সাইবার যুদ্ধ !
সীমান্তে হত্যা,ফারাক্কা ব্যারেজ,তিস্তার পানি বন্টন,টিপাইমুখ বাঁধ,সাংস্কূতিক আগ্রাসন,ট্রানজিট ইত্যাদি ইস্যুতে ভারতের প্রতি বাঙলাদেশ সরকারের নতজানু,গোলামি,দালালি নীতির প্রতিবাদ বরাবরই করে আসছে সচেতন বাঙালি তরুণ সমাজ ।
কিন্তু সম্রাজ্যবাদের পাচাটা সরকার একের পর এক দেশের স্বার্থ বিরোধি চুক্তি যেমন করে যাচ্ছে,তেমনি সীমান্তে হত্যা বন্ধেও ব্যার্থ!
এক্ষেত্রে দায়বদ্ধ স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বার বার প্রসব করে যাচ্ছে অর্শ্বডিম্ব!মোটাদাগে বলতে গেলে দুই মন্ত্রনালয়ের বর্তমান অবস্থা লেজে গোবরে! এবং এই দুইটি মন্ত্রনালয় যে আলাদা তা বুঝার জন্য এই মূহর্ত্বে একমাত্র ভরসা,সাহারা খাতুন আর দিপু মনির ‘চেহারা’!
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার দেশবিরোধি চুক্তি এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সচেতন তরুন সমাজ বেশ সোচ্চার ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে সর্বত্র!এবং তারই একটি অংশ হচ্ছে উক্ত ‘সাইবার ওয়ার’।
কিন্তু অনেকেই এই ধরনের প্রতিবাদের সমালোচনা করছেন!
তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি,
মিচিল,মিটিং,সভা,সমাবেশ,লংমার্চ,মানববন্দন,স্বারকলিপি প্রদান করেও যখন কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না,তখন নিশ্চয় তরুনরা ঘরে বসে বসে আঙ্গুল চুঁষবে না!
তাই তারা আঙ্গুল চালাচ্ছে কি বোর্ডে ।
সরকার বলছে,এটা ফলপ্রসু নয়!
তাহলে যা কিছু ফলপ্রসু, তা সরকার করছে না কেন ?কিংবা গোলামি কি ফলপ্রসু ?
কেউ বলছেন এতে উভয়দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে!
হোক,এতোদিন তো শুধু বাঙলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে,এক্ষেত্রে অন্তত সমতায় ফিরুক !
কেউ বলছেন,এটা জামাত শিবির সংশ্লিষ্ট!
আমি বলি হোক,জাতীয় স্বার্থে জামাত,বিএনপি আওয়ামিলীগ একত্রে কাজ করুক ! এবং এটাই বাঙলাদেশের একমাত্র মুক্তির উপায় !যুদ্ধাপরাধ আর ভারতীয় আগ্রাসন এক কথা নয় !
ইরাকের শিয়া সুন্নির দন্দের সুযোগ যেভাবে এমেরিকা নিয়েছে, আমরা সেভাবে ভারতকে সুযোগ করে দিতে পারিনা!কিংবা বাঙলাদেশ আরেকটি লিবিয়া হতে পারেনা !
কেউ বলছেন,এতে কিচ্ছু হবেনা !
সম্ভবত সমালোচকদের মধ্যে এরাই সবছেয়ে গাধা,নতুবা তারা বুঝতো বিষয়টি নিয়ে এত খবর,এত হট্টগোল,এত আলোচনা কেন হচ্ছে !
কেউ বলছেন,হ্যাক হওয়া সাইটগুলো খুব সাধারণ!
আমি বলি হোক,নিশ্চয় হ্যাক হওয়া সাইটের সংখ্যা সাধারণ নয় !
যদি ২লাখ ফেসবুক একাউন্টও হ্যাক করা যায়,তাহলেও বিশ্ববাসীর চোখ কপালে উঠে যাবে!
যারা খুব পণ্ডিত তারা বলছেন,অন্যভাবে আরো জোরালো প্রতিবাদ করা যায়!
কিন্তু কিভাবে ?কে নেতৃত্ব দিবে ?
আমি জানি,এই তরুণদের প্রত্যেকের আছে দেশের প্রতি অকৃত্তিম এবং তীব্র ভালোবাসা ও আবেগ যা দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা এবং এরা প্রত্যেকে এক একজন ‘ক্ষূদিরাম’!
এবং কোন লাভ না হলেও দেশের প্রতি তাদের তীব্র আবেগ, ভালোবাসা,দায়িত্ব অনুভব এবং ক্ষুদ্র হলেও কিছু করার প্রয়াস চিরন্তন এবং শাশ্বত মহত্ব!
কিন্তু যারা পথ দেখানোর কথা ছিলো,যারা এই তরুণদের দেশপ্রেমকে কাজে লাগানোর কথা ছিলো,তারা এখন পাচাটা কুত্তা!
তাই তরুণরাই তরুণদের ভরসা ।
দরকার নাই,পাচাটা মাতুব্বরের ।
এই প্রতিবাদ সম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে,শোষনের বিরুদ্ধে!
আশা করি,শুদ্ধ চেতনার অধিকারী প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকও বাঙলাদেশি তরুনদের পাশে আছে,থাকবে ।
প্রত্যেক কি-বোর্ড সৈনিকের প্রতি স্যালুট রইলো !
—Anworhossain Farmer
Friday, February 17, 2012 at 2:55pm
Leave a Reply