আপনাদের কি মনে আছে, মহাম্মদ জিব্রাঈলের মারফতে আল্লার নির্দেশে বানু কুরাইজাকে আক্রমণ করে? তাদের অপরাধটা ঠিক জানা যায় না। শুধু এটুকু জানি, তারা নাকি বিশ্বাসঘাতকতা করছিল। আর সেটা আল্যায় জেনে যায় এবং জিব্রাইলের মাধ্যমে মহাম্মদকে বলে দেয়। যা হোক, তাদের বন্দী করা হয়। তাদেরই গোত্র থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হওয়া একজনকে দেয়া হয় তাদের বিচারের ভার। বিচারে সাবালক থেকে পুরুষ- সবাইকে মদিনার বাজারে গর্ত খুড়ে একদিনেই তাদের প্রায় সাতশ লোককে শিরোচ্ছেদ করা হয়। আর তাদের নারী ও শিশুদের গনিমতের মাল হিসাবে মুসলিমদের মধ্যে বন্টন করা হয়। মোহাম্মদ তার এই বিচারে খুশি হয়ে সম্মতি দেয়।
আবারো জিব্রাইল এসে মহাম্মদকে খবর দেয় বানু নাদেরের লোকরা বাড়ির ছাদ থেকে পাথর ফেলে মোহাম্মদকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। খবর শুনে মহাম্মদ তাদের আক্রমন করেন। বানু নাদের গোত্রপতি কিনানাকে আটক করে অমানুষিক অত্যাচার করার পর হত্যা করা হয়। অপরূপ সুন্দরী সাফিয়া ছিলনে এই গোত্রপতির স্ত্রী। তিনি গনিমতের মাল হিসাবে ধরা পড়েন এবং এক সৈন্যের ভাগে পড়েন। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেই দিনই মুহাম্মদ সাফিয়াকে নামেমাত্র বিয়ে করে বিছানায় নেন।
মহাম্মদ বনী মুস্তালিক গোত্রকে আক্রমণ করে পরাজিত করেন এবং গোত্রপতিকে হত্যা করেন। এই গোত্রপতির স্ত্রী ছিলেন জুবেইরিয়া যিনি অন্যান্যা নারীদের সাথে গনিমতের মাল হিসাবে ধরা পড়েন। ভরা-যৌবনা পরম সুন্দরী জুবেইরিয়ার সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে নবী তাকে নিজের জন্য নিয়ে যান এবং বিয়ে করেন।
মহাম্মদের জীবনে প্রায় শ’খানেক যুদ্ধে এভাবেই বিপক্ষের সমস্ত নারী-মেয়েদের গনিমতের মাল হিসাবে নামে মাত্র বিয়ে করে বা দাসী হিসাবে তাদের ভোগ করা হয়েছে।
আমরা যতই বলি না কেন যে এদের জোর করে ভোগ করা হয়েছে বা ধর্ষণ করা হয়েছে, মুসলমানেরা তা মানতে নারাজ। তারা বলে, মুসলমান সৈন্যদের রূপ-গুণ আর বীরত্বে মুগ্ধ হয়েই ঐসব নারী ও মেয়েরা যুদ্ধ শেষ না হতেই সৈন্যদের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়েছে। ঠিক একই কারণে ‘৭১-এ বাংলাদেশের ধ্বজভঙ্গ পুরুষদের কাছে যৌনসুখ না পেয়ে স্বেচ্ছায় হেঁটে-হেঁটে দৌড়িয়ে-দৌড়িয়ে পাকিদের ক্যাম্পে হাজির হয়েছে!
সাম্প্রতিক বাংলাদেশে মহাম্মদের এক অনুসারী একটা বিধর্মী বাচ্চা মেয়েকে অপহরণ করছে। তারপর তারে জোর কইরা ধর্মান্তরিত করছে। তারপর তারে জোর কইরা বিয়া করছে। তারপর তারে জোর কইরা ৫৫ দিন আটকে রাইখা ছহবত করছে। আর আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত পুরা ঘটনার সাথে সে ইসলাম ধর্মরে প্যাচাইয়া প্যাচাইয়া জড়াইয়া দিল। মানে সবই সে করছে ইসলামের ধর্মের বিধি অনুসারে। পুরাই ছবি সম্মত ব্যবস্থা!
এই ঘটনা নিয়া আপনারা যে হাউকাউ বাঁধাইয়েছেন, সেটা আপনাদের বোঝার ভুল। এই মালাউনের মাইয়া নবীর উম্মতের নুরানি চেহারা স্বাস্থ্য আর রূপ দেইখা মুগ্ধ হইছে। তার অপহরণ করার ক্ষমতা দেখে তার বীরত্বে মুগ্ধ হইছে। তার সাথে ছহবত করার আগে তারে ধর্মীয় ভাবে ইসলামে কনভার্ট কইরা পুরা ছহি সম্মত উপায়ে বিয়ে করতে দেইখা ধর্মের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস আর তার ধার্মিক মনের পরিচয় পাইয়া মুগ্ধ হইছে। আর গরমের দিন, বুঝেনই তো। তাই মেয়েটাও ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসতে পাইরা মুগ্ধ হইছে। আর এই সুশীতল ছায়াতলে আইছে বইলাই এই গরমের মধ্যেও ৫৫ দিন ধইরা সুখ লাভ কইরা যাইতে পারছে, যার তুলনা চলে একমাত্র আয়েশা বিবির সাথে যে কিনা ৯ বছর বয়সেই নবীর কাছ থিকা এমন সুখ পাইছিল।
সো ভাইলোক, ভুল বুঝবেন না। আগে ইসলামকে জানুন, বুঝুন, তারপর দেখবেন ইসলামের সমালোচনা করার মত কিছুই নাই। ইসলামে শুধু সুখ আর শান্তি যা শুধু এই মালাউনের মাইয়ারা আর গনিমতের মালেরাই কপাল গুণে বুঝতে পারে।
Leave a Reply