দিন মাস বছর পার হয়ে যায়, নাস্তিক হত্যার বিচারে কোনো অগ্রগতি হয় না। ওদিকে সম্প্রতি আমাদের পুলিশ বাহিনীর টুপিতে একটি অসামান্য সাফল্যমণ্ডিত মুকুট যোগ হয়েছে–তারা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হত্যার পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নিতে সমর্থ হয়েছে। পুলিশের এহেন সাফল্যের মুকুটের উপর আরেকটি মুকুট যোগ হয়েছে–তারা পুরান ঢাকার ইসলামপুরে ঝব্বু খানম মসজিদের মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেন হত্যা মামলায় খাদেমসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নিয়েছে।
এই তিন আসামি হলেন- মসজিদের জুনিয়ার মুয়াজ্জিন মোশারফ হোসেন (২৩), খাদেম মো. হাবিবুর রহমান (২০) ও হাফেজ তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তাজিনুল (২৩)। এদের নূরানি চেহারা দেখে দেশের মডারেট মুসলমানরা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে যে, এদের সাথে মুসলমান এবং ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে খবরে প্রকাশ, এদের সাথে মসজিদ ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে ব্যবসার গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। মসজিদের নিয়ন্ত্রণ ও মসজিদ থেকে আয়িত টাকার লোভেই তারা মুয়াজ্জিনকে সরিয়ে দিয়েছে।
বিডিনিউজ২৪-এর খবর থেকে জানা গেছে, ঝব্বু মসজিদের নিচের দুটি ফ্লোরে ৩৩টি দোকান থেকে প্রতিমাসে ৪২ হাজার টাকা ভাড়া আসে। এছাড়া মসজিদের দানবাক্স থেকেও আয় হয়। বিল্লাল বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েও বাড়তি রোজগার করতেন। মসজিদের কর্মীদের বেতন দেওয়ার পর অতিরিক্ত টাকা বিল্লাল নিজের অ্যাকাউন্টে জমা রাখতেন এবং বাইরের লোকের কাছে লাভে খাটাতেন। খাদেম হাবিব ও দ্বিতীয় মুয়াজ্জিন মোশাররফ মসজিদে বিল্লালের এই একক আধিপত্য মেনে নিতে পারছিলেন না। এ কারণেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। অতএব তুমরা ইসলাম ধর্মের আর কুন কুন বিজনেসকে অস্বীকার কইপে?
আর ওদিকে ইয়ে মানে প্রকাশ্য দিবালোকে নাস্তিক কুপিয়ে ধরা খাওয়ার পরেও সেসব খুনীদের সম্পর্কে কোনো হদিস না পাওয়ার ব্যাপারে পুলিশ অভাবনীয় সফলতার পরিচয় দিতেছে। পুলিশের এহেন অবদানকেই বা কিভাবে অস্বীকার করিপে?
Leave a Reply