নবীজির ছবি বা কার্টুন বিষয়ে মুসলিমদের যে অতি-সংবেদনশীলতা ছিলো, সুখের বিষয়, তা এখন অনেকটাই ভোঁতা হয়ে গেছে। ২০০৫ সালে ডেনমার্কের এক পত্রিকায় নবীজিকে নিয়ে আঁকা বারোটি কার্টুন প্রকাশিত হলে সারা ইসলাম জাহান বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ফলাফল: শতাধিক মৃত্যু, পাকিস্তানের ড্যানিশ দূতাবাসে বোমাবর্ষণ…
ইছলামী অসহিষ্ণুতা ও বর্বরতার প্রতিবাদে ২০১০ সালের ২০ মে ইউটিউবার থান্ডারফুটের আহ্বানে ফেসবুকে উদযাপিত হয় “নবীর ছবি অঙ্কন দিবস”, জমা পড়ে নবীর কল্পিত খোমাসমৃদ্ধ হাজার হাজার কার্টুন, পোস্টার। মুসলিমদের চাপে এক পর্যায়ে ফেসবুক সেই পেইজটি বন্ধ করে দিলেও মুসলিমদের বড়ো একটি অংশ উপলব্ধি করতে পারে, তাদের এই অতি-সংবেদনশীলতা ও বর্বরতা তাদের নবীর ইমেজের জন্যই হানিকর। তারা যতো বেশি প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করবে, কার্টুন-পোস্টার অঙ্কিত ও প্রকাশিত হবে ততো বেশি। গত বছরও “নবীর ছবি অঙ্কন দিবস” পালিত হয়েছিল, তবে অনেক স্বল্প পরিসরে। মুসলিমদের মারমুখী প্রতিক্রিয়া সেবার লক্ষ্য করা যায়নি।
এ বছরেও এই দিবস পালিত হবে। টুইটারে। টুইটার বেছে নেবার কারণ – একটি প্রতিবাদ: এক সৌদি সাংবাদিক নবী সম্পর্কে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ টুইটারে প্রকাশ করে এখন বিচারাধীন এবং মৃত্যুহুমকির সম্মুখীন।
থান্ডারফুট আহ্বান জানাচ্ছেন চৌত্রিশ সেকেন্ডের ভিডিওতে।
Leave a Reply