লিখেছেন গোলাপ
“যে মুহাম্মদ (সাঃ)-কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।”
আদি উৎসের (Primary source) ইসলামে নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদেরই প্রাণবন্ত ও বিস্তারিত বর্ণনার আলোকে হিজরি ৬ সালের জিলকদ মাসে কী কারণ ও প্রেক্ষাপটে (পর্ব-১১১) স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর ১৪০০ সশস্ত্র (পর্ব-১১২) অনুসারীদের মক্কা প্রবেশের চেষ্টায় কুরাইশরা সক্রিয় বাধা প্রদান করেছিলেন; নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় এই চুক্তি আলোচনার পূর্বে কুরাইশরা যখন মুহাম্মদের কাছে তাঁদের বেশ কিছু প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন, তখন মুহাম্মদ অনুসারীরা তাঁদের প্রতি কী ধরনের অশ্রাব্য গালি বর্ষণ করেছিলেন (পর্ব-১১৫); কী পরিস্থিতিতে কুরাইশ প্রতিনিধি সুহায়েল বিন আমরের সাথে মুহাম্মদ এই চুক্তির প্রস্তুতি ও আলোচনা সম্পন্ন করেছিলেন (পর্ব: ১১৮-১১৯); এই সন্ধিচুক্তির শর্তগুলো কী ছিল (পর্ব-১২২); এই চুক্তির প্রতিটি শর্তের প্রতি মুহাম্মদ পূর্ণ বিশ্বস্ত ছিলেন বলেই তিনি সুহায়েল বিন আমরের পুত্র আবু জানদাল বিন সুহায়েলকে কুরাইশদের কাছে ফেরত দিয়েছিলেন – ইসলাম-বিশ্বাসীদের এই দাবি কী কারণে মিথ্যাচার ও হাস্যকর (পর্ব-১২০); আবু জানদাল যেন তার জন্মদাতা পিতাকে হত্যা করতে পারে, এই অভিপ্রায়ে এই সন্ধিচুক্তির প্রাক্কালে উমর ইবনে খাত্তাব কীরূপ আচরণ করেছিলেন (পর্ব-১২১); নিজেদের বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিপরীত পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার পর মুহাম্মদের প্রায় সকল অনুসারী এই সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর করার আগে ও পরে কী কারণে অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত হয়েছিলেন ও মুহাম্মদের প্রতি আস্থা হারিয়েছিলেন; মুহাম্মদ তাঁদের এই অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও তাঁর হৃতগৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠার কারণে মদিনা প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে পথিমধ্যেই ‘সূরা আল ফাতহ’ অবতীর্ণ করার মাধ্যম এই সন্ধিচুক্তিটিকে ‘এক সুস্পষ্ট বিজয়‘ নামে অবিহিত করার পর তাঁর মক্কা-বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অবিশ্বাসী জনপদের ওপর কমপক্ষে যে আঠারটি হামলার সাথে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন সেই হামলাগুলো কী কী (পর্ব-১২৪); এই সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার পর মদিনায় প্রত্যাবর্তনের পরেই (পর্ব-১২৮) ও তার পরবর্তী দুই বছরে কমপক্ষে আরও চারবার কী ধরনের কলাকৌশলের মাধ্যমে মুহাম্মদ এই সন্ধিচুক্তির প্রায় প্রত্যেকটি শর্ত ভঙ্গ করেছিলেন; দশ বছরের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করার পর কমপক্ষে চারবার নিজেই এর প্রত্যেকটি শর্ত ভঙ্গ করার পর, ‘চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ’ এনে বিনা নোটিশে কুরাইশদের আক্রমণ করা কী কারণে প্রতারণার এক অনন্য দৃষ্টান্ত (পর্ব-১২৯) – ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা গত উনিশটি পর্বে করা হয়েছে।
হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির প্রাক্কালে তাঁর যে সমস্ত অনুসারী তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন, মুহাম্মদ পথিমধ্যেই তাদেরকে কীভাবে ‘আসন্ন বিজয়-পুরস্কার ও লুটের মালের ওয়াদা’ প্রদান করেছিলেন (৪৮:১৮-২০) তার বিস্তারিত আলোচনা ‘আল-রিযওয়ানের শপথ (পর্ব-১১৭) ও সূরা আল ফাতহ (পর্ব-১২৩)‘ পর্বে করা হয়েছে। মুহাম্মদ তাঁর এই প্রতিশ্রুতির প্রতি পূর্ণ বিশ্বস্ত ছিলেন।
তাই তিনি এই সন্ধিচুক্তি সম্পন্ন করার মাত্র দেড়-দুই মাস পর হিজরি ৭ সালের মহরম মাসে (মে-জুন, ৬২৮ সাল) শুধু তাঁর সঙ্গে হুদাইবিয়া যাত্রায় অংশগ্রহণকারী ও আল-রিযওয়ানের শপথ গ্রহণকারী অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে মদিনা থেকে ৯৫ মাইল দূরবর্তী খায়বার নামক স্থানের ইহুদি জনপদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালান।মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-তাবারী, আল-ওয়াকিদি, ইমাম বুখারী প্রমুখ আদি উৎসের প্রায় সকল মুসলিম ঐতিহাসিক এই ঘটনার বর্ণনা তাঁদের নিজ নিজ গ্রন্থে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন। সবচেয়ে বিস্তারিত ও প্রাণবন্ত বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন আল-ওয়াকিদি তাঁর ‘কিতাব আল-মাগাজি‘ গ্রন্থে।
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনা: [1] [2] [3] [4]
‘আল-হুদাইবিয়া হতে প্রত্যাবর্তনের পর আল্লাহর নবী যিলহজ মাস ও মহরম মাসের কিয়দংশ মদিনায় অবস্থান করেন, [তখন] তীর্থযাত্রীদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন মুশরিকরা। অতঃপর তিনি খায়বার অভিযানে যাত্রা করেন। [5]
এমন এক ব্যক্তি যাকে আমি কোনো সন্দেহ করি না, আনাস বিন মালিক-এর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমাকে বলেছেন: আল্লার নবী লোকদের ওপর হামলা করার জন্য সকাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। যদি তিনি প্রার্থনার আহ্বান (এর সাধারণ মানে হলো ‘আজান’, কিন্তু এখানে, সম্ভবত, লোকজনদের সকালে কাজে বের হওয়া অর্থে বোঝানো হয়েছে) শুনতে পান, তিনি পিছুটান দেন; যদি তিনি তা শুনতে না পান, তবে তিনি তাদেরকে আক্রমণ করেন। আমরা রাত্রিকালে খায়বারে পৌঁছাই, আল্লাহর নবী সেখানে রাত্রি যাপন করেন; সকালে যখন লোকজনদের চলা ফেরার শব্দ তিনি শুনতে পান না,তখন তিনি অশ্বের পিঠে সওয়ার হন ও আমরাই তাঁর সাথে সওয়ার হই; আমি বসেছিলাম আবু তালহার পিছে ও আমার পা আল্লাহর নবীর পা স্পর্শ করছিলো।
আমরা সাক্ষাৎ পাই শ্রমজীবী মানুষদের, যারা কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে সকালে বের হয়ে এসেছিলো। যখন তারা আল্লাহর নবী ও তাঁর সৈন্যদের দেখতে পায়, তারা চিৎকার করে বলে, “মুহাম্মদ ও তার বাহিনী”, অতঃপর ঘুরে সজোরে দৌড়ে পালায়। আল্লাহর নবী বলেন, “আল্লাহু আকবর! খায়বার ধ্বংস হয়েছে। যখন আমরা জনগণের উন্মুক্ত স্থানে আসি, তখন তা ছিল ঐ লোকদের দুর্ভাগ্যজনক সকাল, যাদেরকে তারা সতর্ক করেছিল।” আনাস-এর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে > হুমায়েদ > হারুন আমাদের একই রূপ বর্ণনা অবহিত করিয়েছেন।
আল্লাহর নবী যখন মদিনা থেকে খায়বার অভিমুখে রওনা হন, তিনি ‘ইসর’ (মদিনা ও ওয়াদি-উল ফুর-এর মধ্যবর্তী এক পর্বত)-এর রাস্তা দিয়ে গমন করেন ও সেখানে তাঁর জন্য এক মসজিদ নির্মাণ করা হয়; অতঃপর তিনি আল-সাহবা (খায়বার থেকে এক সন্ধ্যার পথ)-এর রাস্তা দিয়ে যান। অতঃপর তিনি তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়ে সামনে অগ্রসর হন ও আল-রাজী নামের এক উপত্যকায় পৌঁছে যাত্রা বিরতি দেন [এই আল-রাজী স্থানটি ও তায়েফের নিকটবর্তী আল-রাজী, যেখানে হিজরি ৪ সালে মুসলমানদের এক ছোট দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল, (পর্ব-৭২) একই জায়গা নয়]। [6]
এই যাত্রা বিরতিটি ছিল খায়বার ও ঘাতাফান গোত্রের লোকদের লোকালয়ের মধ্যবর্তী স্থানে, এই কারণে যে তিনি যেন ঘাতাফান গোত্রের লোকদেরকে খায়বারের লোকদের সাহায্য প্রদানে বাধা প্রদান করতে পারেন; তারা তাদের পক্ষে আল্লাহর নবীর বিরুদ্ধে ছিলেন। আমি শুনেছি যে, যখন ঘাতাফান গোত্রের লোকেরা আল্লাহর নবীর আক্রমণের খবর শুনতে পায়, তারা একত্রিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ইহুদিদের সাহায্যের জন্য রওনা হয়। কিন্তু এক দিনের রাস্তা অগ্রসর হওয়ার পর তারা তাদের সম্পত্তি ও পরিবার সম্বন্ধে এক গুজব শুনতে পায় ও মনে করে যে, তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের লোকদের আক্রমণ করা হয়েছে। তাই তারা আল্লাহর নবীর খায়বার যাবার পথ উন্মুক্ত অবস্থায় রেখে তাদের রাস্তায় ফিরে যায়।
আল্লাহর নবী তাদের কাছে গমন করেন এবং একটা একটা করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন ও একে একে তাদের দুর্গগুলো দখল করে নেন। প্রথম যে-দুর্গটির পতন হয়, তার নাম হলো নাইম দুর্গ ( fort of Na’im); যেখান থেকে নিক্ষিপ্ত এক জাঁতার আঘাতে মাহমুদ বিন মাসলামাখুন হয়; অতঃপর পতন হয় বানু আবু আল-হুকায়েক-এর আল-কামুস (al-Qamus) দুর্গ। আল্লাহর নবী তাদের লোকদের বন্দী করেন, যাদের মধ্যে ছিলেন কিনানা বিন আল-রাবি বিন আবু আল-হুকায়েক এর স্ত্রী সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাব ও তার দুই কাজিন।
আল্লাহর নবী তাঁর নিজের জন্য সাফিয়াকে পছন্দ করেন। দিহায়া বিন খালিফা আল-কালবি (Dihya b. Khalifa al-Kalbi) সাফিয়াকে পাওয়ার জন্য আল্লাহর নবীর কাছে আবেদন করে, অতঃপর যখন আল্লাহর নবী তাঁর নিজের জন্য তাকে বাছাই করেন, তখন তিনি তাকে দান করেন তার দুই কাজিনকে। খায়বারের মহিলাদেরকে মুসলমানদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হয়। মুসলমানরা গৃহপালিত উটের মাংস ভক্ষণ করে ও আল্লাহর নবী উঠে দাঁড়ান ও লোকদের কিছু সংখ্যক কাজকর্ম করতে নিষেধ করেন, যা তিনি পরপর উল্লেখ করেছিলেন।‘
আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২ খ্রিষ্টাব্দ) অতিরিক্ত প্রাসঙ্গিক বর্ণনা:
আল্লাহর নবী আল-হুদাইবিয়া থেকে মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন হিজরি ৬ সালের যিলহজ মাসের শেষ দিকে। তিনি যিলহজ মাসের শেষের দিনগুলো ও মহরম মাস মদিনায় অবস্থান করেন। তিনি হিজরি ৭ সালের সফর মাসে – কেউ কেউ বলে, মাসটি ছিল রবিউল আওয়াল- খায়বার গমন করেন। আল্লাহর নবী তাঁর অনুসারীদের হামলার প্রস্তুতি নেয়ার আদেশ করেন, আর প্রস্তুতি কল্পে তারা ছিলেন নিরলস (diligent); তিনি তাঁর আশে পাশের অনুসারীদের তাঁর সঙ্গে অভিযানে যেতে করেন উত্তেজিত। যারা পেছনে অবস্থান করেছিল, তারা তাঁর কাছে আসে এই আশায় যে, তারা তাঁর সাথে লুটতরাজে অংশ নেবে। তারা বলে, “আমরা আপনার সঙ্গে যাবো!” তারা আল-হুদাইবিয়া যাত্রায় অংশ গ্রহণ না করে আল্লাহর নবী ও মুসলমানদের সম্বন্ধে মিথ্যা রটনা করেছিল। কিন্তু এখন তারা বলছে, “আমরা আপনার সঙ্গে খায়বার যাবো। নিশ্চয়ই এটি হিজাযের গ্রামাঞ্চলের একটি, যা খাদ্য ও সম্পত্তিতে সমৃদ্ধ।” আল্লাহর নবী বলেন, “তোমরা আমার সাথে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, যদি না তোমরা ‘জিহাদ’ অভিলাষী হও। লুটতরাজের জন্য, একজনও নয়।” তিনি এক ঘোষককে উচ্চস্বরে বাইরে ঘোষণা করার জন্য পাঠান, “একমাত্র যারাই ‘জিহাদ’ অভিলাষী, শুধু তারাই আমাদের সঙ্গে যাবে। লুটতরাজের জন্য – একজনও নয়!”
যখন লোকেরা খায়বার অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, মদিনার ইহুদিদের জন্য তা ছিল দুঃসহ, তারা আল্লাহর নবীর সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলো। তারা জানতো যে, যদি মুসলমানরা খায়বার-এ প্রবেশ করে, আল্লাহ খায়বার ধ্বংস করবে – ঠিক যেমনটি সে ধ্বংস করেছিল বনি কেইনুকা [পর্ব-৫১], বনি নাদির [পর্ব-৫২] ও বনি কুরাইজা গোত্রকে [পর্ব: ৮৭-৯৫]।—’ [7]
– অনুবাদ, টাইটেল, ও [**] যোগ – লেখক।
ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা:
এই প্রসঙ্গে ইমাম বুখারীর বর্ণনা (৫:৫৯:৫১২ ও ৫:৫৯:৫১০) মুহাম্মদ ইবনে ইশাক ও আল-তাবারী ও আল-ওয়াকিদির ওপরে বর্ণিত বর্ণনারই অনুরূপ; পার্থক্য হলো এই যে, উপাখ্যানের বিস্তারিত বর্ণনা সেখানে অনুপস্থিত। [4]
>>> আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় যে-বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হলো, খায়বার-এর ইহুদি জনপদবাসী মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের ওপর আগ্রাসী আক্রমণ করতে আসেননি। বরাবরের মতই আগ্রাসী দলটি ছিল নিঃসন্দেহে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা। খায়বারে অধিষ্ঠিত এই ইহুদি জনপদবাসীর অনেকেই ছিলেন মুহাম্মদের আগ্রাসনের শিকার হয়ে মদিনা থেকে নির্বাসিত বনি নাদির গোত্রের লোকেরা [পর্ব: ৭৫]।মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা এই ইহুদি জনপদবাসীর ওপর কীরূপ নৃশংসতা প্রদর্শন করেছিলেন, তার বিস্তারিত ইতিহাস “খায়বার যুদ্ধ (হামলা)” অধ্যায়ের পরবর্তী পর্বগুলোতে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে। [8]
ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে আল-ওয়াকিদির অতিরিক্ত প্রাসঙ্গিক মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। ইবনে ইশাকের মূল ইংরেজি অনুবাদ ইন্টারনেটে বিনামূল্যে ডাউনলোড লিঙ্ক: তথ্যসূত্র [1]।
The additional relevant narratives of Al-Waqidi:
‘—The Messenger of God arrived in Medina from al- Hudaybiyya in Dhul-Hijja at the end of the year six AH. He stayed in Medina for the rest of Dhul-Hijja and Muharam. He went out in Safar of the year seven – some say it was in the month of Rabiul Awal – to Khaybar. The Messenger of God ordered his companions to prepare to raid, and they were diligent in their preparation, and he stirred up those around him to go raiding with him. Those who had stayed behind came to him desiring to go out with him hoping for plunder. They said, “We will go out with you!” They had stayed behing during the raid of al-Hudaybia spreading falsehood about the Prophet and the Muslims. But now they said, “We will go out with you to Khaybar. Surely it is the countryside of the Hijaz with rich food and property.” The Messenger of God said, “You will not go out with me unless you desire ‘Jihad’. As for plunder, there will be none.” He sent a herald out to cry, “Only those desiring ‘Jihad’ will go out with us. And for plunder there will be none!” When the people prepared for Khaybar it was unbearable to the Jews of Medina who had agreement with the Messenger of God. They knew that if the Muslims entered Khaybar, God would destroy Khaybar just as He had destroyed the Banu Qaynuqa, Nadir and Qurayza. — ’
(চলবে)
[কুরানের উদ্ধৃতি সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট ইংরেজি অনুবাদকারীর ও চৌত্রিশ-টি বিভিন্ন ভাষায় পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫১০- ৫১১ http://www.justislam.co.uk/images/Ibn%20Ishaq%20-%20Sirat%20Rasul%20Allah.pdf
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮,ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৭৬-১৫৭৭ http://books.google.com/books?id=sD8_ePcl1UoC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false
[3] অনুরূপ বর্ণনা “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৩৪-৬৫২
ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩১২-৩২১
[4] অনুরূপ বর্ণনা– সহি বুখারী: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নম্বর ৫১০
Narrated By Anas:Allah’s Apostle reached Khaibar at night and it was his habit that, whenever he reached the enemy at night, he will not attack them till it was morning. When it was morning, the Jews came out with their spades and baskets, and when they saw him (i.e. the Prophet), they said, “Muhammad! By Allah! Muhammad and his army!” The Prophet said, “Khaibar is destroyed, for whenever we approach a (hostile) nation (to fight), then evil will be the morning for those who have been warned.”—
http://www.hadithcollection.com/sahihbukhari/92–sp-608/5546-sahih-bukhari-volume-005-book-059-hadith-number-510.html
http://www.hadithcollection.com/sahihbukhari/92–sp-608/5546-sahih-bukhari-volume-005-book-059-hadith-number-510.html
সহি বুখারী: ভলিউম ৫, বই ৫৯, নম্বর ৫১২
Narrated Anas: The Prophet offered the Fajr Prayer near Khaibar when it was still dark and then said, “Allahu-Akbar! Khaibar is destroyed, for whenever we approach a (hostile) nation (to fight), then evil will be the morning for those who have been warned.” Then the inhabitants of Khaibar came out running on the roads. The Prophet had their warriors killed, their offspring and woman taken as captives. Safiya was amongst the captives, She first came in the share of Dahya Alkali but later on she belonged to the Prophet. The Prophet made her manumission as her ‘Mahr’
[5] Ibid “সিরাত রসুল আল্লাহ”- ইবনে হিশামের নোট নম্বর ৭৫৯, পৃষ্ঠা ৭৭০
‘তিনি মদিনার ভারপ্রাপ্তে রাখেন নুমায়লা বিন আবদুল্লাহ কে ও যুদ্ধের ঝাণ্ডাটি দেন আলী কে। সেটি ছিল সাদা রংয়ের’।
[6]Ibid “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- আল-তাবারী, নোট নম্বর ৪৮৬
[7] Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- আল-ওয়াকিদি –পৃষ্ঠা ৬৩৪; ইংরেজি অনুবাদ পৃষ্ঠা ৩১২
[8] খায়বার হামলা (যুদ্ধ): সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক – পৃষ্ঠা ৫১০-৫৩৩; Ibid: আল-তাবারী পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৭৬-১৫৯১; Ibid “কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক: আল-ওয়াকিদি- ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৩৩-৭২২, ইংরেজি অনুবাদ: পৃষ্ঠা ৩১১-৩৫৫
Leave a Reply