খাদিজা এবং আবু তালেব মারা যান কয়েকদিনের ব্যবধানে। এই ঘটনা ঘটে ৬১৯ সালে। এরপর থেকে ধারাবাহিক ঘটনাগুলির সন ও তারিখ বেশ নির্ভরযোগ্য ভাবে গণনা করা যেতে পারে। কোন আরবই তার স্ত্রীর বিয়োগের পর বেশীদিন স্ত্রী ছাড়া থাকে না। আর তাছাড়া যার সন্তান আছে তার জন্যে ত কথাই নাই। কিছু দিন, অথবা সর্বোচ্চ কয়েক সপ্তাহ পরেই স্ত্রীহারা মুহাম্মদ সওদা নামে এক বিধবাকে বিবাহ করেন। পূর্বে মুহাম্মদের এক ভক্ত ছিল এই বিধবার স্বামী। সওদা তাঁর স্বামীর সাথে আবিসিনিয়া গিয়েছিলেন। সেখানে সওদার স্বামী খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। সওদা তরুণ বয়সের ছিলেন না এবং বেশ মুটিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সওদা গিন্নি হিসাবে ছিলেন অতি উত্তম। তাই মুহাম্মদের সন্তানদের দেখাশোনার জন্য খুব যোগ্য। এই জন্যই মুহাম্মদ সওদাকে বিবাহ্ করেন। নবীর জীবনে সওদার কোন প্রভাবই ছিল না। নিঃসন্দেহে মুহাম্মদ ছিলেন সওদার প্রভুর মত। সওদা মুহাম্মদকে যৌন তৃপ্তি দিতে সক্ষম ছিলেন না। আর রাজনৈতিক ভাবে নবীর স্থান শক্তিশালী করার জন্য কোন অবদানও সওদার ছিল না। (রডিন্সন, পৃঃ ১৩৪)
খদিজা এবং আবু তালেব দু’জন একই বৎসরে মারা গেলেন। খদিজার মৃত্যুর সাথেই একের পর এক সমস্যা আসতে লাগল। কারণ খদিজার কাছ থেকেই নবী পেয়েছিলেন ইসলামের সমর্থন। খদিজার কাছে মুহাম্মদ তাঁর সমস্যার কথা আলোচনা করতেন। আবু তালেবের মৃত্যুতে নবী হারালেন তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আর অন্য গোত্রের হামলা থেকে রক্ষার জামিন কবচ। মদিনায় অভিভাষণের বছর তিনেক আগে আবু তালেব মারা যান। এই সময়েই নবী কোরায়েশদের সাথে প্রতিকুল পরিবেশের সম্মূখীন হতে থাকলেন। আবু তালেবের মৃত্যুর পূর্বে নবী কখনই কোরায়েশদের কাছ হতে এমন শত্রুতামূলক ব্যবহার পান নাই।
Leave a Reply