আজকের প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর: কী যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে শিশুটিকে!। কোনও মন্তব্য ছাড়াই খবরটির কিয়দংশ তুলে দিই বরং।
১১ বছরের কন্যাশিশুটির এখন দিন কাটে ঘরের ভেতরে। সে আর উঠানে ছোটাছুটি করে না আগের মতো। বাড়ির অন্য সমবয়সীদের সঙ্গে পুকুরে সাঁতার কাটে না। পাড়ার সহপাঠীদের সঙ্গে দল বেঁধে যায় না মাদ্রাসায়ও। কারণ, সে মা হতে চলেছে।
ষষ্ঠ শ্রেণীর শিশুটিকে এই দুঃসহ জীবনে ঠেলে দিয়েছেন তার মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল জলিল। ৬০ বছর বয়সী জলিল তা স্বীকারও করেছেন। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ (উত্তর) ইউনিয়নের কাপাইকাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানান, এ নিয়ে এলাকায় তিনবার সালিস বৈঠক হয়েছে। তাতে বিচারের নামে আশ্বাস আর বিয়ের নামে প্রহসন হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল হাই ও গভর্নিং বডির সদস্য আবদুর রব খাঁ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য শিশুটির পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছেন।
নিরুপায় হয়ে শিশুটির বাবা গত ১৯ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত-১-এ এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি ২৪ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ থানায় এলেও ওসি মো. মিজানুর রহমান তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন ২ ফেব্রুয়ারি। হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেনকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলায় আবদুল জলিলকে একমাত্র আসামি করা হয়। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পেকদা গ্রামে।
পরিবার, এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, কাপাইকাপ মাদ্রাসার আরবির শিক্ষক আবদুল জলিল গ্রামের বকাউলবাড়িতে জায়গির থাকতেন। সকাল বেলায় বাড়ির কাচারিঘরে তিনি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। গত বছরের ৩ আগস্ট অন্য ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে জলিল ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে কথা আছে বলে বসিয়ে রাখেন। অন্যরা চলে যাওয়ার পর জলিল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর মেয়েটি আর তার কাছে পড়তে যেতে রাজি হয়নি।
শিশুটির মা ও বড় বোন প্রথম আলোকে বলেন, …কিন্তু ঘটনাটি সে পরিবারের কাউকে জানায়নি। পরে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে চাঁদপুরে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানান, সে অন্তঃসত্ত্বা। পরে সে শিক্ষক আবদুল জলিল তার সঙ্গে কী করেছে, তা জানায়।
* লিংক পাঠিয়েছেন হাঁটুপানির জলদস্যু।
Leave a Reply