লিখেছেন বিরামহীন-আরাম
সহি বুখারী এবং পবিত্র কুরানে এরশাদ করা হয়েছে: “আদমের অনুরোধে পৃথিবীতে সর্বপ্রথম আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা ‘বায়তুল মা’মূর’ এর নকশাতে কাবাঘর নির্মাণ করে।” (সহি বুখারী) এবং “নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হিদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য।” (কোরা্ন, সুরা আল-ইমরান)
এখান থেকে আমরা কী বুঝলাম?… আমি আগেই একবার আলোচনা করসিলাম, আদম ক্যামনে গন্ধম খাওনের অপরাধে বেহেশদ হইতে লাত্থি খাইয়া পৃথিবী নামের এইটুকা একটা গ্রহতে আইসা পড়সিল। নানা আলেম-ওলামার মতে আদম আর হাওয়া নাকি পৃথিবীর দুই জায়গাতে ল্যান্ড করসিলো। আদম ল্যান্ড করে শ্রীলঙ্কাতে আর বিবি হাওয়া কোথায় নির্বাসিত হইসিলো, এই ব্যাপারে মতভেদ আছে, তবে ধারণা করা হয় তার অবতরণস্থল জেদ্দা!
আদমের জন্য শ্রীলঙ্কা চমৎকার জায়গা। উর্বর ভূমি আর চারদিকে পাহাড় আর সমুদ্রে ঘেরা। কিন্তু শুধু চাষবাস আর পাহাড় সমুদ্র দেখলে হপে? ইনসান পয়দা করতে হবে না? আর বংশবিস্তার তো আর সবুজ পাহাড় আর নীল সমুদ্র দেইখা হবে না। যেহেতু আদম-হাওয়া পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় বেহেশত থেকে বিতাড়িত, তাই বিবি হাওয়ার ‘মেনোপজ’ শুরু হবার আগেই আদমরে যা করার তা করতে হবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় থাইকা নিরামিষ খাইলে তো আর বংশবিস্তারের মত আল্লাহ-প্রদত্ত গুরু দায়িত্ব পালন সম্ভব নহে। তাই নবী আদম পবিত্র স্থান চৌদি আরব যাবার সিদ্ধান্ত নিল।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, বিবি হাওয়ার মনোপজ শুরুর আগেই কীভাবে আদম শ্রীলঙ্কা হতে হাজার হাজার মাইল দূরের পবিত্র আরাফাত নগরীতে কোন দ্রুত গতির যানবাহন ছাড়াই পায়ে হেঁটে চলে গেল?
আপনাকে মানুষের মত চিন্তা করলে হবে না – অমানুষের মত ভাবতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, সহী বুখারীতে পষ্ট লেখা আছে – আদম ষাট হাত (৯০ ফুট) লম্বা ছিল। আপনার-আমার মত তো ৫-৬ ফুট না। তাই এই হাজার হাজার মাইল আদমের কাছে কোনো ব্যাপারই ছিল না। আর আদম আর হাওয়ার সাক্ষাতের পর কী ঘটেছিল, তা আর সেন্সরশিপের কারণে বয়ান করলাম না।
এখন আদম আর হাওয়ার শুধু সেন্সরশিপযুক্ত কাজ করলে হবে? ইবাদত-বন্দেগী করতে হবে না? আর ইবাদত তো এমনি এমনি হয় না। তার জন্য চাই চারকোনা বাস্কো। যেই না আদম আল্লার কাছে বাস্কো চাইলো, সাথে সাথে ফেরেশতারা আইসা ক্বাবা শরীফ বানায়া দিয়া গেলো। আর যেহেতু আল্লাহ কাজটা খুব দ্রুততার সাথে করতে আদেশ দিসিলো, তাই ফেরেস্তারা আর আর্কিটেক্ট-এর লাইগা দেরি না কইরা চতুর্থ আসমানে অবস্থিত ‘বায়তুল মা’মূর’ এর নকশাতেই কপি-পেস্ট মাইরা কাবাঘর নির্মাণ কইরা ফালাইলো।… এর থেইকা আমরা কিছু সিদ্ধান্তে আসতে পারি। চতুর্থ আসমানে পাত্থর পাওয়া যায়, আর সেইখানে গ্রেভিটি আছে। মজার না?
এরপর আবার মানুষের পূর্বপুরুষেরা গুহাবাসী হয়ে যায়। চারকোনা ঘর বানানোর প্রযুক্তি হাতে থাকার পরও তারা পাত্থর দিয়া ঘর না বানাইয়া গুহার ভিতরে আশ্রয় নেয়। তারো বহুত পরে অবিশ্বাসীরাই ক্বাবার টেকনোলজি চুরি কইরা, কোরানের আয়াত থেইকা পিলার, কলাম-এর আইডিয়া নিয়া (আসমান কিন্তু খুঁটি দিয়া আটকানো) বন–জঙ্গল সাফা কইরা বাড়িঘর বানানো শুরু করলো। বলতে গেলে, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পুরাই কোরান শরীফ হইতে উৎপত্তি হইসে।
আমার কোনো সন্দেহ নাই? আপনারও নিশ্চয় নাই!
Leave a Reply