কোনো মেয়ে যদি কোনো ছেলেকে নিজেদের ‘সর্বস্ব’ দিয়ে দিতে চায়, আর ছেলেটা যদি ‘গ্রহণ’ না করে, তাহলে সেটা হয় মেয়েটার জন্য চরম অবমাননাকর, চরম অপমানের… আর ছেলেটা যদি ‘প্রস্তাব’ দেয়, তাহলে সেইটা হয় ‘স্ক্রিনশট’–বিষয়টারে আমরা এইভাবে কেন দেখবো?
২) যারা হুট কইরা চেনা নাই জানা নাই–ওয়ালের কমেণ্ট সেকশনে বা ইনবক্সে এসে কুরুচিপূর্ণ ‘গালাগালি’ বা ‘অশ্লীল প্রস্তাব’ দেয়–এগুলারে নিয়া আমরা জাস্ট হাসাহাসি করি, করুণা করি… এগুলারে গোণায় ধরার দরকার কী?
৩) কারো লেখা ভালো লাগে, কারো লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, কারো লেখা পড়ে উপকৃত হয়েছেন–কৃতজ্ঞতা জানাতে ইচ্ছে হলে ওয়ালেই জানান। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা না পেলে অভিধান দেখেন, কিন্তু গুছিয়ে বলতে পারছেন না, তাই ইনবক্সে গেছেন–এই বালছাল বাদ দেন।
৪) সহজ করে বলি–ইনবক্সে নয়, যা বলার ওয়ালে বলেন।
৫) ইনবক্সে ‘অনেক’ প্যাচাল পাড়ার পরে ছেলেরা যদি ভুল করে ভুল সিগন্যাল মনে করে ‘ভালোবাসি’ বলে ফেলে, বা ‘প্রস্তাব’ দিয়ে ফেলে–সেইটা দোষের মনে করবেন…ওদিকে–ছেলেরা যদি মেয়েদের হাজারো সিগন্যালেও ‘সাড়া’ না দেয় না সিগন্যাল বুঝতে না পারে, তাহলে ছেলেরা গাঁইয়া, ক্ষ্যাত, গাধা, গাধারও অধম, হাঁদারাম, বুদ্ধু, ভোদাই, আবাল…ইত্যাদি বইলা ভাব নিবেন–সেইটা কেমনে সুবিচার হইল?
৬) চেনা নাই জানা নাই, আগে-পরে কিছু নাই, কেউ হুট কইরা ‘প্রস্তাব’ দিয়া ফেললে, বা কাউরে নিষেধ করার পরেও যদি একই কাজ বার বার করতে থাকে, সেইটার স্ক্রীনশট গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিন্তু আগে পরে বিস্তারিত আলাপ সোদানোর পরে, বা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে ‘আলাপের’ মাঝখানের একটা লাইন তুলে ‘প্রস্তাব’ দেয়ার অপরাধে অপরাধী বানাইয়া দেয়াটা কীভাবে কতখানি যুক্তিযুক্ত হতে পারে?
৭) এখনো মনে করি–চেনা নাই জানা নাই, আগে-পরে কিছু নাই, কেউ হুট কইরা কেউ ‘ভদ্রভাবে’ যে কোনো কিছুর প্রস্তাব দিলেও সেইটা ‘ক্রাইম’ হতে পারে না। ভদ্রভাবে প্রত্যাখান করার পরেও যদি ‘ডিস্টার্ব’ করতেই থাকে, তখন ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
৮) ওদিকে আবার গুণীজনেরা বলেন–হাল ছেড়ো না… (সহজ করে বললে–কাউরে লাগাইতে চাইলে তার পাছায় আঠার মত লাইগা থাকতে হপে…)
৯) দুনিয়াটা আসলে একটা হিপোক্রেটের বাচ্চা!
১০) হুদাই!
Leave a Reply