হুমায়ূন আহমেদ ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ লিখেছিলেন প্রায় ২৪ বছর আগে। মুসলমানরা নিজেরাই সবকিছুতে আল্লা-ধর্ম টেনে আনে, তখন কেউ যদি একটু যুক্তি প্রয়োগ করে তখন তারা কীভাবে পিছলায়, তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই অংশটুকু। ফেসবুকেও এমন মুসলমানের অভাব নাই। এছাড়া নাস্তিকরা যখন একটু মজা করে কোনো প্রসঙ্গে ধর্ম টেনে আনে, তখন এরাই আবার উলটা গান গায়–‘সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনেন কেন?’–তখন যে কী মগা লাগে।
যা হোক, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’-এর সেই অংশটুকু দেখা যাক, যেখানে তিনি মুসলমান চরিত্রের একটা পিছলা দিক দেখিয়েছেন–
//ভূঁইয়া স্যার একবার ক্লাসে বলেছিলেন–মেডিকেল প্রফেশনে মাঝে মাঝে তোমরা ভয়াবহ সমস্যায় পড়বে। তখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে। দেখবে এতে নার্ভের জড়তা কেটে যাবে। সহজভাবে চিন্তা করতে পারবে।
শাহানা বলেছিল, নার্ভের জড়তা কে কাটিয়ে দেন? আল্লাহ?
স্যার বলেছিলেন, হয়ত তিনিই কাটান। কিংবা হয়ত তার কাছে প্রার্থনা করার কারণে নিজের মনের ভেতর থেকে এক ধরনের শক্তি আসে।
যে আল্লাহ ডাক্তারের নার্ভের জড়তা কাটান তিনি কেন সরাসরি রোগিকে সুস্থ করে দেন না?
সেটা উনি বলতে পারবেন। আমি পারব না। উনার কর্ম পদ্ধতি বোঝা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
শাহানা কঠিন গলায় বলেছিল, স্যার, আমার ধারণা, আল্লাহ্ ধর্ম এইসব মানুষের সৃষ্টি। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেন নি। ম্যান ক্রিয়েটেড গড।
হতে পারে। এটা যেহেতু ধর্মতত্ত্বের ক্লাস না সেহেতু আমরা আমাদের টপিকে ফিরে যাই–শরীরতত্ত্ব।//
Leave a Reply