পাল্লার মত আল্লাও একসময় প্রচণ্ড কুঁড়ে ছিল। পাল্লা যেমন সারাদিন আতরের দোকানের চেয়ারে বসে থাকে, আর হাগু চাপলে ভাবে চেয়ারটাতেই কমোড সিস্টেম থাকলে ভালো হত, তেমনি একদিন আল্লার মাথাতেও ওরকম চিন্তার উদয় হলে তিনি বললেন ‘কুন’। আর সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারে থুক্কু আরশে একটা ফুটার সৃষ্টি হল। এর আগে হাগু চাপলে তিনি এখানে সেখানে দৌড়ে গিয়ে হাগু করে আসতেন। রাতের বেলা আকাশের দিকে তাকালে সেই হাগুই এদিকে-সেদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়।
তো আরশে ফুটা অর্থাৎ আরশটা কমোডে রূপান্তরিত হলে আর দৌড়াদৌড়ি না করে আরামে বসে বসে হাগু করতে লাগলেন। সেই হাগু আরশের তলা তথা আল্লার পায়ের তলায় জমা হতে লাগল। আর কে না জানে–হাগু ধীরে ধীরে মাটিতে পরিণত হয়। আরশের তলায় জমা হওয়া হাগুও একসময় জমাট-বাঁধা একখণ্ড মাটিতে পরিণত হলো। আল্লা তার নামে দিলেন পৃথিবী–যার আসল অর্থ ‘পায়ের তলার মাটি’।
আপনারা জানেন, কমোডের উপর বসলেই মাথায় দুনিয়ার সব মহৎ চিন্তাভাবনার উদয় হয়। আল্লারও তাই হলো। তিনি মানুষ সৃষ্টির আইডিয়া পেলেন কমোডে বসে চিন্তাইতে চিন্তাইতে। পৃথিবীতে পতিত হওয়া শেষ হাগুটুকু মাটিতে পরিণত হতে না হতেই সেটা দিয়ে তিনি আদম বাবাজীকে সৃষ্টি করে ফেললেন।
এই হলো দুনিয়া এবং মানুষ সৃষ্টির আসল রহস্য। [হে মমিন, কোনো নাস্তিক যদি প্রশ্ন করে–মহান আল্লাহতালায় দুনিয়া এবং আদম সৃষ্টির জন্য মাটি কোথায় পেলেন, আশা করি এখন তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে আর কালবিলম্ব হবে না।]
মানুষ সৃষ্টির ব্যাপারটা আল্লার কাছে অনেকটা বীর্যপাতের মত–তিনি মুখ থুক্কু আরশ ঘুরিয়ে নিলেন, এবং অতঃপর দুনিয়া সম্প্রসারণের দিকে নজর দিলেন। বছরে একবার পৃথিবীর খুব কাছে নেমে আছেন তার সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দার হাগুর সুগন্ধ শুঁকতে। কিন্তু অন্য বান্দাদের হাগুর দুর্গন্ধে তৎক্ষণাৎ লেজ তুলে পালান। তার কারো ভাগ্যে নতুন কিছু লিখে যাওয়ার অবকাশ পান না–তার মানে–নিজের ভাগ্য নিজেকেই বদলাতে হপে। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহতালায়া ইরশাদ করেন–কোন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত করেন না, যতক্ষণ সেই জাতি তার কর্মনীতির পরিবর্তন না করে।
মহান আল্লাহতালায়া সব জানেন ও বোঝেন। তিনি আমাদেরকেও তার সমকক্ষ বানাতে সব জানার ও বোঝার তৌফিক করুন।
Leave a Reply