• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

কামদেবের উৎপত্তি ও ব্রহ্মার নারী সৃষ্টি

You are here: Home / ধর্মকারী / কামদেবের উৎপত্তি ও ব্রহ্মার নারী সৃষ্টি
December 19, 2015

ভোরবেলা, অর্থাত ঊষাকালটা সুন্দর, নাকি সন্ধ্যাবেলাটা—সে নিয়ে তর্ক হতে পারে, তবে এই দুইটা বেলাই ভগবান ব্রহ্মার সৃষ্টি—একজন ঊষাদেবী, আরেকজন সন্ধ্যাদেবী। হিন্দুরা প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় যে “সন্ধ্যা দেয়”, অর্থাত সন্ধ্যার সময় যে ধূপ দীপ জ্বালিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত পূজা দেয়, সেটা মূলত এই সন্ধ্যাদেবীর পূজা।

ব্রহ্মা প্রথমে বিধাতা, দক্ষ, প্রজাপতিদের সৃষ্টি করল। তারপর ১০জন মানসপুত্র নারদদের সৃষ্টি করল। তখন তার মন থেকে “এক পরম রূপবতী উত্তম রমনী আবির্ভূত হয়। তিনি সন্ধ্যা নামে বিখ্যাত।” ব্রহ্মার সম্পূর্ণ ধ্যানকালে উৎপন্ন বলে এর নাম হলো সন্ধ্যা। কালিকা পুরণের প্রথম অধ্যায়েই এর কথা, এর রূপ বর্ণনা করা হয়েছে। ৩৩-৩৪ নাম্বার শ্লোক থেকে একটু উদাহরণ—“যাহার সৌন্দর্য ও লাবণ্যগুণে বদনমণ্ডলের পরিপূর্ণতা,—চিনুকের নিকট আসিবার জন্যই যেন তদীয় স্তনযুগলের উদ্যম। হে বিপ্রগণ! তাঁহার সেই কমলকলিকাকৃতি, উত্তুঙ্গ, পীবর পরস্পরসংযুক্ত শ্যামাগ্র স্তনযুগল দেখিলে মুনিরাও মোহিত হইতেন। তাঁহার ত্রিবলি-শোভিত ক্ষীণ কটিদেশ, বসনের ন্যায় মুষ্টি-গ্রাহ্য। তাঁহার কটিদেশকে সকলেই কামদেবের শক্তি বলিয়া মনে করিয়াছিল।”

এখানে কামদেব কিভাবে এলো, কেন এলো?

সন্ধ্যাকে দেখে তার দাদারা যেমন মুগ্ধ হয়ে ভাবতেছিল যে এ এই দুনিয়ার কোন কাজে লাগবে, ব্রহ্মাও অবাক হয়ে তাকে দেখতেছিল আর একই কথা ভাবতেছিল। তখন তার মনে কাম-চিন্তার উদয় হলো। সেই চিন্তার কারণে ব্রহ্মার মন থেকে কামদেব ‘আবির্ভূত হয়ে নিঃসৃত’ হল।

কামদেবের সৃষ্টির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ষড়রিপুর উর্ধ্বে থাকা মহাদেবের মনে কামভাব জাগ্রত করা, কেননা ভবিষ্যতে সতীর সাথে শিবের বিয়ে দেয়ার দরকার হবে। কামদেব সৃষ্ট হয়ে ব্রহ্মাকে জিজ্ঞেস করল যে কাজ কী হবে। ব্রহ্মা তার কাজ নির্ধারণ করে দিল—দুনিয়ার সমস্ত প্রাণী তো বটেই, এমনকি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবও তার ‘বশবর্তী’ হবে। লোককে মত্ত করে বলে তার আরেক নাম মদন। মহাদেবের দর্পনাশ করতে সমর্থ বলে আরেক দুটি নাম—দর্পক ও কন্দর্প।

মহাদেবের কথায় পরে আসা যাবে। আগে দেখি কামদেব তার কাজ বুঝে পেয়ে কী করল।

কামদেব মনে মনে চিন্তা করল— ব্রহ্মা যখন বলেছে যে সে, বিষ্ণু, শিবসহ সকল প্রাণী তার অস্ত্রের বশবর্তী, তখন একবার ট্রাই করেই দেখা যাক। সে তখন ধনুকে কামশর জুড়ে দক্ষ-প্রজাপতি, ব্রহ্মার সব মানসপুত্র এবং ব্রহ্মাকে উদ্দেশ্য করে কামশর নিক্ষেপ করল। তখন তারা সবাই সন্ধ্যার দিকে বার বার তাকাতে লাগল আর তাদের কামভাব বাড়তে লাগল। আর কামশরবিদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার থেকে “৬৪ কলার” উৎপন্ন হল। সন্ধ্যাও কামতাড়িত হয়ে সকলের দিকে আঁড়ে আঁড়ে তাকাতে লাগল।  ব্রহ্মা তখন ঘামছে। এসব দেখে কামদেব তার শক্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হল।

পুরো ঘটনাটা আবার মহাদেব উপর থেকে দেখতেছিল। ব্রহ্মা আর তার মানসপুত্রদের এরকম কামবিকারগ্রন্থ দেখে উপহাসের হাসি হাসতে লাগল। ব্রহ্মাকে বলল, ছিঃ ছিঃ, নিজের মেয়েকে দেখে তোমার এই অবস্থা! যারা বেদানুসারে চলে, তাদের তো এমন করলে মানায় না। বেদ বলে, পুত্রবধু ও কন্যা মায়ের সমান। তুমি নিজে বেদের প্রকাশক হয়ে নিজেই সামান্য কামের প্রভাবে তা ভুলে গেলে?

মহাদেবের কথা শুনে ব্রহ্মা লজ্জায় আরো ঘামতে লাগল। সন্ধ্যার সাথে কামলীলা করার ইচ্ছা থাকলেও সেই ইচ্ছা বাদ দিল। তারপর ব্রহ্মাসহ কয়েকজন মানসপুত্রের বীর্যপাত হয়ে যায়। অবশ্য পুরাণে বলা আছে যে তাদের সেই গায়ের ঘাম মাটিতে পড়ে। সেই ঘাম থেকে আবার তাদের বংশধর সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা তাদের গর্ভধারিনী না হলেও তাকে কেন্দ্র করেই উৎপত্তি বিধায় সে সবার জননী হল।

ওদিকে শিবকে আরো হাসতে দেখে তার কথায় লজ্জিত হয়ে ব্রহ্মা শিবকে বলল, আজ হাসতেছো, হাসো, তবে দাঁড়াও তোমারেও এই একই ফল ভোগ করতে হবে, সেই ব্যবস্থা করতেছি।

আর কামদেবের উপর বিরক্ত হয়ে ব্রহ্মা কামদেবকে রাগ করে অভিশাপ দিয়ে বসল যে নিজের ক্ষমতার অহঙ্কারে এই দুঃষ্কর্ম করলি, দাঁড়া বেটা একদিন তুই শিবের চোখের আগুনে পুইড়া মরবি।

কামদেব বলল,—আমার কী দোষ! আমারে ক্ষমতা দিছ, আমি ট্রাই কইরা দেখলাম। তখন আর সবাইও ব্রহ্মাকে বুঝায় যে এই বেটার কোনো দোষ নাই। ব্রহ্মা ভুল বুঝতে পেরে তখন বলে যে শিবই আবার তাকে জীবিত করবে। আর মনে মনে ফন্দি আঁটতে লাগল কিভাবে শিবের উপহাসের প্রতিশোধ নিবে, কিভাবে শিবকে জব্দ করা যায়।

ওদিকে শিব হলো যোগাশক্ত। মেয়েদের নামই পছন্দ করে না। তাকে ভুলানো তো সহজ কথা নয়। আবার সে স্ত্রী গ্রহণ না করলে দুনিয়ার সৃষ্টিচক্র চলবে কিভাবে! ব্রহ্মা কামদেবকে উস্কাইল—তুমি শিবের মধ্যে স্ত্রী-প্রেম জাগ্রত কর, তাহলে তোমারও শাপ মোচন হবে। কামদেব রাজী হলো, তবে বলল যে তার প্রধান অস্ত্র হলো রমণী। তাই ব্রহ্মার কাছে সুন্দরী রমণী সৃষ্টি করার ‘অর্ডার’ দিল।

ব্রহ্মা আর অবার সাথে পরামর্শ করল যে শিবের যোগ্য কাউরে তো দেখি না। তারপর সিদ্ধান্ত হলো—সৃষ্টির মূল যে প্রকৃতি সেই মহামায়া ছাড়া আর কেউ শিবরে টলাইতে পারবে না। তখন সবাই মিলে সেই মহামায়ার পূজা-অর্চনা শুরু করলে মহামায়া দক্ষের কন্যারূপে “সতী” নামে জন্ম নিতে স্বীকার করল। তারপর এই মহামায়ার মায়া আর কামদেবের কামের প্রভাবে শেষ পর্যন্ত শিবের সাথে সতীর বিয়ে দিয়ে ব্রহ্মার প্রতিশোধ নেয়া।

Category: ধর্মকারী, পাল্লাব্লগ
Previous Post:লওহে মাহফুজের সন্ধানে: ক্যাটম্যান সিরিজ – ০৬
Next Post:হা-হা-হাদিস – ১৬০

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top