যতদূর মনে পড়ে, উপরের ছবিটা দেখে মানবধর্ম পালনকারী মানবতার ধারকবাহক অনেক মুক্তমনা বলেছিল–বার্মিজ রোহিঙ্গা মুসলমান…চরম খারাপ…বাংলাদেশে ঢুকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করবে… জামাতিদের ভোট বৃদ্ধি করবে… বাংলাদেশে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাবে… আরো নানা হেন তেন…
নীচের ছবিটাকে কোলাজ বানিয়ে তাতে লিখলাম–একটি সম্ভাবনাময় জিহাদির অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। (একটি নির্মম সত্য বাস্তবতা…রসিকতা…তবুও/তাই পোস্টে আগে সরিও বলে নিয়েছিলাম।)
(যে কথা বলি নাই, অর্থাৎ গল্পটা এরকম হতে পারত–এই বাচ্চাটা বেঁচে থাকলে হয়তো ইউরোপে ঢুকত। ইহুদি-নাসারাদের খেয়ে দেয়ে বড় হয়ে খুব সম্ভবত কোরান-হাদিস মাইনা নবীর সুন্নত পালন করত… ইহুদি-নাসারাদের ধ্বংস কামনা করতে করতে একদিন সাচ্চা “সম্ভাবনাময় জিহাদি” হয়ে যেত… অথবা মনে মনে বাকি সব মডারেট মুসলমানদের মত জিহাদিদের সাপোর্ট করে যেত।)
দুইটি ছবি একসাথে দেখে, এবং নিচের ছবিটি নিয়ে কিছু তিক্ত স্যাটায়ারিক কোলাজ বানানো, তাতে অনেকের প্রতিক্রিয়া দেখতে দেখতে নতুন কিছু উপলব্ধি হলো–মুক্তমনা-মানবধর্ম-মানবতা–নিজেদেরকে উন্নত জাতের প্রাণী হিসাবে প্রমাণ করতে এইযে আমরা নানা ধরনের টার্ম ইউজ করি, সবই তো নিজেদের সুবিধামত আমাদের নিজেদেরই বানানো… কিন্তু প্রাকৃতিক বিবর্তনের কাছে আমাদের এসব বানানো শব্দ সংজ্ঞা রীতিনীতির মূল্য কতখানি? বিবর্তনের ক্রম বিকাশের ধারায় আর প্রাকৃতিক বাস্তবতায় এগুলার কোনো বাস্তব ভিত্তি আছে কি?… মূল বিষয় সুবিধাবাদ আর জাস্ট বেঁচে থাকা নয় কি?…
তো এরকম চিন্তা মাথায় আসলে আর কোনো কিছুতেই কোনো বিকার হয় না… কেমন যেন নিউট্রাল হয়ে যাই… যা হচ্ছে বা হয়–সেসব নিয়ে কোনো ইণ্টারেস্ট থাকে না… মনে হয় সবই ন্যাচারাল… এরকম অবস্থায় আমি পপকর্ন নিয়া গ্যালারিতে বসে প্রকৃতির তামশা দেখি শুধু… মজার ব্যাপার হলো, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়ার বিরোধিতাকারীরাই ২য় ছবিটি নিয়ে করা কিছু বাস্তব, অনেকের চোখে নির্মম, স্যাটায়ার ধরতে ব্যর্থ!
সব মিলিয়ে মুক্তমনা-মানবধর্ম-মানবতা–এগুলারে জাস্ট বালছাল মনে হচ্ছে। সবশেষে আরেকটা প্রশ্ন–হিপোক্রেসির একটা লিমিট থাকা উচিত নয় কি?
Leave a Reply