ফারাওর সঙ্গে কথা বলার সময়ে মোশীর বয়স ছিল আশি বছর, ও আরোনের বয়স ছিল তিরাশি বছর। [যাত্রাপুস্তক ৭: ৭]
তখন প্রভু মোশীকে বললেন, ‘দেখ, ফারাওর কাছে আমি তোমাকে ঈশ্বর যেনই করব, আর তোমার ভাই আরোন হবে তোমার নবী। [যাত্রাপুস্তক ৭: ১]
মোশী প্রভুকে বললেন, ‘হায় প্রভু আমার! আমি তো বাক্পটু নই; এর আগেও কখনও ছিলাম না, এই দাসের সঙ্গে তোমার কথা বলবার পরেও নই; আমি বরং জড়মুখ ও জড়জিভ।’ প্রভু তাঁকে বললেন, ‘মানুষকে কে জিহ্বা দিয়েছে ? কিংবা তাকে কে বোবা, বধির, দর্শী বা অন্ধ করে ? আমি সেই প্রভু, তাই না ? এখন তুমি যাও; আমি তোমার মুখের সঙ্গে সঙ্গে থাকব ও কী বলতে হবে তোমাকে শেখাব।’
মোশী বললেন, ‘প্রভু আমার, দোহাই তোমার, অন্য যার দ্বারা পাঠাতে চাও, পাঠাও!’ তখন মোশীর উপরে প্রভুর ক্রোধ জ্বলে উঠল; তিনি বললেন, ‘তোমার ভাই সেই লেবীয় আরোন কি আছে না ? আমি তো জানি, সে সুবক্তা; এমনকি, সে তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসছে। তোমাকে দেখে অন্তরে খুশি হবে। তুমি তার প্রতি কথা বলবে ও তার মুখে আমার বাণী দেবে, আর আমি তোমার মুখ ও তার মুখের সঙ্গে সঙ্গে থাকব, ও কি করতে হবে তোমাদের শেখাব। তোমার হয়ে সে-ই লোকদের কাছে বক্তা হবে; ফলে তোমার জন্য সে মুখস্বরূপ হবে ও তার জন্য তুমি ঈশ্বরের ভূমিকা পালন করবে।’ [যাত্রাপুস্তক ৪: ১০-১৬]
Leave a Reply