লিখেছেন মুহাম্মদ কুলাঙ্গার (সাঃ)
ইসলাম – একটি বৃহৎ ধর্ম, যা প্রথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ অনুসরণ করে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলাম কী?
ইসলামের প্রথম ভিত্তি হচ্ছে অন্ধ বিশ্বাস। ঈমান – একজন প্রকৃত সত্ত্বা, যিনি বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড তৈরি করেছেন, যিনি সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন, তাঁকেই বলা হয় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালা। আমরা, মানুষরা, তাঁর আজ্ঞাবহ দাসমাত্র। আল্লাহর সকল আদেশ মানুষের কাছে আসে পবিত্র পুস্তকের মাধ্যমে, যার নাম আল-কোরআন, যা শেষ নবী মুহাম্মদ ওহী রূপে আল্লাহর নিকট থেকে পেয়েছিলেন। মুহাম্মদ তার সকল কাজকর্মের মাধ্যমে কোরআন-এর ব্যাখ্যা করেছেন, যা আল হাদিস বা সুন্নাহ নামে পরিচিত। মুহাম্মদ আরও আদেশ করেছেন, জীবনের প্রতি পদক্ষেপে কোরআন অনুসরণ করতে। কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে যে-আইন উদ্ভূত হয়েছে, সেটার নাম শরিয়া। শরিয়াই একমাত্র আল্লাহর আইন এবং সব্বোর্চ্চ আইন। প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলিমের নিকট শরীয়ার গুরুত্ব মানুষের তৈরি আইনের থেকে অনেক অনেক বেশি।
সাধারণ মানুষের একটি সাধারণ কৌতূহল: “আল্লাহ যে আছে, তা আমি কীভাবে বুঝবো?”
উত্তর: আসলে এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। ইসলামের প্রথম ভিত্তিটাই হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাসীগণ পরকালে পাবে বেহেশতের অসীম সুখ-সাচ্ছন্দ, আর যদি তর্ক করে, তাহলে এর থেকে দূরে সরে যাবে। অবশ্যই সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং পরকালের উপর বিশ্বাস আনতে হবে ।
নিচের গল্পটা শুনলে একটি সহজ উত্তর পাওয়া যাবে। আমি এই গল্পটা আমার একজন কট্টর মুসলমান বন্ধুকে শুনিয়েছিলাম।
আমি আরশাদকে খুব গাম্ভীর্যপূর্ণভাবে বলেছিলাম, “আরশাদ, তুমি জান একটা ড্রাগন গতকাল থেকে আমাদের তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে, যা মুখ থেকে আগুন ছাড়ে।
সে ছাদে দৌড়ে গেলো সত্যতা যাচাই করার উদ্দেশ্য নিয়ে এবং যখন কিছুই পেল না তখন বললো, “তুমি মিথ্যাবাদী। কোথায় তোমার ড্রাগন?”
আমি উত্তর দিলাম, “বন্ধু, সত্যি বলছি, ওটা ওখানেই আছে। তুমি এটাকে দেখতে পারছো না, কারণ সে অদৃশ্য। এটা এখনও তার মুখ দিয়ে আগুন ছাড়ছে। বিশ্বাষ কর, ঐ ড্রাগনটা ওখানেই আছে।”
আরশাদ বললো, “ঠিক আছে, এটা অদৃশ্য। কিন্তু আমি তো কোনো উত্তাপ অনুভব করতে পারছি না।”
আমি বোঝালাম, “কারণ এটা ঐশ্বরিক। ড্রাগন অদৃশ্য হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা ঐশ্বরিক। কিন্তু বিশ্বাস কর, এটা আছে।”
আরশাদ আবার উক্ত স্থানের মাঝামাঝি বরাবর দৌড় দিলো যেখানে আমি তাকে দেখিয়েছিলাম যে, ড্রাগনটি অবস্থান করছে। সেখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার দিয়ে বললো, “এই মিথ্যুক, যদি এটা এখানে থাকতো তাহলে আমি কি এটা অনুভব করতাম না?”
আমি বললাম, “ভাই রে, এটা পুরাপুরিই অদৃশ্য, তাই তুমি এটাকে অনুভব করতে পারছো না। কিন্তু আমাকে বিশ্বাস কর, এটা এখানেই আছে। তুমি কি আমাকে বিশ্বাস কর না। আমি তো তোমারই বন্ধু।”
আরশাদ বললো, “কই আমি তো ওটার আওয়াজও শুনছি না। প্রকৃতপক্ষে কারও অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য কমপক্ষে একটি নিদর্শন তো দরকার।”
আমি তাকে বললাম, “বন্ধু, আমায় বিশ্বাস কর। ওটা ওখানেই আছে। এটা ঐশ্বরিক ড্রাগন। তোমার এটার ওপর বিশ্বাস আনতেই হবে। আমি নিশ্চয়ই তোমায় মিথ্যা বলছি না। আমি তোমার খুব কাছের বন্ধু। আমাকে বিশ্বাস কর। শুধুই বিশ্বাস কর।”
আরশাদ রক্তচক্ষু করে আমার দিকে তাকালো এবং আমাকে প্রতারক বললো। সেইসাথে আরও বললো, সে এটা বিশ্বাস করতে চায় না। সে আরও বললো,ন “আমি কোন শক্ত প্রমাণাদি না পাওয়া পর্যন্ত তোমার এই ঐশ্বরিক ড্রাগন সম্পর্কিত গালগপ্প বিশ্বাস করতে রাজি নই।”
আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, “তাহলে কেন তুমি আল্লাহকে বিশ্বাস কর? কী পার্থক্য আছে আমার ড্রাগন আর তোমার আল্লাহর?” তাকে আমি ঐ শেষবার দেখি। ইসলামের মত একই যুক্তির অন্য কিছু তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে রাজি নয়। তারা আশা করে, আমি ইসলামে বিশ্বাস করবো, কিন্তু তারা কেন আমার ঐশ্বরিক অদৃশ্য ড্রাগনে বিশ্বাস করতে রাজি নয়।
আমার ধারণা, এটা মুসলিমদের কাছে কোটি টাকার প্রশ্ন। তারা আমাকে পবিত্র কোরআনের বিশুদ্ধতার কথা বলে, কিন্তু আমি কোরআনের ১০০ জায়গায় ভুল দেখাতে পারবো। প্রকৃতপক্ষে কোরআনের থেকে আরও অনেক ভালো বই দেখাতে পারবো। ঊদাহরণ: ভিক্টর হুগোর “Les Miserables” । যখন আমি মুসলিম ছিলাম, তখন আমাকে বলা হয়েছিলো অযু ছাড়া কোরআন-এ হাত দেওয়া যাবে না বা কোরআন অবমাননা করা যাবে না। এর অন্যথা হলে আমার ওপরে অনেক বিপদ নেমে আসবে।
পরবর্তীতে আমি ইসলামের এই মনগড়া কল্পিত কাহিনীগুলোকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করলাম এবং সাহস সঞ্চয় করে একদিন আমি কোরআন দিয়ে দরজা আটকালাম, এবং কোরআন নিয়ে পরে আর যা যা করলাম, তা উল্লেখ না করাই উত্তম। তবে আমার ‘অপকর্মের’ কারণে কোন অযাচিত বিপদে এখন পর্যন্ত আমি পড়িনি। আমি এখনও সুস্বাস্থ্য ও মনের অধিকারী। এটা শুধুমাত্র একটা কল্পকাহিনীর পুস্তক মাত্র। যদিও আমি এই বইয়ের ভূল-ত্রুটি এবং কল্পকাহিনী নিয়ে পর্ব ২ লেখার ইচ্ছা রাখি।
আজকে কোরআনের পেছনের মানুষটাকে নিয়ে কিছু আলোচনা করবো। হ্যাঁ, তার নাম মোহাম্মদ। অনেকের মতো আমিও তাকে বলি মহা উন্মাদ। প্রথমত তার সম্পর্কে কিছু না জেনেই পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক তার প্রশংসা করে। যখনই কোনো মুসলিম মোহাম্মদের নাম নেয়, তখনই ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম’ মানে ‘সকল প্রশংসা তার জন্য’ বলে থাকে। এটা সুন্নাত এবং অবশ্যই পালনীয়, অন্যথায় বেহেশত পাওয়া যাবে না।
আমি ৩০ বছর যাবত মোহাম্মদকে অনুসরণ করে এসেছি। সে যা করেছে, আমি তা-ই করার চেষ্টা করেছি। তারপরে আমি তার সর্ম্পকে সত্য কথা জানতে পেরেছি এবং বুঝতে পেরেছি মহা উন্মাদের মতো কোনো কিছু করা আমার পক্ষে করা সম্ভবপর নয়।
অচিন্ত্যনীয় কর্ম: ৫১ বছরের মোহাম্মদ একবার তার প্রিয় বন্ধু এবং সাহাবী আবু বকরের ৬ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে দেখে প্রেমে মজে গেল। তারপর আবু বকরকে বললো যে, তাদের বন্ধুত্বকে আত্মীয়তায় রূপ দেওয়ার জন্য সে নিজে আবু বকরের কন্যাকে বিবাহ করবে। আবু বকর না বলতে পারলো না, কারণ মোহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। কেউ যদি আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তার গর্দান নিয়ে নেওয়া হবে। আবু বকর বললো যে, সে এই সুখের সংবাদে সম্মোহিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আয়েশার সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত তার অপেক্ষা করা উচিত, না হলে এটা খুব খারাপ দেখাবে ।
মহা উন্মাদ এই যুক্তি গ্রহণ করলো। সে আয়েশাকে ৬ বছর বয়সে বিয়ে করলো এবং সেই মেয়েকে ৯ বছর বয়সে সম্ভোগ করলো। হাদিসের সাক্ষ্য আছে, যখন আয়েশাকে মোহাম্মদ তার বাড়িতে নিয়ে যায়, তখন সে পুতুল খেলছিলো। আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম যখন আমি প্রথম এই ঘটনা জানলাম। আমি বুঝলাম, মোহাম্মদ যা করেছে, আমি কখনোই তা করতে পারবো না।
আমি কিছু ইসলামী চিন্তাবিদদের কাছে এই ঘটনার ব্যাখ্যাও চেয়েছিলাম। সবাই একই সুরে গাইতে লাগলো সব ইসলামী চিন্তাবিদের একই কথা যে, ঐ সময় এবং জলবায়ুর জন্য কিছু কিছু মেয়ে খুব কম বয়সেই সাবালিকা হয়ে যেত। এবং ইসলামী আইন অনুযায়ী সাবালিকা মেয়েদের বিবাহ করতে কোনো বাধা নেই।
আমি কষ্টে চিৎকার দিয়ে বলেছিলাম, “তাই বলে একজন ৫১ বছরের বুড়ো লোককে বিয়ে করতে হবে?” হ্যা, সেই অন্ধকার যুগে একজন সাবালিকা মেয়ে তার নিজ বয়সী অথবা ১৫ অথবা ২০ বছর বয়সী একটি ছেলেকে বিয়ে করতে পারে, হয়ত সেটা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু একজন ৫১ বছর বয়সী বুড়ো লোক বিয়ে করতে হবে? ” মেয়েটার অনুমতিরও কি প্রয়োজন নেই? সে একজন মানুষ, তারও মন আছে। সে কি আসলেই বিয়ে করার মতো সাবালিকা ছিলো? সে তো খুব জোরে কাঁদছিলো তার পুতুলের জন্য।
সবদিক দিয়ে বিচার করে আমি এখন দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে পারি, মুহাম্মদ একটা লম্পট চরিত্রের মানুষ এবং তার এই আচরণের জন্য তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত ছিলো।
এটাই শেষ নয়।
মুহাম্মদের জায়িদ নামে পালিত এক ছেলে ছিলো। একদিন মুহাম্মদ জায়িদের বাড়িতে গিয়েছিলো এবং সেই সময় জায়িদ বাসায় ছিলো না। জায়িদের স্ত্রী দরজাটা খুলেছিলো এবং সে ছিলো খুবই সুন্দরী। সে জায়িদের স্ত্রীর রূপ-যৌবন দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হলো এবং এই ব্যাপারে তার একটি চামচার সাথে আলাপ করলো। পরবর্তীতে জায়িদ যখন বুঝলো যে, মুহাম্মদ তার স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট এবং সে মুহাম্মদ এর লাম্পট্য সম্পর্কেও জানতো এবং এটাও বুঝলো যে মুহাম্মদ তার স্ত্রীকে বিছানায় নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত থামবে না, তৎক্ষনাৎ জায়িদ মোহাম্মদের জন্য তার স্ত্রীকে তালাক দিলো। তারপর মোহাম্মদ তথাকথিত হাদিস তৈরী করলো এবং বললো, “ইসলামিক আইন অনুযায়ী পালক শিশুর কোনো স্বীকৃতি নেই এবং এই নীতি স্থাপনের জন্য আমি জায়িদের স্ত্রীকে বিয়ে করবো।”
আমি ইসলামের এই দিকগুলো দেখে আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলাম। আমি জানতাম না যে, ইসলামিক আইন অনুযায়ী কাউকে পালক হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। এটা বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা। আমি শিউরে উঠেছিলাম যে, মহা উন্মাদ কতটা নোংরা হতে পারে।
সুন্দর জীবন যাপনের জন্য আমাদের আসলেই কি কোনো ঐশ্বরিক সাহায্যের প্রয়োজন আছে?
কেন একজন তার বিশ্বাসের প্রতি প্রশ্ন আনতে ভয় পায়?
পর্ব – ১ সমাপ্ত
Leave a Reply