সমগ্র ঢাকা শহর থেকে শহর থেকে বালিকা, কিশোরী, যুবতী এমনকি মাঝবয়সী নারীদেরকে ধরে নিয়ে এসে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে জড়ো করা হয়। সাথে সাথে তাঁদের কাপড়, পোশাক খুলে নিয়ে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে উন্মত্ত পশুর মতো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সৈনিক থেকে অফিসার সকল পদবীর লোকেরা সাথে সাথে যার যাকে ইচ্ছা ধর্ষণ করতে শুরু করে। কোন মেয়ে প্রতিবাদ করলে তৎক্ষণাৎ তাদের যোনি এবং গুহ্যদ্বারের মধ্যে বন্দুক, বেয়নেট ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে তাঁদের দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। এসব দেখে আর বাকি মেয়েরা কথা বলার সাহস করে নি।
মেয়েদের ঠোঁট, বুকের স্তন, মাংস দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিতে শুরু করে তারা। অনেক মেয়েই ঠিক সেখানেই প্রাণ হারায়। পাকিস্তানিদের বর্বরতার সীমা পরিমাপ করা যায় না। একটা উদাহরণ দিই, “অনেক ১০-১২ বছর বয়সের মেয়েকে উপর্যুপরি ধর্ষণের কারণে মেয়েগুলো অধিকাংশই প্রায়ই প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়ে যায়। যখন পাকিস্তানি সৈন্যরা বুঝতে পারলো এই ছোট মেয়েগুলো আর সুস্থ হবে না এবং ভবিষ্যতে এদের আর ধর্ষণ করা যাবে না তখনি তারা ঐ মেয়েদের পা দুইদিকে টেনে দেহটাকে ছিঁড়ে দুইভাগ করে ফেলে।”
Leave a Reply