ন থেকে যে মানুষ বস্তুবাদী, তারাই সময়ের আবর্তনে অজ্ঞানতাহেতু ঈশ্বর ধারণার সৃষ্টি করছে, আবার সেই ধারণার শেষ পর্যায়ে গিয়ে আবার বস্তুবাদে ফিরে আসে বা আসতে বাধ্য হয়?
ঈশ্বরকে তারা বিশালরূপে কল্পনা করল। তারপর তার কুলকিনারা করতে না পেরে আবার প্রথম থেকে শুরু করল…এই বাধ্য হওয়ার কারণেই তারা আবার প্রথম থেকে জ্ঞানের অনুসন্ধানে জীবন বাজি রাখতে শুরু করল। আর এই জ্ঞানের পথ ধরেই ধীরে ধীরে নিজেকে সম্প্রসারণ করতে শুরু করল…যেমন, মহাবিশ্ব যে সম্প্রসারণ হচ্ছে, সেটা মানুষের সম্প্রসারিত জ্ঞানেরই একটা অংশমাত্র। জ্ঞানই ঈশ্বর; অজানা নয়, জানার নামই ঈশ্বর…
এভাবে মানুষ নিজেই একসময় ঈশ্বরের স্থান দখল করে, নিজেকেই ঈশ্বর-ধারণার মত বড় করতে থাকে, যতটুকু তার জ্ঞানে ধরে তার সব কিছুকেই তার নিজের মনে হতে শুরু করে, আপন মনে হতে শুরু করে, কিন্তু কোনো কিছুর প্রতি তার মোহ নাই, সবই যখন তার তখন আলাদা করে কোনো কিছুকেই আর নিজের বলে দাবীও করে না, কোনো কিছুর প্রতি আর অধিকার ফলায় না, নির্লিপ্ত হয়ে যায়… তার দ্বারা আর কারো বা কোনো কিছুরই কোনো ক্ষতিসাধিত হয় না।
Leave a Reply