তৃতীয় দিনে ভোর হতেই শোনা গেল বজ্রধ্বনি, দেখা গেল বিদ্যুত-ঝলক, পর্বতের উপরে নিবিড় মেঘ উপস্থিত হল, বেজে উঠল দীর্ঘতম তুরিধ্বনি: শিবিরের সমস্ত লোক কাঁপতে লাগল। মোশী লোক সকলকে শিবিরের মধ্য থেকে পরমেশ্বরের দিকে নিয়ে গেলেন, আর তারা পর্বতের পাদদেশে দাঁড়িয়ে রইল। সিনাই পর্বত সম্পূর্ণই ধূমময় ছিল, কেননা প্রভু তার উপরে আগুনের মধ্যেই নেমে এসেছিলেন, আর তার ধূম অগ্নিকুণ্ডের ধূমের মত ঊর্ধ্বে উঠছিল আর সমস্ত পর্বত প্রচন্ড ভাবে কাঁপছিল। তুরিধ্বনির শব্দ তীব্রতম হতে হতে মোশী কথা বলছিলেন ও পরমেশ্বর এক কন্ঠস্বরের মধ্য দিয়ে উত্তর দিচ্ছিলেন। প্রভু সিনাই পর্বতের উপরে, পর্বতচূড়ায়, নেমে এলেন, এবং প্রভু মোশীকে সেই পর্বতচূড়ায় ডাকলেন; আর মোশী আরোহন করলেন। [যাত্রাপুস্তক ১৯:১৬-২০]
যখন তোমরা অন্ধকারের মধ্য থেকে সেই কন্ঠ শুনতে পেলে আর ইতিমধ্যে গোটা পর্বতটাই আগুনে জ্বলছিল – তখন তোমাদের গোষ্ঠী-নেতারা ও প্রবীণবর্গ সকলে আমার কাছে এসে বলল, এই যে, আমাদের পরমেশ্বর প্রভু আমাদের কাছে তাঁর গৌরব ও মহত্ব ব্যক্ত করেছেন আর আমরা আগুনের মধ্য থেকে তাঁর কন্ঠ শুনতে পেলাম: মানুষের সঙ্গে পরমেশ্বর কথা বললেও মানুষ বাঁচতে পারে, এ আমরা আজ দেখলাম। [দ্বিতীয় বিবরণ ৫:২৩-২৪]
প্রভু মোশীকে বললেন, ‘নেমে যাও, ও লোকদের সনির্বন্ধ আবেদন জানাও, দেখবার জন্য তারা যেন সীমা লঙ্ঘন করে প্রভুর দিকে না ছুটে আসে, পাছে বহুলোকের বিনাশ ঘটে। যাজকেরা, যারা প্রভুর কাছে এগিয়ে আসে, তারাও নিজেদের পবিত্রিত করুক, পাছে প্রভু তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।’ মোশী প্রভুকে বললেন, ‘জনগণ সিনাই পর্বতে উঠে আসতে পারে না, কারণ তুমি নিজেই তো কড়া আদেশ দিয়ে আমাদের বলেছিলে, পর্বতের সীমা স্থির কর, ও তা পবিত্র বলে ঘোষণা কর। ’ প্রভু তাঁকে বললেন, ‘যাও, এবার নেমে যাও; পরে আরোনকে সঙ্গে করে আবার উঠে এসো; কিন্তু যাজকেরা ও জনগণ প্রভুর কাছে উঠে আসবার জন্য যেন সীমা লঙ্ঘন না করে, পাছে তিনি তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। ’ মোশী লোকদের কাছে নেমে গিয়ে কথা বললেন। [যাত্রাপুস্তক ১৯:২১-২৫]
Leave a Reply